টেলিফোন নাম্বার
From Wikipedia, the free encyclopedia
একটি টেলিফোন হতে অপর একটি টেলিফোনে সংয়োগের জন্য সংখ্যা সমষ্টি বিশেষ। টেলিফোন নাম্বারে অঙ্ক প্রথমে দু’তিনটি থাকলেও সময়ের সাথে সাথে এর অঙ্ক এখন অনেক। এছাড়া এটি এখন বিভিন্ন যন্ত্র, কম্পিউটার এবং ফ্যাক্স মেশিনে টেলিফোনিক সংযোগের জন্য ব্যবহৃত হয়।
প্রায় সকল টেলিফোনই এখন আন্তর্জাতিক টেলিফোন নেটওয়ার্কে যুক্ত। আন্তর্জাতিক টেলিফোন নেটওয়ার্কের নম্বর আইটিউ-টির E.164 প্রস্তাবনা অনুযায়ী গঠিত। এতে নাম্বারের প্রথমে কান্ট্রি কলিং কোড এবং অঙ্ক ১৫ বা এর কম হয়। এর পরেই থাকে এরিয়া কোড, তারপর গ্রাহকের নম্বর, যা টেলিফোন সুইচের কোড। আইটিউ-টির E.123 প্রস্তাবনা টেলিফোন নাম্বার লেখা ও ছাপার নির্দেশনা দেয় যা শুরু হয় একটি যোগ চিহ্ন(+) ও কান্ট্রি কোড দিয়ে। আন্তর্জাতিক নম্বর টেলিফোন হতে ডায়ালের সময় যোগ চিহ্ন আন্তর্জাতিক ডায়ালিং-এ সংযোগ কোড দিয়ে প্রতিস্থাপিত হবে। তবে মোবইলে যোগ চিহ্ন সরাসরি ব্যবহার করা যাবে।
টেলিফোন নাম্বারে কলের শেষ প্রান্ত নির্ধারণের জন্য ফ্রয়োজনীয় সকল তথ্য থাকে। পাবলিক সুইচড টেলিফোন নেটওয়ার্ক-এ প্রতিটি কলের শেষ প্রান্তের একটি ও কেবল একটি নম্বর থাকবে। সাধারণত নির্দিষ্ট দৈর্ঘ্যের নম্বর এক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। যেমন- ঢাকার এরিয়া কোড ০২, যারপর আরও তিন অঙ্কের এক্সচেঞ্জ কোড ও আরও চার অঙ্ক থাকবে। অনেক ক্ষেত্রে এরিয়া কোড নম্বর ডায়াল করা যেতে পারে। এছাড়া কিছু টেলিফোন নাম্বারে অঙ্ক কম থাকতে পার। এতে নম্বরটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে স্বাভাবিক দৈর্ঘের নম্বরে রুপান্তরিত হয়। যেমন- ৯৯৯-জরুরি সহায়তা, ১৭-অনুসন্ধান। স্থানীয় ফোন নাম্বারের রীতি দেশের সরকার বা সরকার মনোনীত সংস্থা দ্বারা নির্ধারিত হয়।দেখুন টেলিফোন নাম্বার তৈরির প্রথা। কলার আইডির ব্যবস্থা থাকলে কল-গ্রাহক কল-কর্তার নম্বর দেখতে পাবেন।