Loading AI tools
উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
ডেনমার্কের দ্বিতীয় মার্গরেটে (ডেনীয়: Margrethe Alexandrine Þórhildur Ingrid; জন্ম: ১৬ এপ্রিল, ১৯৪০) রাণী হিসেবে ডেনমার্কের বর্তমান রাষ্ট্রপ্রধানের দায়িত্ব পালন করছেন। তবে তার নামকে খুব কমই ইংরেজি বাগধারামাফিক দ্বিতীয় মার্গারেট নামে ডাকা হয়। তিনি রাজা নবম ফ্রেদেরিক ও সুইডেনের ইনগ্রিদের জ্যেষ্ঠা কন্যা। ১৪ জানুয়ারি, ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দে পিতার মৃত্যুর পর তিনি ক্ষমতায় আরোহণ করেন। এরফলে তিনি ১৩৭৫-১৪১২ সময়কালে স্ক্যান্ডিনেভিয়ার দেশের কালমার ইউনিয়নের দায়িত্বে নিয়োজিত প্রথম মার্গারেথের পর ডেনমার্ক সাম্রাজ্যের প্রথম নারী হিসেবে পরিচিত পান।
দ্বিতীয় মার্গরেটে | |||||
---|---|---|---|---|---|
ডেনমার্কের রাণী | |||||
রাজত্ব | ১৪ জুলাই, ১৯৭২ - বর্তমান | ||||
পূর্বসূরি | নবম ফ্রেদেরিক | ||||
দৃশ্যতঃ উত্তরাধিকার | ক্রাউন প্রিন্স ফ্রেদেরিক | ||||
প্রধানমন্ত্রীগণ | তালিকার জন্য দেখুন:
(ডেনমার্ক)
(ফারো দ্বীপপুঞ্জ)
| ||||
জন্ম | অ্যামালিয়েনবর্গ প্যালেস, ডেনমার্ক | ১৬ এপ্রিল ১৯৪০||||
দাম্পত্য সঙ্গী | হেনরিক, প্রিন্স কনসর্ট অফ ডেনমার্ক (১৯৬৭-বর্তমান) | ||||
বংশধর বিস্তারিত | ক্রাউন প্রিন্স ফ্রেদেরিক প্রিন্স জোয়াচিম | ||||
| |||||
রাজবংশ | হাউজ অব সেসউইগ-হলস্টেইন-সনডারবার্গ-গ্লুকসবার্গ[1] | ||||
পিতা | নবম ফ্রেদেরিক | ||||
মাতা | ইনগ্রিদ অফ সুইডেন | ||||
ধর্ম | চার্চ অফ ডেনমার্ক |
ড্যানীয় রাজ পরিবার |
---|
HM The Queen
HRH Princess Benedikte HH Princess Elisabeth বিস্তৃত রাজ পরিবার
|
ডেনমার্কের অ্যামালিয়েনবর্গ প্যালেসে রাজকুমারী মার্গরেটে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি পরিবারের প্রথম সন্তান। ১৪ মে, ১৯৪০ খ্রিষ্টাব্দে কোপেনহেগেনের নেভাল চার্চে খ্রিষ্টধর্মে নামাঙ্কিত করা হয় তার। মাতৃসম্পর্কীয় দিদি মার্গারেথ, পিতৃসম্পর্কীয় আলেকজান্দ্রাইন ও মা ইনগ্রিদকে একত্রিত করে তার নাম রাখা হয়। পিতৃপক্ষীয় দাদা দশম ক্রিস্টিয়ান তৎকালীন সময়ে আইসল্যান্ডের রাজা ছিলেন। ঐসূত্রে মার্গারেথ আইসল্যান্ডের রাজকুমারী ছিলেন। আইসল্যান্ডের লোকদের স্মরণে রাখতে থরহিল্ডার নাম গ্রহণ করেন।[2] তার অন্যান্য বোন হচ্ছেন - প্রিন্সেস বেনেডিক্টে, প্রিন্সেস অ্যানি ম্যারি।
১৯৬০-এর দশকের মধ্যভাগে সুইডেন ও নরওয়ের রাজকুমারীদের সাথে তিনিও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণ করেন। লস অ্যাঞ্জেলস, ক্যালিফোর্নিয়া এবং প্যারামাউন্ট স্টুডিও পরিদর্শনের সময় ডিন মার্টিন, জেরি লুইস এবং এলভিস প্রেসলি-সহ অনেকের সাথে স্বাক্ষাৎ করেন।
ইংল্যান্ডের হ্যাম্পশায়ারে অবস্থিত মেয়েদের বোর্ডিং স্কুল নর্থ ফোরল্যান্ড লজে পড়াশোনা করেন।[3] এরপর মার্গারেথ ১৯৬০-৬১ সালে কেমব্রিজের গিরটন কলেজে প্রাগৈতিহাসিক বিষয়রূপে প্রত্নতত্ত্ব বিষয়ে পড়াশোনা করেন। ১৯৬১ থেকে ১৯৬২ সালের মধ্যে আরহাস বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েন রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ে। ১৯৬৩ সালে অধ্যয়ন করেন সরবোনের প্যারিস বিশ্ববিদ্যালয়ে। এছাড়াও ১৯৬৫ সালে লন্ডন স্কুল অফ ইকোনমিক্সে অধ্যয়ন করেন।
সোসাইটি অফ এন্টিকোয়ারিস অফ লন্ডনের ফেলো তিনি। রাণী মার্গারেথ ড্যানীয়, ফরাসি, ইংরেজি ও জার্মান ভাষায় বিশুদ্ধভাবে কথা বলতে পারেন।[4]
জন্মগ্রহণের সময় তিনি ডেনমার্কের উত্তরাধিকারী ছিলেন না এবং ভাই ছিল না। ঐ সময় শুধুমাত্র পুরুষেরাই ডেনমার্কের উত্তরাধিকারিত্বের অধিকারী ছিলেন। ১৯৪৭ সালে সংবিধান পরিবর্তনে পদক্ষেপ গ্রহণ শুরু হয়। পরবর্তীতে ২৭ মার্চ, ১৯৫৩ সালে গ্লুক্সবার্গ সভায় নতুন অধ্যাদেশ জারি করে উত্তরাধিকারের জটিলতা নিরসন করে ভবিষ্যতের বাঁধা দূর করা হয়। তা নাহলে তার চাচা প্রিন্স নুড ক্ষমতায় আরোহণ করতেন। ১৬ এপ্রিল, ১৯৫৮ খ্রিষ্টাব্দে মার্গারেথের অষ্টাদশ জন্মদিনে স্টেট কাউন্সিলের সদস্য মনোনীত করা হয়। রাজার অনুপস্থিতিতে তিনিই সভায় সভাপতিত্ব করতেন।
১৯৭২ সালে রাজা নবম ফ্রেদেরিক মৃত্যুবরণ করেন। এরফলে ড্যানীয় সাম্রাজ্যের প্রথম নারী রাষ্ট্রপ্রধান হন রাণী মার্গারেথ।[5]
১০ জুন, ১৯৬৭ খ্রিষ্টাব্দে ফরাসি কূটনীতিবিদ কাউন্ট হেনরি ডি লাবোর্দে ডি মনপেজাতের সাথে কোপেনহেগেনের চার্চ অফ হলম্যানে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন প্রিন্সেস মার্গারেথ। লাবোর্দে ডি মনপেজাতকে ড্যানীয় সিংহাসনের সাথে জড়িত থাকতে মহামান্য রাজকুমার ডেনমার্কের হেনরিক নতুন পদবী প্রদান করা হয়।
২৬ মে, ১৯৬৮ খ্রিষ্টাব্দে এ দম্পতির প্রথম সন্তান জন্ম নেয়। সনাতনী ধারায় স্বয়ংক্রীয়ভাবে ড্যানীয় রাজাদের নাম হবে ফ্রেদেরিক অথবা ক্রিস্টিয়ান। তিনি ক্রিস্টিয়ানের পরিবর্তে জ্যেষ্ঠ সন্তানের নাম রাখেন ফ্রেদেরিক। দ্বিতীয় সন্তান জোয়াচিমের জন্ম হয় ৭ জুনা, ১৯৬৯ তারিখে।
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.