ড্রেসডেন
জার্মানির জাখসেন রাজ্যের রাজধানী নগরী / From Wikipedia, the free encyclopedia
ড্রেসডেন ( /ˈdrɛzdən/, জার্মান: [ˈdʁeːsdn̩] (শুনুনⓘ)সংযোগ=|এই শব্দ সম্পর্কে ; Upper and Lower Sorbian: Drježdźany )
ড্রেসডেন | |
---|---|
ঘড়ির কাঁটার দিক দিয়ে:শহরের স্কাইলাইন, সেম্পার অপেরা, আউয়ার লেডি'স চার্চএর গম্বুজ, ক্যাথলিক কোর্ট চার্চ, যোয়াইঙ্গার প্রাসাদের প্রধান প্রবেশ, নতুন বাজার,আউয়ার লেডি'স চার্চ,ড্রেসডেন একাডেমি অফ ফাইন আর্টসের গম্বুজ, যোয়াইঙ্গার প্রাসাদ | |
দেশ | জার্মানি |
জেলা | নগর |
সরকার | |
• Lord Mayor | ডির্ক হিলবার্ট (FDP) |
আয়তন | |
• শহর | ৩২৮.৮ বর্গকিমি (১২৭.০ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (৩০ নভেম্বর ২০১৪) | |
• পৌর এলাকা | ৭,৯০,৪০০[1] |
• মহানগর | ১৩,৪৩,৩০৫[2] |
সময় অঞ্চল | সিইটি/সিইডিটি (ইউটিসি+১/+২) |
যানবাহন নিবন্ধন | DD |
ওয়েবসাইট | www |
জার্মানির জাখসেন রাজ্যের রাজধানী এবং দ্বিতীয় জনবহুল শহর। সমগ্র জার্মানির মধ্যে জনসংখ্যার দিক দিয়ে ড্রেসডেনের অবস্থান দ্বাদশ, আয়তনের দিক দিয়ে চতুর্থ। ড্রেসডেন শহুরে অঞ্চলের মধ্যে পার্স্ববর্তী ছোট মফস্বল শহর ফ্রাইটাল, পিরনা, রাডেবুল, মাইসেন এবং কসভিগ ও এই শহরগুলোর নিবাসী প্রায় ৭৯০,০০০ মানুষও অন্তর্ভুক্ত। [1] ড্রেসডেন মেট্রোপলিটন অঞ্চলে প্রায় সাড়ে তেরো লাখ বাসিন্দা। [2]
এলবে নদীর পাশে হামবুর্গের পর দ্বিতীয় বৃহত্তম নগরী ড্রেসডেন। [lower-alpha 1] নগরটির বেশিরভাগ জনগোষ্ঠী এলবে উপত্যকায় বাস করে। তবে নগরটির পূর্বদিকে খুব কম জনবহুল অঞ্চল পশ্চিম লুসাশিয়ান পার্বত্য অঞ্চল এবং উপল্যান্ড ( সুডেটেস এর পশ্চিমাংশ) অবস্থিত।
ড্রেসডেন শহর ও এর চারদিকের নদী ও অন্যান্য অঞ্চলের বেশিরভাগ নাম স্লাভিক উৎস থেকে এসেছে। ড্রেসডেন থুরিঙ্গিয়া উচ্চাঞ্চলের জাখসেন উপভাষা এলাকার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর। সোরবিয়ান ভাষার অঞ্চল শহরের পূর্বে, লুসাতেয়ায় শুরু হয়।
ইলেক্টরস এবং স্যাক্সন রাজ্যের রাজার বাসস্থান হয়ে ড্রেসডেনের দীর্ঘকালের ইতিহাস রয়েছে। রাজ্যের রাজধানী ও রাজকীয় অঞ্চল হিসেবে বহু শতাব্দী ধরে শহরটিকে সাংস্কৃতিক ও শৈল্পিক জাঁকজমক দিয়ে সজ্জিত করা হয়েছে।একসময় পোলিশ রাজতন্ত্রের পারিবারিক আসন এই শহরে ছিলো। বারোক এবং রোকো সিটি সেন্টারের কারণে শহরটি "জুয়েল বক্স" নামে পরিচিত ছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ড্রেসডেনের বিতর্কিত আমেরিকান ও ব্রিটিশ বোমা হামলার ফলে যুদ্ধের শেষের দিকে প্রায় ২৫ হাজার মানুষ মারা গিয়েছিল। এদের মধ্যে বেশিরভাগ মানুষই বেসামরিক ছিল এবং পুরো শহরের কেন্দ্রটি ধ্বংস করেছিল। যুদ্ধের পরে, ঐতিহাসিক অভ্যন্তরীণ শহরের অংশগুলি পুনরুদ্ধার করে পুনর্গঠন করতে সাহায্য করেছে।
১৯৯০ সালে জার্মান পুনর্মিলনের পর থেকে ড্রেসডেন আবারও জার্মানি ও ইউরোপের সাংস্কৃতিক, শিক্ষামূলক এবং রাজনৈতিক কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। ড্রেসডেন প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় জার্মানির ১০ টি বৃহত্তম বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে একটি এবং জার্মান বিশ্ববিদ্যালয় এক্সিলেন্স ইনিশিয়েটিভের একটি অংশ । ড্রেসডেনের অর্থনীতি এবং এর অবস্থান জার্মানির অন্যতম গতিশীল এবং স্যাক্সনি রাজ্যে শীর্ষে। [3] উচ্চ-প্রযুক্তি শাখা দ্বারা প্রভাবিত হওয়ায় প্রায়শই বলা হয় "সিলিকন স্যাক্সনি"। হামবুর্গিশ ওয়েল্টওয়ার্টসচাটসিনস্টিটুট (এইচডাব্লুডাব্লুআই) এবং বেরেনবার্গ ব্যাংক অনুসারে, ২০১৯ সালে, ড্রেসডেনের জার্মানির সকল শহরের মধ্যে ভবিষ্যতের সপ্তম সেরা সম্ভাবনাময় শহর হয়েছিল। [4]