Loading AI tools
বাংলাদেশ নৌবাহিনীর টহল জাহাজ উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
বাংলাদেশ নৌবাহিনী জাহাজ (সংক্ষেপেঃ বানৌজা) পদ্মা বাংলাদেশ নৌবাহিনীর পদ্মা-শ্রেণীর প্রথম ব্যাচের পেট্রোল ক্রাফট বা টহল জাহাজ। এটি গণচীনের কারিগরি ও প্রযুক্তিগত সহায়তায় খুলনা শিপইয়ার্ডে নির্মিত হয়। বর্তমানে জাহাজটি ৩১ পেট্রোল ক্রাফট স্কোয়াড্রোন এর অধীনে সামুদ্রিক এবং উপকূলীয় অঞ্চলে টহল প্রদান, উদ্ধার ও অনুসন্ধান কার্যক্রম, অবৈধ অনুপ্রবেশ ও চোরাচালান রোধ, জলদস্যূতা দমন, মৎস্য ও প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষায় কার্যকরী ভূমিকা রাখতে সক্ষম।[1][2][3][4][5][6]
ইতিহাস | |
---|---|
বাংলাদেশ | |
নাম: | বানৌজা পদ্মা |
নির্মাণাদেশ: | ২ মে, ২০১০ |
নির্মাতা: | খুলনা শিপইয়ার্ড লিমিটেড |
অভিষেক: | ৮ অক্টোবর, ২০১২ |
কমিশন লাভ: | ২৪ জানুয়ারি, ২০১৩ |
মাতৃ বন্দর: | খুলনা |
শনাক্তকরণ: | পি৩১২ |
অবস্থা: | সক্রিয় |
সাধারণ বৈশিষ্ট্য | |
প্রকার ও শ্রেণী: | পদ্মা-শ্রেণীর টহল জাহাজ |
ওজন: | ৩৫০ টন |
দৈর্ঘ্য: | ৫০.৪ মিটার (১৬৫ ফু) |
প্রস্থ: | ৭.৫ মিটার (২৫ ফু) |
উচ্চতা: | ১৩.৭ মিটার (৪৫ ফু) |
গভীরতা: | ১.৯০ মিটার (৬.২ ফু) |
ড্রাফট: | ৪.২ মিটার (১৪ ফু) |
প্রচালনশক্তি: |
|
গতিবেগ: | ২১ নট (৩৯ কিমি/ঘ; ২৪ মা/ঘ) |
সীমা: | ১,৫০০ নটিক্যাল মাইল (২,৮০০ কিমি; ১,৭০০ মা) |
সহনশীলতা: | ৭ দিন |
নৌকা ও অবতরণ নৈপুণ্য বহন করে: | ১টি |
লোকবল: | ৪৫ জন |
সেন্সর এবং কার্যপদ্ধতি: |
|
রণসজ্জা: |
|
টীকা: | ১ × এফার ১৫৫এম ডেক ক্রেন (ইতালি) |
সশস্ত্র বাহিনীর জন্য গৃহীত দীর্ঘমেয়াদী আধুনিকায়ন পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বাংলাদেশ সরকার দেশীয় উৎস থেকে সমরাস্ত্র সংগ্রহ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। সে অনুযায়ী বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জন্য খুলনা শিপইয়ার্ডে জাহাজ নির্মানের পদক্ষেপ নেয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ২ মে, ২০১০ সালে খুলনা শিপইয়ার্ড এবং প্রতিরক্ষা ক্রয় মহাপরিদপ্তর এর মধ্যে জাহাজ নির্মাণ সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ৮ অক্টোবর, ২০১২ সালে জাহাজটিকে প্রথম বারের মত পানিতে ভাসানো হয়। ২৪ জানুয়ারি, ২০১৩ সালে বানৌজা পদ্মা বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে কমিশন লাভ করে। জাহাজটি নির্মাণকালে চায়না ক্ল্যাসিফিকেশন সোসাইটি (সিসিএস) এর নীতিমালা অনুসরণ করা হয়।
বানৌজা পদ্মা জাহাজটির দৈর্ঘ্য ৫০.৪ মিটার (১৬৫ ফু), প্রস্হ ৭.৫ মিটার (২৫ ফু) এবং গভীরতা ৪.১ মিটার (১৩ ফু)। জাহাজটির ওজন ৩৫০ টন এবং জাহাজটিতে রয়েছে ২টি ৩,০৪১ অশ্বশক্তি (২,২৬৮ কিওয়াট) বিশিষ্ট এমটিইউ ডিজেল ইঞ্জিন (জার্মানি), ১টি ১২০ কিলোওয়াট বিশিষ্ট সিএটি জেনারেটর (যুক্তরাজ্য), ১টি ৪৯ কিলোওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন সিএটি ইমারজেন্সি জেনারেটর (যুক্তরাজ্য), জেডএফ ৭৬০০ ট্রান্সমিশন (জার্মানি) এবং ৪টি শ্যাফট। যার ফলে জাহাজটির সর্বোচ্চ গতিবেগ ২১ নট (৩৯ কিমি/ঘ; ২৪ মা/ঘ)। সমুদ্রপৃষ্ঠ অনুসন্ধানের জন্য এটি ১টি ফুরুনো ডিআরএস৪ডব্লিউ র্যাডার (জাপান) এবং ১টি ফুরুনো এফএআর-৩৩২০ চার্ট র্যাডার (জাপান) দ্বারা সজ্জিত। এছাড়াও জাহাজটি ৪৫ জন সদস্য নিয়ে একনাগাড়ে ৭ দিন অভিযান পরিচালনা করতে সক্ষম।
বানৌজা পদ্মা জাহাজটির আকার আয়তন অপেক্ষাকৃত ছোট হলেও নদী এবং উপকূলবর্তী অঞ্চলে অভিযান পরিচালনায় এর সক্ষমতা বিশেষভাবে প্রশংসনীয়। শত্রু জাহাজ মোকাবেলা, চোরাচালান রোধ, জলদস্যূতা দমনে জাহাজটিতে রয়েছে:
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.