পাকিস্তানে ব্লাসফেমি আইন
From Wikipedia, the free encyclopedia
পাকিস্তানে ব্লাসফেমি আইন অনুযায়ী, কোনো স্বীকৃত ধর্মের অবমাননা করার অপরাধে স্তরভেদে জরিমানা থেকে মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত শাস্তি হয়। ১৯৬৭ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ১,৩০০ জনেরও বেশি লোককে ব্লাসফেমি বা ধর্মাবমাননার অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়, যাদের বেশিরভাগই প্রথাগত মুসলিম হিসেবে বিবেচিত ছিল। [1] [2] ১৯৮৭ থেকে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে পাকিস্তানে ব্লাসফেমি আইনের অধীনে কমপক্ষে ১,৮৫৫ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছিল। [3]
যদিও পূর্বে অনেকবার ব্লাসফেমির জন্য মৃত্যুদণ্ড জারি করা হয়েছে; তবে পাকিস্তানের আদালত বা সরকারের আদেশে এখনও কাউকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়নি। [4] [5] যাহোক, ব্লাসফেমির অভিযুক্ত ব্যক্তিরা প্রায়শই কোনো বিচার শুরু হওয়ার আগেই বিক্ষুব্ধ জনতার লক্ষ্যবস্তু হয় এবং তাদের হত্যা পর্যন্ত করা হয়। [6]
১৯৪৭ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ব্লাসফেমির অভিযোগে অন্তত ৮৯ জন পাকিস্তানিকে বিচারবহির্ভূতভাবে হত্যা করা হয়। [7] [8] [9] এই ধরনের হত্যাকাণ্ডের শিকারদের মধ্যে ছিলেন পাঞ্জাবের গভর্নর সালমান তাসির, [10] সংখ্যালঘু মন্ত্রী শাহবাজ ভাট্টি [11] [12] ও হাইকোর্টের বিচারপতি আরিফ ইকবাল ভাট্টির মতো উচ্চঃপদস্থ পাকিস্তানি, যাকে তার চেম্বারে হত্যা করা হয়েছিল। [13]
মার্কিন কমিশন অন ইন্টার্ন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডম অনুসারে, ২০২১ খ্রিস্টাব্দের প্রথম দিকেই, পাকিস্তানে ব্লাসফেমির অভিযোগে ৮০ জন বন্দী ছিলেন, যাদের অর্ধেক জেলে যাবজ্জীবন বা মৃত্যুদণ্ডের মুখোমুখি হয়েছে। [14]