পুঠিয়া মন্দির চত্বর
From Wikipedia, the free encyclopedia
বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগের পুঠিয়া উপজেলায় কয়েকটি উল্লেখযোগ্য পুরনো হিন্দু মন্দির নিয়ে পুঠিয়া মন্দির চত্বর। রাজশাহী শহরের ২৩ কিলোমিটার পূর্বে অবস্থিত এখানে বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি সংখ্যক ঐতিহাসিক মন্দির রয়েছে।[1] রাজশাহীর বিখ্যাত জনহিতৈষী পুঠিয়া রাজ পরিবারের হিন্দু জমিদার রাজাদের দ্বারা মন্দিরগুলো প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
মন্দিরগুলোর বেশ কয়েকটি টেরাকোটা সংবলিত এবং এগুলোর স্থাপত্য জোড় বাংলা স্থাপত্য রীতির সদৃশ। তবে এতে অন্যান্য স্থাপত্য রীতির মিশেল ঘটেছে। পুঠিয়ার রাজবাড়িটি ইন্দো-সারাসেনিক স্থাপত্য রীতি অনুসারে নির্মিত। এই রীতিতে গতানুগতিক হিন্দু স্থাপত্য রীতির সাথে রেনেসাঁস যুগের ইউরোপীয় স্থাপত্যের সংযোগ ঘটেছে। পুঠিয়ার মন্দিরগুলো একটি বিশালাকার লেক বা জলাধারের চারপাশজুড়ে নির্মিত। মন্দিরগুলোর মাঝে একটি সবুজ চত্বরও রয়েছে। রাজা পিতাম্বর ছিলেন পুঠিয়া জমিদার বংশের প্রতিষ্ঠাতা। তবে প্রাচীন এই এলাকার অধিপতি ছিলেন লস্করী খান। লস্করী খান সম্রাট আকবরের শাসনামলে বিদ্রোহী হয়ে উঠলে সেনাপতি মানসিংহ শাসনভার পিতাম্বরের হাতে তুলে দেন। ব্রিটিশ-বাংলার দ্বিতীয় বৃহত্তম জমিদারী ছিল এই পুঠিয়া রাজবংশের। সম্পদের দিক থেকে তারা ছিল ব্রিটিশ-বাংলার সবচেয়ে ধনী। ভারত স্বাধীন হলে তৎকালীন পাকিস্তান সরকার জমিদারি প্রথা বিলুপ্ত করে এবং জমিদারির সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে। পুঠিয়া রাজবংশ তখন ভারতে স্থানান্তরিত হয়।