নারীদের প্রতি তালেবানের আচরণ
২০০১ পর্যন্ত তালেবান ক্ষমতায় থাকাকালীন কর্মকাণ্ড / From Wikipedia, the free encyclopedia
আফগানিস্তানে ১৯৯৬-২০০১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকাকালীন, তালেবান তাদের কুসংস্কার এবং নারীর প্রতি সহিংসতার জন্য আন্তর্জাতিকভাবে কুখ্যাত হয়ে ওঠেছিলো।[1] তাদের ঘোষিত উদ্দেশ্য ছিল "একটি নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করা যেখানে নারীদের সতীত্ব ও মর্যাদা আবার পবিত্র হতে পারে",[2]এখন যেহেতু তালেবান আবার আফগানিস্তান আবার দখল করেছে, সেখানে অনেক উদ্বেগ রয়েছে।[3] তবে ১৭ আগস্ট ২০২১ এ তালেবানের মুখপাত্র জবিহুল্লাহ মুজাহিদ জানিয়েছে, তালেবান ইসলামিক কাঠামোতে মহিলাদের সম্মান করবে। একই দিন একজন নারী উপস্থাপক আফগান টিভিতে তালেবান সদস্যের সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেন।[4]
আগে ক্ষমতা থাকাকালীন আফগানিস্তানের নারীরা বাইরে গেলে বোরকা পরতে বাধ্য হত, এর কারণ হিসাবে একজন[কে?] তালেবান মুখপাত্র বলেনঃ "অচেনা পুরুষের জন্য,একজন নারীর মুখ দুর্নীতির উৎস।"[5] ততকালীন সময়ে ৮ বছর পর্যন্ত মেয়েদের শুধুমাত্র কুরআন পড়ালেখার অনুমতি ছিলো।[6] তালেবান বাল্যবিবাহের অনুমতি দেয় এবং কিছু ক্ষেত্রে ১৬ বছরের কম বয়সী মেয়েদের বিয়ের জন্য উৎসাহিতও করে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের রিপোর্ট মতে, ৮০% আফগান নারীর জোরপূর্বক বিয়ে হয়।[7]