Loading AI tools
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নৌবাহিনীর জাহাজ শ্রেণি উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
জুমওয়াল্ট-শ্রেণির ডেস্ট্রয়ার হল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নৌবাহিনীর তিনটি নির্দেশিত ক্ষেপণাস্ত্র ডেস্ট্রয়ারের একটি শ্রেণি, যা স্থল আক্রমণের উপর লক্ষ্য সহ বহু-অভিযানের স্টেল্থ জাহাজ হিসাবে নকশা করা হয়েছে। এটি একটি বহু-ভূমিকার শ্রেণি, যা ভূ-পৃষ্ঠ যুদ্ধ ও বিমান-বিধ্বংসী যুদ্ধের গৌণ ভূমিকার জন্য নকশা করা হয়েছিল এবং মূলত নৌ বন্দুকযুদ্ধ সমর্থনের প্রাথমিক ভূমিকার সঙ্গে নকশা করা হয়েছিল। শ্রেণির নকশা ডিডি -২১ "ল্যান্ড অ্যাটাক ডেস্ট্রয়ার" কর্মসূচি থেকে "ডিডি(এক্স)" হিসাবে আবির্ভূত হয়েছিল এবং নৌ-গুলিবর্ষণে সহায়তার জন্য কংগ্রেসের আদেশ পূরণে যুদ্ধজাহাজের ভূমিকা নেওয়ার উদ্দেশ্যে ছিল।[12] জাহাজটি তার দুটি উন্নত বন্দুক ব্যবস্থা, তাদের কামান রাখিবার ঘূর্ণিমান মঞ্চ ও ম্যাগাজিন এবং অনন্য লং রেঞ্জ ল্যান্ড অ্যাটাক প্রজেক্টাইল (এলআরএলএপি) গোলাবারুদকে ঘিরে নকশা করা হয়েছে।[9] এলআরএলএপি সংগ্রহ বাতিল করা হয়েছিল, বন্দুকসমূহকে অব্যবহারযোগ্য করে তুলেছিল,[9] তাই নৌবাহিনী পৃষ্ঠতলীয় যুদ্ধের জন্য জাহাজগুলিকে পুনরায় উদ্দেশ্য করে।[13]
ইউএসএস জুমওয়াল্ট ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে সমুদ্রে পরীক্ষা চালাচ্ছে | |
শ্রেণি'র সারাংশ | |
---|---|
নির্মাতা: | বাথ আয়রন ওয়ার্কস |
ব্যবহারকারী: | মার্কিন নৌবাহিনী |
পূর্বসূরী: | আর্লেই বার্ক শ্রেণির |
উত্তরসূরী অনুযায়ী: | আর্লেই বার্ক শ্রেণি ফ্লাইট তৃতীয় |
খরচ: | |
অনুমোদন লাভ: | ১৫ অক্টোবর ২০১৬[3] |
পরিকল্পিত: | ৩২ |
সম্পন্ন: | ৩ |
বাতিল করা হয়েছে: | ২৯ |
সক্রিয়: | ২ |
সাধারণ বৈশিষ্ট্য | |
প্রকার: | নির্দেশিত ক্ষেপণাস্ত্র ডেস্ট্রয়ার |
ওজন: | ১৫,৬৫৬ লং টন (১৫,৯০৭ টন)[4] |
দৈর্ঘ্য: | ৬১০ ফু (১৯০ মি)[4] |
প্রস্থ: | ৮০.৭ ফু (২৪.৬ মি) |
ড্রাফট: | ২৭.৬ ফু (৮.৪ মি) |
প্রচালনশক্তি: | |
গতিবেগ: | ৩০ নট (৫৬ কিমি/ঘ; ৩৫ মা/ঘ)[4] |
লোকবল: | ১৪৭ জন +২৮ এয়ার ডিটাচমেন্ট[4] |
সেন্সর এবং কার্যপদ্ধতি: | এএন/এসপিওয়াই-৩ মাল্টি-ফাংশন রাডার (এমএফআর) (এক্স ব্যান্ড সক্রিয় বৈদ্যুতিনভাবে স্ক্যান করা অ্যারে)[7] |
রণসজ্জা: |
|
বিমান বহন: |
|
বিমানচালানর সুবিধাসমূহ: | দুটি মাঝারি-লিফট হেলিকপ্টারের জন্য উড়ান মঞ্চ ও আবদ্ধ হ্যাঙ্গার |
এই জাহাজসমূহকে ডেস্ট্রয়ার হিসাবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়, তবে এগুলি মার্কিন নৌবাহিনীর যেকোনো সক্রিয় ডেস্ট্রয়ার বা ক্রুজারের চেয়ে অনেক বড়।[14] কম রাডার ক্রস-সেকশনের (আরসিএস) জন্য নকশার প্রয়োজনীয়তা থেকে জাহাজের স্বতন্ত্র চেহারার ফলাফল। জুমওয়াল্ট শ্রেণির একটি তরঙ্গ-ভেদকারী টাম্বলহোম জাহাজ কাঠামের গঠন রয়েছে, যার পাশগুলি জলরেখার উপরে ভিতরের দিকে ঢাল সৃষ্টি করে রয়েছে, যা একটি প্রচলিত ফ্লেয়ার জাহাজ কাঠামের গঠন তুলনায় অনেক কম শক্তি ফিরিয়ে দিয়ে নাটকীয়ভাবে আরসিএস হ্রাস করে। চেহারাটিকে ঐতিহাসিক ইউএসএস মনিটর[15] এবং তার বিখ্যাত প্রতিপক্ষ সিএসএস ভার্জিনিয়ার সাথে তুলনা করা হয়েছে।[14][16]
শ্রেণিটিতে একটি সমন্বিত বৈদ্যুতিক প্রপালশন (আইইপি) ব্যবস্থা রয়েছে, যা তার টার্বো-জেনারেটর থেকে বৈদ্যুতিক ড্রাইভ মোটর বা অস্ত্র, সম্পূর্ণ জাহাজ কম্পিউটিং পরিবেশ পরিকাঠামো (টিএসসিইআই),[17] স্বয়ংক্রিয় অগ্নি-নির্বাপক ব্যবস্থা ও স্বয়ংক্রিয় পাইপিং ফাটল বিচ্ছিন্নতায় বিদ্যুৎ পাঠাতে পারে।[18] শ্রেণিটি এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে, যাতে একটি ছোট ক্রু দলের প্রয়োজন হয় ও তুলনামূলক যুদ্ধজাহাজের চেয়ে কম ব্যয়বহুল হয়।
লিড জাহাজটির নাম জুমওয়াল্ট অ্যাডমিরাল এলমো জুমওয়াল্টের নামে রাখা হয়েছে এবং এটি হুল সংখ্যা ডিডিজি-১০০০ বহন করে। মূলত, ৩২ টি জাহাজের পরিকল্পনা করা হয়েছিল, যার মধ্যে শ্রেণিটির জন্য $৯.৬ বিলিয়ন গবেষণা ও উন্নয়ন খরচ ছিল। খরচ খরচ বেশি অনুমান করে, জাহাজের পরিমাণ কমিয়ে ২৪ টি, তারপর ৭ টি এবং অবশেষে ৩ টিতে নামিয়ে আনা হয়েছিল, উল্লেখযোগ্যভাবে জাহাজ প্রতি খরচ বৃদ্ধি পেয়ে $৪.২৪ বিলিয়নে (আরঅ্যান্ডডি খরচ সহ $৭.৫ বিলিয়ন) পৌঁছায়[1][2][19][20] এবং পারমাণবিক শক্তি চালিত ভার্জিনিয়া-শ্রেণির ডুবোজাহাজের প্রতি-ইউনিট খরচকে ($২.৬৮৮ বিলিয়ন) ছাড়িয়ে গেছে। কর্মসূচির মোট খরচ ২০১৬ সালের এপ্রিল মাস পর্যন্ত $২২.৫ বিলিয়ন ছিল।[2][21][22] ইউনিট প্রতি নাটকীয় খরচ বৃদ্ধির ফলে অবশেষে একটি নান-ম্যাককার্ডি সংশোধনী লঙ্ঘন ও পরবর্তী উৎপাদন বাতিলের সূত্রপাত ঘটে,[23] তাই নৌবাহিনী আরও আর্লেই বার্ক ডেস্ট্রয়ার নির্মাণে ফিরে আসে।
নৌবাহিনী ২০০৬ সালের এপ্রিল মাসে পূর্ববর্তী নৌ-কার্যক্রমের প্রধান অ্যাডমিরাল এলমো আর. "বাড" জুমওয়াল্ট জুনিয়রের[24] নামানুসারে জুমওয়াল্ট শ্রেণির প্রথম জাহাজের নামকরণের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছিল। জাহাজের হুল (জাহাজের কাঠাম) সংখ্যা হবে ডিডিজি-১০০০, যা আর্লেই বার্ক-শ্রেণির ডেস্ট্রয়ার (ডিডিজি-৫১–) দ্বারা ব্যবহৃত নির্দেশিত ক্ষেপণাস্ত্র ডেস্ট্রয়ার ক্রম পরিত্যাগ করেছিল এবং স্প্রুয়েন্স শ্রেণির শেষ হেইলার (ডিডি-৯৯৭) থেকে পূর্ববর্তী "বন্দুক ডেস্ট্রয়ার" ক্রমটি অব্যাহত রেখেছে।
নৌবাহিনী ২০০৮ সালের ২৯শে অক্টোবর ঘোষণা করেছিল, যে ডিডিজি-১০০১ এর নামকরণ মাস্টার-এট-আর্মস দ্বিতীয় শ্রেণির মাইকেল এ. মনসুরের নামে করা হবে। দ্বিতীয় নৌ সিল, যিনি সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে বৈশ্বিক যুদ্ধে মেডেল অব অনার পেয়েছিলেন।[25]
নৌবাহিনীর সচিব রে মাবুস ২০২১ সালের ১৬ই এপ্রিল ঘোষণা করেছিলেন, যে ডিডিজি-১০০২-এর নামকরণ করা হবে প্রাক্তন নৌ কর্মকর্তা ও মার্কিন রাষ্ট্রপতি লিন্ডন বি. জনসনের নামে করা হবে।[26]
নৌবাহিনী জাহাজের জন্য একটি অস্বাভাবিক দুই-অংশের কমিশনিং প্রকল্প ব্যবহার করতে বেছে নিয়েছে। প্রাথমিক কমিশনিং অস্ত্র ব্যবস্থা একীকরণের আগে সম্পন্ন করা হয়েছিল, এবং অস্ত্র স্থাপন ও চূড়ান্ত স্বীকৃতির জন্য স্যান ডিয়েগোতে যাত্রা করার আগে জাহাজগুলিকে "কমিশন, বিশেষ" অবস্থায় রাখা হয়েছিল। প্রথম দুটি জাহাজ এই পদ্ধতি ব্যবহার করেছিল, যখন শেষটি চূড়ান্ত স্বীকৃতির পরে আনুষ্ঠানিক কমিশনিংয়ের সঙ্গে আরও ঐতিহ্যবাহী পদ্ধতি ব্যবহার করবে।[27]
নাম | হুল নং. | তলি স্থাপন | জলে ভাসানো | কমিশন | গৃহীত | অবস্থা |
---|---|---|---|---|---|---|
জুমওয়াল্ট | ডিডিজি-১০০০ | ১৭ নভেম্বর ২০১১ | ২৮ অক্টোবর ২০১৩ | ১৫ অক্টোবর ২০১৬ | ২৪ এপ্রিল ২০২০[28] | সক্রিয় |
মাইকেল মনসুর | ডিডিজি-১০০১ | ২৩ মে ২০১৩ | ২১ জুন ২০১৬ | ২৬ জানুয়ারি ২০১৯[29] | কমিশন, বিশেষ[27] | |
লিন্ডন বি. জনসন | ডিডিজি-১০০২ | ৩০ জানুয়ারি ২০১৭ | ৯ ডিসেম্বর ২০১৮[30] | আবশ্যক বস্তুর যোগান |
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.