তাসমানিয়া ক্রিকেট দল
অস্ট্রেলিয়ার প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট দল / From Wikipedia, the free encyclopedia
তাসমানিয়ান ক্রিকেট দল (ইংরেজি: Tasmania cricket team; Tasmanian Tigers) অস্ট্রেলিয়ার তাসমানিয়া রাজ্যের প্রতিনিধিত্বকারী প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট দল। টাইগার্স ডাকনামে পরিচিত দলটি সাংবার্ষিকভিত্তিতে অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া মৌসুমে বড়দের ক্রিকেটে প্রথম-শ্রেণীর শেফিল্ড শিল্ড ও সীমিত ওভারের ম্যাটাডোর বিবিকিউজ ওয়ান-ডে কাপে অংশ নিয়ে থাকে।
কর্মীবৃন্দ | |||
---|---|---|---|
অধিনায়ক | ম্যাথু ওয়েড[1] | ||
কোচ | অ্যাডাম গ্রিফিথ[2] | ||
দলের তথ্য | |||
রং | সবুজ স্বর্ণালী লাল | ||
প্রতিষ্ঠা | ১৮৫১ | ||
স্বাগতিক মাঠ | ব্লান্ডস্টোন অ্যারিনা | ||
ধারণক্ষমতা | ১৯,৫০০ | ||
ইতিহাস | |||
প্রথম শ্রেণী অভিষেক | ভিক্টোরিয়া বুশর্যাঞ্জার্স ১৮৫১; ১৭৩ বছর আগে (1851) সালে লঞ্চেস্টন | ||
শেফিল্ড শিল্ড জয় | ৩ (২০০৭, ২০১১, ২০১৩) | ||
ম্যাটাডোর বিবিকিউজ ওয়ান-ডে কাপ জয় | ৪ (১৯৭৯, ২০০৫, ২০০৮, ২০১০) | ||
কেএফসি টুয়েন্টি২০ বিগ ব্যাশ জয় | ০ | ||
দাপ্তরিক ওয়েবসাইট | তাসমানিয়ান টাইগার্স | ||
| |||
অস্ট্রেলিয়ায় শুরুরদিকে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলায় তাসমানিয়া দল অংশ নিয়ে আসছে। ১৮৫১ সালে ভিক্টোরিয়ার বিপক্ষে দলটি তাদের প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটের প্রথম খেলায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। খেলায় দলটি তিন উইকেটে জয়লাভ করেছিল। প্রথম খেলায় জয়লাভ করাসহ ঊনবিংশ শতকের শেষদিকে অনেক সেরা ক্রিকেটার থাকা সত্ত্বেও ১৮৯২ সালে শেফিল্ড শিল্ডের ন্যায় প্রথম-শ্রেণীর প্রতিযোগিতায় তাসমানিয়া দল উপেক্ষিত থাকে। প্রায় আট বছর তাসমানিয়া দল প্রতি বছরে গড়ে মাত্র দুই থেকে তিনটি প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলায় অংশ নিতে পারতো। সচরাচর, অস্ট্রেলিয়ার মূল ভূখণ্ডের একটি দল কিংবা টেস্ট ক্রিকেট খেলতে আসা সফররত আন্তর্জাতিক দলের বিপক্ষে প্রস্তুতিমূলক খেলায় অংশগ্রহণের সুযোগ পেতো।
অবশেষে, ১৯৬৯ সালে ঘরোয়া একদিনের ক্রিকেট প্রতিযোগিতা জিলেট কাপের প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য হবার সুবাদে তাসমানিয়া দল নিয়মিতভাবে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের সুযোগ লাভে সক্ষম হয়। এ পর্যায়ে তারা বেশ ভালোমানের ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শন করে আসছে। চারবার প্রতিযোগিতার শিরোপা জয়লাভ করাসহ দুইবার রানার্স-আপ হয়। শেফিল্ড শিল্ডে অংশগ্রহণের জন্যে দলটিকে আরও আট বছর অপেক্ষার প্রহর গুণতে হয়। ১৯৭৭-৭৮ মৌসুমে অন্তর্ভুক্তির পর থেকে খুব কমই খেলায় অংশ নিতো। তবে, ১৯৭৯-৮০ মৌসুমের পর থেকে দলটি পূর্ণাঙ্গভাবে অংশ নিতে শুরু করে। ঐ প্রতিযোগিতায় ধীরে ধীরে তাদের খেলার মানের উত্তরণ ঘটে ও প্রতিযোগিতামূলক মনোভাবের পরিবেশ সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের প্রায় ৩০ বছর পর ২০০৬-০৭ মৌসুমে প্রথমবারের মতো শিরোপা জয় করে। এরপূর্বে কেএফসি টুয়েন্টি২০ বিগ ব্যাশ লীগে টাইগার্স দল শিরোপা জয় করলেও ঐ মৌসুমে রানার্স-আপ হয়েছিল।
সবুজ পোশাক পরিহিত অবস্থায় সীমিত ওভারে ক্রিকেটে তাসমানিয়া দল খেলে থাকে। দলের পরবর্তী পছন্দের পোশাক হচ্ছে লাল ও সোনালী রঙ। পোশাকে দলের লোগো তাসমানিয়ান টাইগার রয়েছে। আয়োজক দল হিসেবে নিজেদের খেলাগুলো বেলেরিভ ওভাল, হোবার্টের পূর্বাংশের উপকূলবর্তী এলাকা ক্ল্যারেন্সে অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও, মাঝেমধ্যে ডেভনপোর্ট ও লঞ্চেস্টনে খেলা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে।