জার্মানির খ্রিস্টীয় গণতন্ত্রী সংঘ
জার্মানির মধ্য-ডানপন্থী রাজনৈতিক দল / From Wikipedia, the free encyclopedia
জার্মানির খ্রিস্টীয় গণতন্ত্রী সংঘ মধ্য ইউরোপের রাষ্ট্র জার্মানির একটি খ্রিস্টানপন্থী,[3][4] গণতন্ত্রপন্থী, রক্ষণশীল ও অর্থনৈতিকভাবে উদারপন্থী রাজনৈতিক দল যেটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে ১৯৪৫ থেকে ১৯৫০ সালের মধ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়। রাজনৈতিক মতপরিসরে দলটি মধ্য-ডানপন্থী অবস্থানে অবস্থিত। [5][6][7][8][9]
জার্মানির খ্রিস্টীয় গণতন্ত্রী সংঘ Christlich Demokratische Union Deutschlands ক্রিস্টলিখ ডেমোক্রাটিশে উনিওন ডয়েচলান্ডস | |
---|---|
সংক্ষেপে | সেডেউ (CDU) |
নেতা | আর্মিন লাশেট |
সাধারণ সচিব | পাউল সিমিয়াক |
প্রতিষ্ঠা | ২৬ জুন ১৯৪৫; ৭৮ বছর আগে (1945-06-26) |
সদর দপ্তর | Konrad-Adenauer-Haus, Klingelhöferstraße 8, 10785 Berlin, Germany |
সংবাদপত্র | উনিওন |
যুব শাখা | ইউঙে উনিওন[1] |
সদস্যপদ (২০২০) | ৩,৯৯,১১০[2] |
ভাবাদর্শ |
|
রাজনৈতিক অবস্থান | মধ্য-ডানপন্থী |
জাতীয় অধিভুক্তি | সেডেউ/সেএসউ (CDU/CSU) |
ইউরোপীয় অধিভুক্তি | ইউরোপীয় জনগণের দল |
আন্তর্জাতিক অধিভুক্তি | Centrist Democrat International International Democrat Union |
ইউরোপীয় সংসদীয় দল | European People's Party |
আনুষ্ঠানিক রঙ | Orange (official) Black (customary) |
বুন্ডেসটাগ | ১৫২ / ৭৩৬ |
বুন্ডেসরাট | ২২ / ৬৯ |
রাজ্য সংসদসমূহ | ৪৭১ / ১,৮৮৪ |
ইউরোপীয় সংসদ | ২৩ / ৯৬ |
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীগণ | ৬ / ১৬ |
দলীয় পতাকা | |
ওয়েবসাইট | |
www | |
জার্মানির রাজনীতি |
ভগিনী রাজনৈতিক দল খ্রিস্টীয় সামাজিক সংঘের সাথে (সেএসউ) মিলে এই দলটি সদস্যসংখ্যার বিচারে জার্মানির দ্বিতীয় বৃহত্তম রাজনৈতিক জোটটি গঠন করেছে, যে জোটটিকে সহজ ভাষায় কেবলই "উনিওন" (সংঘ) নামে ডাকা হয়। খ্রিস্টীয় গণতন্ত্রী সংঘটি বায়ার্ন (বাভারিয়া) ব্যতীত জার্মানির সমস্ত রাজ্যের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে থাকে। বায়ার্নের নির্বাচনে কেবলমাত্র ভগিনী দল খ্রিস্টীয় সামাজিক সংঘ অংশ নেয়। জার্মানির আইনসভা বুন্ডেসটাগে এই দুইটি রাজনৈতিক দল একত্রিত হয়ে একটি সংসদীয় দল গঠন করে থাকে, যার নাম সেডেউ/সেএসউ সংসদীয় দল।
খ্রিস্টীয় গণতন্ত্রী সংঘের ভাবাদর্শগত ভিত্তি হল খ্রিস্টধর্মের ক্যাথলিক মণ্ডলীর সামাজিক শিক্ষা, রক্ষণশীলতা ও জার্মান নব্য-উদারপন্থা (অর্ডোলিবেরালিসমুস)।
১৯৯০ সালের দুই জার্মানির একীভবনের পরে সংঘবদ্ধ জার্মান প্রজাতন্ত্রের ইতিহাসে জোটটি সর্বাধিক বেশি সময় ধরে কেন্দ্রীয় জার্মান সরকারের দায়িত্বে ছিল। ২০০৫ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত এই দলটি থেকে আগত আঙ্গেলা মের্কেল জার্মানি কেন্দ্রীয় সরকার প্রধান বা চ্যান্সেলরের (কানৎসলার) দায়িত্ব পালন করেন। একই সময়ে দলটি জার্মানির সবচেয়ে শক্তিশালী রাজনৈতিক দল ছিল। তবে ২০২১ সালের নির্বাচনে এটি সামাজিক গণতন্ত্রী দলের পেছনে পড়ে যায় ও দ্বিতীয় অবস্থানে নেমে আসে। রাজ্য পর্যায়ে দলটি জার্মানির ২০টি রাজ্যের মধ্যে নয়টি রাজ্য সরকারের অংশ এবং ছয়টি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এই দলটির সদস্য।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী জার্মানির ইতিহাসে খ্রিস্টীয় গণতন্ত্রী সংঘ ও জার্মানির সামাজিক গণতন্ত্রী দল সবচেয়ে জনপ্রিয় দুইটি রাজনৈতিক দল হিসেবে গণ্য হয়ে আসছে।