পারমাণবিক ব্যাসার্ধ
From Wikipedia, the free encyclopedia
কোনো মৌলিক পদার্থের পারমাণবিক ব্যাসার্ধ তার পরমাণুর আকারের এক পরিমাপ, যা সাধারণত নিউক্লিয়াসের কেন্দ্র থেকে সর্ববহিস্থ বিচ্ছিন্ন ইলেকট্রন পর্যন্ত গড় বা সাধারণ দূরত্বকে বোঝায়। যেহেতু সীমানাটি কোনো সুনির্দিষ্ট ভৌত সত্ত্বা নয়, সেহেতু একাধিক প্রকারের পারমাণবিক ব্যাসার্ধের বর্তমান। চারটি বহুল প্রচলিত প্রকারভেদ হলো: ভান ডার ওয়ালস ব্যাসার্ধ, আয়নীয় ব্যাসার্ধ, ধাতব ব্যাসার্ধ ও সমযোজী ব্যাসার্ধ। পরমাণুদের ব্যাসার্ধগুলিকে আলাদা করে পরিমাপ করার জন্য তাদের আলাদা করার যে জটিলতা থাকে, তার জন্য রাসায়নিকভাবে আবদ্ধ অবস্থায় পরমাণুদের ব্যাসার্ধ পরিমাপ করা হয়। তবে আলাদা অবস্থায় ব্যাসার্ধের তাত্ত্বিক গণনা আরও সহজ হয়ে যায়।
প্রকারভেদ অনুযায়ী এই শব্দটি সংঘনিত পদার্থ, অণুর সমযোজী বন্ধন, কিংবা আয়নিত ও উত্তেজিত অবস্থায় পরমাণুর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য এবং এর মান পরীক্ষার দ্বারা নির্ণয় বা তাত্ত্বিক মডেলের দ্বারা গণনা করা যায়। পারমাণবিক ব্যাসার্ধের মান পরমাণুর অবস্থা ও প্রসঙ্গ অনুযায়ী পরিবর্তিত হয়।[1]
ইলেকট্রনদের কোনো নির্দিষ্ট কক্ষপথ বা পরিসর নেই। বরং তাদের অবস্থানকে সম্ভাবনা বিন্যাস দিয়ে ব্যাখ্যা করা উচিত যা নিউক্লিয়াস থেকে দূরে যাওয়ার সঙ্গে কোনো নির্দিষ্ট সীমা ছাড়াই মিলিয়ে যায়। এটি পারমাণবিক কক্ষক বা ইলেকট্রন মেঘ নামে পরিচিত। এছাড়া সংঘনিত পদার্থ বা অণুর পরমাণুর ইলেকট্রন মেঘ কিছুটা ক্ষেত্র জুড়ে অভিলেপিত হয় এবং কিছু ইলেকট্রন দুই বা ততোধিক পরমাণু দ্বারা গঠিত এক বড় এলাকা জুড়ে ঘুরে বেড়াতে পারে।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বিচ্ছিন্ন নিস্তরিৎ পরমাণুর ব্যাসার্ধ ৩০ থেকে ৩০০ পিকোমিটার (৩.০×১০−১১ থেকে ৩.০০×১০−১০ মিটার)। সুতরাং, এক পরমাণুর ব্যাসার্ধ ওর নিউক্লিয়াসের ব্যাসার্ধের (১–১০ ফেমটোমিটার) ১০,০০০ গুণের বেশি[2] এবং দৃশ্যমান আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্যের (৪০০–৭০০ ন্যানোমিটার) ১০০০ ভাগের ১ ভাগের তুলনায় কম।