জোনাকী
কীটপতঙ্গের পরিবার / From Wikipedia, the free encyclopedia
ল্যামপিরিডি পতঙ্গ পরিবারের একটি গুবরে পোকা বর্গ হল কলিওপ্টেরা। বাংলায় এর নাম তমোমণি। এরা মূলত পাখাওয়ালা গুবরে পোকা যাদেরকে সাধারণভাবে জোনাকি পোকা বলা হয়। কারণ, তারা জৈব রাসায়নিক ব্যবস্থায় নিজের শরীর থেকে আলো উৎপন্ন করে। এরা এই আলো দ্বারা যৌন মিলন ঘটানো বা শিকারের উদ্দেশ্যে জ্বেলে থাকে। এরা কোল্ড লাইট বা নীলাভ আলো উৎপন্ন করে কোন আল্ট্রাভায়োলেট বা ইনফ্রারেড তরঙ্গ ছাড়া। এই আলোর রং হলুদ, সবুজ বা ফিকে লাল হতে পারে। আলোর তরঙ্গ দৈর্ঘ্য হল ৫১০ থেকে ৬৭০ ন্যানোমিটার।[4] পূর্ব আমেরিকার ধীরে ধীরে জ্বলজ্বলে "নীল ভূত" এর মতো কিছু প্রজাতি নীল আলো (<৪৯০ ন্যানোমিটার) নির্গমন করতে পারে বলে মনে করা হয়, যদিও এটি পারকিনেজে প্রভাবের কারণে তাদের সত্যিকারের সবুজ নিঃসরণ আলো সম্পর্কে একটি মিথ্যা ধারণা রয়েছে।[5]
জোনাকী | |
---|---|
জোনাকি পোকা [1] | |
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ: | অ্যানিম্যালিয়া |
পর্ব: | আর্থ্রোপোডা |
শ্রেণী: | ইনসেক্টা |
বর্গ: | কলিওপ্টেরা |
উপবর্গ: | পলিফেজা |
অধোবর্গ: | এলাটেরিফর্মিয়া |
মহাপরিবার: | এলাটেরয়ডিয়া |
পরিবার: | ল্যামপিরিডি Latreille, 1817 |
উপপরিবার | |
Amydetinae[2] Genera incertae sedis: |
প্রায় ২০০০ জোনাকির প্রজাতি পাওয়া গেছে গ্রীষ্ম এবং নাতিশীতোষ্ণ মন্ডলের এলাকায়। অনেকেই ভেজা-কাঠ আছে এমন এলাকা বা ডোবা জাতীয় এলাকায় থাকে যেখানে তাদের লার্ভারা বেঁচে থাকার জন্য অনেক খাদ্য পায়। তাদের ছানা বা কীটগুলো থেকেও আলো নির্গত হয় এদের গ্লোওয়ার্ম বলা হয়। আমেরিকায় এই গ্লোওয়ার্মকে Phengodidae বলা হয়। অনেক প্রজাতিতেই নারী পুরুষ উভয় পতঙ্গ উড়তে পারে, কিন্তু কিছু প্রজাতির স্ত্রীরা উড়তে অক্ষম।[6]