বনবিজ্ঞান
From Wikipedia, the free encyclopedia
বনবিজ্ঞান বা অরণ্যবিজ্ঞান (ইংরেজি: Forestry) হল মানুষ ও প্রাকৃতিক পরিবেশের কল্যাণের জন্য বন, বনভূমি ও তৎসংশ্লিষ্ট সম্পদের সৃষ্টি, ব্যবস্থাপনা, ব্যবহার, সংরক্ষণ এবং মেরামতের বিজ্ঞান ও শ্রমশিল্প।[1] আবাদি জমি অথবা প্রাকৃতিক স্ট্যান্ডে বনবিজ্ঞানের চর্চা করা হয়। বনবিদ্যার প্রধান লক্ষ্য হল এমন পদ্ধতির প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করা যা পরিবেশগত যোগান ও পরিষেবা প্রদানের উদ্দেশ্যে বনের সুব্যবস্থাপনা করবে।[1] নির্বিঘ্ন অথবা ক্ষতির সম্মুখীন যেকোনো সম্পদ ব্যবস্থাপনা করতে গিয়ে একে সামাজিকভাবে গ্রহণযোগ্য করে তোলার মতো পদ্ধতির প্রণয়নই বনবিজ্ঞানের সবচাইতে বড় চ্যালেঞ্জ।[2] যিনি বনবিজ্ঞান অনুশীলনের সাথে যুক্ত থাকেন তাকে বনবিজ্ঞানী বা ফরেস্টার বলা হয়।
এই নিবন্ধটির রচনা সংশোধনের প্রয়োজন হতে পারে। কারণ ব্যাকরণ, রচনাশৈলী, বানান বা বর্ণনাভঙ্গিগত সমস্যা রয়েছে। |
বনচাষ (Silviculture) নামক সংশ্লিষ্ট একটি বিজ্ঞানের পরিসর অপেক্ষাকৃত সংকীর্ণ, যাতে অর্থনৈতিক মূল্য অর্জন ও অভাব মেটানোর উদ্দেশ্যে, বিশেষ করে বাহাদুরি কাঠের উৎপাদনে বনের বৃদ্ধি, গঠন-কাঠামো ও গুণমান নিয়ন্ত্রণের মতো বিষয়গুলি অধ্যয়ন করা হয়।
আধুনিক বনবিজ্ঞানে (নির্মাণ ও আসবাবপত্রের কাঁচামাল হিসেবে) বাহাদুরি কাঠের সরবরাহ, জ্বালানি কাঠ, বন্যপ্রাণীদের আবাসন, প্রাকৃতিক জলের গুণমান ব্যবস্থা, বিনোদন, ভূ-দৃশ্যাবলি ও সম্প্রদায়ের সুরক্ষিতকরণ, কর্মসংস্থান, নান্দনিকভাবে আকর্ষণীয় ভূদৃশ্যাবলি নির্মাণ, জীববৈচিত্র্য ব্যবস্থাপনা, জলবিভাজিকা ব্যবস্থাপনা, ভূমিক্ষয় নিয়ন্ত্রণ, বায়ুমণ্ডলীয় কার্বন ডাই-অক্সাইড নিষ্কাশনের আধার বা কূপ হিসেবে বনসমূহ সংরক্ষণ, ইত্যাদি বহুমুখী ব্যবস্থাপনামূলক কর্মকাণ্ড অধ্যয়ন করা হয়। আধুনিক বনবিজ্ঞানে বিষয়ের পরিসর অত্যন্ত ব্যাপক যাতে বাস্তুতন্ত্র পরিষেবার প্রসঙ্গটি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
বন বাস্তুতন্ত্রগুলোকে জীবমণ্ডলের সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে দেখা হয়।[3] সেইসাথে বনবিজ্ঞান এখন বিজ্ঞান, ফলিত কলা এবং প্রযুক্তির অত্যাবশ্যক ক্ষেত্র হিসেবে আবির্ভুত হয়েছে।