ফুসতাত
মানববসতি / From Wikipedia, the free encyclopedia
ফুসতাত (আরবি: الفسطاط, al-Fusţāţ) বর্তমান মিশরের একটি প্রাচীন নগরী ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা উমর ইবনুল খাত্তাবের শাসনামলে যার গোড়াপত্তন হয়েছিল। সেনাপতি আমর ইবনুল আসের নেতৃত্বে ৬৪১ খ্রিষ্টাব্দে মুসলমানদের মিশর জয়ের পর রাজধানী স্থাপনের উদ্দেশ্যে নীল নদের তীরবর্তী স্থানে এই শহরটি নির্মাণ করা হয়েছিল। প্রায় দুই শত বৎসর এটি মিশরের রাজধানী ছিল। এটি এখন মাসর্ আল-আতিক্বাহ নামীয় পুরাতন কায়রো নগরীর অন্তর্ভুক্ত একটি এলাকা।
ফুসতাত الفسطاط | |
---|---|
মিশরের রাজধানী, ৬৪১–৭৫০, ৯০৫–১১৬৮ | |
ডাকনাম: তাবুর শহর | |
মিশরে ফুসতাতের অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ৩০°০′ উত্তর ৩১°১৪′ পূর্ব | |
বর্তমান | পুরনো কায়রোর অংশ |
রাশিদুন খিলাফত | ৬৪১–৬৬১ |
উমাইয়া খিলাফত | ৬৬১–৭৫০ |
ফাতেমীয় খিলাফত | ৯০৫–১১৬৮ |
প্রতিষ্ঠা | ৬৪১ |
জনসংখ্যা (১২শ শতাব্দী) | |
• মোট | ২,০০,০০০ |
১২শ শতাব্দীতে শহরটি সমৃদ্ধির সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছায়। এ সময় জনসংখ্যা ছিল প্রায় ২,০০,০০০ জন।[1] ফুসতাত ছিল মিশরের প্রশাসনিক কেন্দ্র। ক্রুসেডারদের হাত থেকে ফুসতাতের সম্পদ দূরে রাখার জন্য উজির শাওয়ার ফুসতাতকে আগুনে পুড়িয়ে দেয়ার আদেশের পূর্ব পর্যন্ত এর গুরুত্ব এরূপ ছিল। পরবর্তীতে শহরের বাকি অংশ কায়রোর অংশ করে নেয়া হয়। ফাতেমীয়রা ৯৬৯ খ্রিষ্টাব্দে ফুসতাতের উত্তরে খলিফার রাজকীয় আবাস হিসেবে কায়রো গড়ে তুলেছিল। অঞ্চলটি এরপর শত বছর ধরে সংস্কারহীন অবস্থায় পড়ে থাকে এবং ভাগাড় হিসেবে ব্যবহার হতে থাকে।
রাজধানী যুগের অল্প কিছু দালান এখনো টিকে রয়েছে। প্রত্নতাত্ত্বিক খননের মাধ্যমে এখানকার অনেক ভূগর্ভস্থ নিদর্শন উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে অনেক নিদর্শন কায়রোর ইসলামি শিল্প জাদুঘরে সংরক্ষিত রয়েছে। মিশর ও আফ্রিকায় নির্মিত প্রথম মসজিদ আমর ইবনুল আস মসজিদ এখানে অবস্থিত।