পাউল এরলিখ
জার্মান রসায়নবিদ ও চিকিৎসাবিজ্ঞানী এবং রাসায়নিক চিকিৎসার প্রতিষ্ঠাতা / From Wikipedia, the free encyclopedia
পাউল এরলিখ (১৪ ই মার্চ ১৮৫৪ – ২০ আগস্ট ১৯১৫) নোবেল পুরস্কার বিজয়ী জার্মান-ইহুদি চিকিৎসক ও বিজ্ঞানী ছিলেন। তিনি রক্তবিজ্ঞান (হেমাটোলজি), অনাক্রম্যবিজ্ঞান (ইমিউনোলজি), এবং জীবাণুনিরোধক রাসায়নিক চিকিৎসা (অ্যান্টিমাইক্রোবাইল কেমোথেরাপি) নিয়ে কাজ করেছেন। তিনি ১৯০৯ সালে সিফিলিস রোগের প্রতিকার আবিষ্কার করার জন্য পুরস্কৃত হন। তিনি গ্র্যাম স্টেইনিং ব্যাকটেরিয়া থেকে পূর্ববর্তী কৌশল আবিষ্কার করেন। টিস্যু বিন্যাসের জন্য তিনি যে পদ্ধতিগুলি উন্নত করেছিলেন, সেগুলির মাধ্যমে রক্তের বিভিন্ন ধরনের কোষগুলির মধ্যে পার্থক্য করা সম্ভব হয়েছিল, যা অসংখ্য রক্তের রোগ নির্ণয়ের ক্ষমতা সৃষ্টি করেছিল।
পাউল এরলিখ ForMemRS | |
---|---|
জন্ম | ১৪ মার্চ ১৮৫৪ (1854-03-14) |
মৃত্যু | ২০ আগস্ট ১৯১৫(1915-08-20) (বয়স ৬১) |
নাগরিকত্ব | জার্মান |
পরিচিতির কারণ | রসায়নিক চিকিৎসা, রোগ-প্রতিরোধ বিদ্যা |
দাম্পত্য সঙ্গী | হেডভিগ পিঙ্কাস (১৮৬৪–১৯৪৮) (বিবাহ ১৮৮৩; সন্তান ২ জন) |
সন্তান | স্টেফানি এবং মারিয়েন |
পুরস্কার | শারীরবিদ্যা বা মেডিসিন নোবেল পুরস্কার (১৯০৮) |
বৈজ্ঞানিক কর্মজীবন | |
কর্মক্ষেত্র | রোগ-প্রতিরোধ বিজ্ঞান |
উল্লেখযোগ্য শিক্ষার্থী | হ্যান্স্লসবার্গার |
স্বাক্ষর | |
তার গবেষণাগারটিতে সিফিলিস রোগর প্রথম কার্যকর ঔষধি চিকিৎসা আর্বসেনামাইন (সালভরসান) আবিষ্কার হয়েছিল, যার ফলে রাসায়নিক চিকিৎসা (কেমোথেরাপি) ধারণাটি শুরু ও নামকরণ করা হয়।
এরলিখ একটি ম্যাজিক বুলেট (ঔষধ) তৈরি করেছিলেন। তিনি ডিপথেরিয়া মোকাবেলা করার জন্য অ্যান্টিজারাম এর বিকাশের ক্ষেত্রে একটি নিষ্পত্তিমূলক অবদান রেখেছেন যা পরবর্তীতে থেরাপিউটিক ড্রাগ মানদণ্ডের একটি পদ্ধতি ধারণ করেছিলেন। [1]
১৯০৮ সালে তিনি অনাক্রম্যবিজ্ঞানে অবদান রাখার জন্য চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পান।[2] তিনি পাউল এরলিখ ইনস্টিটুট (জার্মানি) এর প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রথম পরিচালক যা এখন পাউল এরলিখ ইন্সটিটিউট নামে পরিচিত।