Loading AI tools
উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
দ্বিতীয় মহম্মদ বাহাদুর খানজী বা মহম্মদ শের খানজী (৩০শে মে, ১৭৯৫- ২৬শে মে, ১৮৪০) জুনাগড় রাজ্যের ষষ্ঠ নবাব ছিলেন।
মহম্মদ শের খানজী জুনাগড় রাজ্যের পঞ্চম নবাব প্রথম মহম্মদ হামিদ খানজীর পুত্র ছিলেন। তার মাতা রাজকুঁভেরবা একজন রাজপুত ক্রীতদাসী হওয়ায় পিতার রাজত্বকালের অধিকাংশ সময় মাতা-পুত্রকে বিরাওয়াল পতন নামক স্থানে নির্বাসনে কাটাতে হয়। ১৮১১ খ্রিষ্টাব্দের ফেব্রুয়ারি মাসে তার পিতা মৃত্যুশয্যায় তাকে পরবর্তী নবাব হিসেবে মনোনীত করেন এবং ২৬শে ফেব্রুয়ারি তিনি সিংহাসনে আরোহণ করে দ্বিতীয় মহম্মদ বাহাদুর খানজী উপাধি ধারণ করেন। এই সময় প্রথম মহম্মদ হামিদ খানজীর দ্বিতীয়া পত্নী কমল বখতা বেগমের দত্তক পুত্র সলাবত খানজী সিংহাসনের দাবী জানালে একটি দীর্ঘ তদন্তের পর বরোদা রাজ্যের মহারাজা আনন্দ রাও গায়কওয়াড় ১৮১৪ খ্রিষ্টাব্দের মার্চ মাসে দ্বিতীয় মহম্মদ বাহাদুর খানজীকে জুনাগড় রাজ্যের নবাব রূপে স্বীকৃতি প্রদান করেন। ১৮১২ খ্রিষ্টাব্দে ঊমর মুখসম নামক আনন্দ রাও গায়কওয়াড়ের একজন কর্মী দ্বিতীয় মহম্মদ বাহাদুর খানজীর সাথে চুক্তি করে তার নিকট হতে অমরেলি, কোডিনর, দামনগর ও শিয়ানগরের কিছু অংশ বরোদা রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত করেন। পরবর্তীকালে ঊমর মুখসম নবাবের বিরুদ্ধে অস্ত্রধারণ করলে নবাব ব্রিটিশদের সাহায্য প্রার্থনা করেন। ১৮১৬ খ্রিষ্টাব্দে ব্রিটিশরা তাকে ঊমর মুখসমকে জুনাগড় থেকে বিতাড়ণ করেন। ১৮২২ খ্রিষ্টাব্দে নবাব প্রত্যক্ষ ভাবে কর সংগ্রহের অধিকার ত্যাগ করেন ও ব্রিটিশদের মাধ্যমেই কর সংগ্রহের প্রতিশ্রুতি দেন।[1]
দ্বিতীয় মহম্মদ বাহাদুর খানজী ১৮২০ খ্রিষ্টাব্দের সেপ্টেম্বর মাসে কচ্ছ রাজ্যের রাও দ্বিতীয় রায়ধনজির কন্যা কেশরবাঈকে বিবাহ করেন। এছাড়া তিনি মগিজুব বেগম, দাদিবু বেগম এবং নাজু বিবি নামক তিনজনকে বিবাহ করেন। তার দ্বিতীয় মহম্মদ হামিদ খানজী, দ্বিতীয় মহম্মদ মহবত খানজী, মহম্মদ শের খানজী নামক তিনটি পুত্র এবং এক কন্যাসন্তানের জন্ম হয়।[1]
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.