পেলাগ্রা
From Wikipedia, the free encyclopedia
পেলাগ্রা (ইংরেজি: Pellagra) বা পেলেগ্রা রোগটি নায়াসিন (ভিটামিন বি৩) এর অভাবজনিত একটি রোগ।[2] প্রধান উপসর্গগুলো হল ত্বকের প্রদাহ, ডায়রিয়া, ডিমেনশিয়া বা স্মৃতিভ্রংশতা ও মুখে ঘা।[1] ত্বকের যে অংশে সূর্যের আলো পড়ে বা ঘর্ষণ বেশি লাগে সেটি সবার আগে আক্রান্ত হয়।[1] কিছু দিন পরে আক্রান্ত ত্বক কালো ও শক্ত হয়ে যায় এবং খসে পড়ে বা রক্ত বের হয়।[1][3]
পেলাগ্রা | |
---|---|
পেলাগ্রায় আক্রান্ত রোগীর ত্বক। | |
বিশেষত্ব | ত্বকবিজ্ঞান |
লক্ষণ | ত্বকপ্রদাহ, ডায়রিয়া, ডিমেনশিয়া, মুখে ক্ষত।[1] |
প্রকারভেদ | প্রাথমিক, গৌণ [1] |
কারণ | নায়াসিন ঘাটতি। [2] |
রোগনির্ণয়ের পদ্ধতি | উপসর্গের উপর ভিত্তি করে।[3] |
পার্থক্যমূলক রোগনির্ণয় | কোয়াশিওর্কর, পেমফিগাস, ফটোডার্মাটাইটিস, পরফাইরিয়া[3] |
প্রতিরোধ | দারিদ্র্য দূরীকরণ। [3] |
চিকিৎসা | নায়াসিন অথবা নিকোটিনামাইড [1] |
আরোগ্যসম্ভাবনা | চিকিৎসায় ভালো হয়, বিনাচিকিৎসায় ~ ৫ বছরের মধ্যে মৃত্যু সম্ভাবনা।[3] |
সংঘটনের হার | বিরল (উন্নত বিশ্বে), উন্নয়নশীল বা অনুন্নত দেশে এই রোগ বিরাজমান। [3] |
মূলত দুই ধরনের পেলাগ্রা রয়েছে, প্রাথমিক ও গৌণ।[1] খাদ্যে নায়াসিন ও ট্রিপটোফ্যান এর ঘাটতি হলে প্রাথমিক পেলাগ্রা হয়। [1] খাদ্যে বিদ্যমান নায়াসিন শোষণ বা ব্যবহারে সমস্যাজনিত কারণে গৌণ পেলাগ্রা হয়।[1] মদ্যাসক্তি, দীর্ঘদিনের ডায়রিয়া, কার্সিনয়েড সিনড্রোম, হার্টনাপ রোগ ও কিছু ওষুধ যেমন আইসোনায়াজিড গৌণ পেলাগ্রা করতে পারে।[1] উপসর্গের উপর ভিত্তি করে রোগ নির্ণয় করা হয় এছাড়া মূত্র পরীক্ষাও করা যেতে পারে।[3]
নায়াসিন অথবা নিকোটিনামাইড গ্রহণ এই রোগের প্রধান চিকিৎসা।[1] কয়েকদিনের মধ্যেই উন্নতি লক্ষ্য করা যায়। [1] সুষম খাদ্য গ্রহণ জরুরি।[3] ত্বক আরোগ্য লাভের সময় যথাযথ কাপড় পরিধান করে ও সানস্ক্রিন ব্যবহার করে সূর্যালোক থেকে ত্বককে রক্ষা করা প্রয়োজন।[1] চিকিৎসা না করালে মৃত্যু ঘটতে পারে। [3] উন্নয়নশীল দেশ বিশেষত সাহারা-নিম্ন আফ্রিকায় এধরনের ঘটনা বেশি ঘটে।[3]