তাওয়াক্কোল কারমান
শান্তিতে নোবেল পুরষ্কার বিজয়ী / From Wikipedia, the free encyclopedia
তাওয়াক্কোল আব্দেল-সালাম কারমান (জন্ম ৭ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৯) একজন ইয়েমেনের সাংবাদিক, রাজনীতিক এবং ইয়েমেনের আল-ইসলাহ রাজনৈতিক দলের একজন প্রবীণ সদস্য। এছাড়া কারমান একজন মানবাধিকার কর্মী হিসেবেও দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন। তিনি “উইমেন জার্নালিস্ট উইথআউট চেইন্স” নামক নারী সাংবাদিকদের একটি দলকে নেতৃত্ব দেন। ২০০৫ সালে তিনি এটি প্রতিষ্ঠা করেন।[3] কারমান আন্তর্জাতিকাভাবে পরিচিত হয়ে উঠেন ২০১১ সালের ইয়েমেন বিফ্রোহের সময়। তাকে “লৌহ মানবী” ও “বিদ্রোহের মাতা” বলে অভিহিত করে ইয়েমেনের জনগণ।[4][5] তিনি ২০১১ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার অর্জন করেন।[6] তিনিই প্রথম ইয়েমেনীয় ও প্রথম আরবীয় নারী হিসেবে এই পুরস্কার অর্জন করেন।[7] এছাড়া তিনি দ্বিতীয় মুসলিম নারী এবং দ্বিতীয় সর্বকনিষ্ঠ ব্যক্তি হিসেবে নোবেল শান্তি পদক লাভ করেন।[8]
তাওয়াক্কোল কারমান অথবা তাওয়াক্কুল কারমান | |
---|---|
توكل كرمان | |
জন্ম | (1979-02-07) ৭ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৯ (বয়স ৪৫) |
জাতীয়তা | ইয়েমেনীয়i |
নাগরিকত্ব | ইয়েমেন/তুর্কি[1][2] |
মাতৃশিক্ষায়তন | সানা বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিভার্সিটি অফ সাইন্স এন্ড টেকনোলোজি, সানা |
পেশা | সাংবাদিক, রাজনীতিক. মানুবাধিকার কর্মী |
রাজনৈতিক দল | আল ইসলাহ |
আন্দোলন | তিউনিশিয়ার বিদ্রোহ |
দাম্পত্য সঙ্গী | মোহাম্মাদ আল-নাহমি |
সন্তান | তিন |
পিতা-মাতা | আব্দেল সালাম কারমান |
আত্মীয় | তারিক কারমান (ভাই) সাফা কারমান (বোন) |
পুরস্কার | নোবেল শান্তি পুরস্কার (২০১১) |
২০০৫ সালে সাংবাদিক হিসেবে কারমান ইয়েমেনে পরিচিত হয়ে উঠেন। এছাড়া তিনি একটি মোবাইল ফোন সংবাদ সেবার প্রবক্তা ছিলেন, ২০০৭ সালে এই সেবাটির লাইসেন্স বাতিল করা হয়। এরপর তিনি গণমাধ্যমের স্বাধীনতার পক্ষে আন্দোলন শুরু করেন। ২০০৭ সালের মে মাসে কারমান সাপ্তাহিকভাবে প্রতিবাদ সভার আয়োজন করেন। একসময় এই প্রতিবাদের মাধ্যমে গণমাধ্যমের সংস্কারের দাবি ওঠে।[9] এছাড়া কারমান আরব বিদ্রোহের স্বপক্ষেও বিদ্রোহ করেন। তিনি ইয়েমেনীয় রাষ্ট্রপতি আলী আবদুল্লাহ সালেহ-এর বিপক্ষে প্রবল প্রতিবাদী হয়ে উঠেন।