বিজয়ওয়াড়া
ভারতীয় মহানগর / From Wikipedia, the free encyclopedia
বিজায়ওয়াড়া[6][7] হল ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যের দ্বিতীয় বৃহত্তম মহানগর।[8] শহরটি রাজ্যের প্রশাসনিক রাজধানী বিশাখাপত্তনমের প্রায় ৩৫০ কিলোমিটার (২২০ মাইল) দক্ষিণ-পশ্চিমে, হায়দ্রাবাদের ২৭৫ কিমি (১৭১ মাইল) দক্ষিণ-পূর্বে এবং চেন্নাইয়ের ৪৫০ কিমি (২৮০ মাইল) উত্তরে অবস্থিত। এটি কৃষ্ণা জেলায় ইন্দ্রকিলাদ্রি পাহাড়[9] নামে পরিচিত পূর্বঘাট পাহাড়[9] দ্বারা বেষ্টিত কৃষ্ণা নদীর তীরে অবস্থিত। বিজয়ওয়াড়া ভৌগলিকভাবে অন্ধ্রপ্রদেশের রাজ্যের কেন্দ্রস্থলে রয়েছে।[10] শহরটিকে অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যের বাণিজ্যিক ও শিক্ষামূলক রাজধানী হিসাবে বর্ণনা করা হয়।[10] এটি অন্ধ্রপ্রদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর ও ভারতের দ্রুত বর্ধনশীল শহুরে অঞ্চলসমূহের মধ্যে অন্যতম।[11][12]
বিজয়ওয়াড়া | |
---|---|
মহানগর | |
ব্যুত্পত্তি: বিজয়ের স্থান | |
ডাকনাম: অন্ধ্রপ্রদেশের বাণিজ্যিক রাজধানী | |
ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যের মানচিত্রে অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ১৬.৫১৯৩° উত্তর ৮০.৬৩০৫° পূর্ব / 16.5193; 80.6305 | |
রাষ্ট্র | ভারত |
রাজ্য | অন্ধ্রপ্রদেশ |
জেলা | কৃষ্ণা |
অন্তর্ভুক্ত (পৌরসভা) | এপ্রিল ১, ১৮৮৮; ১৩৫ বছর আগে (April 1, 1888) |
অন্তর্ভুক্ত (পৌরসংস্থা) | ১৯৮১ |
ওয়ার্ড | ৭৭ |
সরকার[1] | |
• ধরন | পৌরসংস্থা |
• শাসক | বিজয়ওয়াড়া পৌরসংস্থা |
• মেয়র | শূন্য |
আয়তন[2] | |
• মহানগর | ৬১.৮৮ বর্গকিমি (২৩.৮৯ বর্গমাইল) |
• মহানগর[3] | ১৮১.০৪ বর্গকিমি (৬৯.৯০ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১) | |
• মহানগর | ১০,২১,৮০৬[4] |
• ক্রম | ২য় (অন্ধ্রপ্রদেশ) |
• জনঘনত্ব | ১৭,০০০/বর্গকিমি (৪০,০০০/বর্গমাইল) |
• মহানগর | ১৪,৭৬,৯৩১[5] |
বিশেষণ | বিজয়ওয়াড়াবাসী |
সাক্ষরতা | |
• সাক্ষরতা ব্যক্তিদের সংখ্যা | ৭,৮৯,০৩৮ |
• সাক্ষরতার হার | ৮২.৫৯% |
ভাষা | |
• দাপ্তরিক | তেলুগু |
সময় অঞ্চল | আইএসটি (ইউটিসি+৫:৩০) |
পিন | ৫২০xxx |
এলাকা কোড | +৯১–৮৬৬ |
যানবাহন নিবন্ধন | এপি |
ওয়েবসাইট | vijayawada |
বিজায়ওয়াড়া অন্ধ্রপ্রদেশ ও ভারতের অন্যতম দর্শনীয় ও বিখ্যাত মন্দির হিন্দু দেবী দুর্গার কনক দুর্গা মন্দিরের অবস্থানের জন্য পবিত্র স্থান হিসাবে বিবেচিত হয়।[13] এটি কৃষ্ণা নদীর পুশকরামের (ভারতে একটি নদী পূজা অনুষ্ঠান) আচার অনুষ্ঠানের কাজ করে।[14] জনশ্রুতি আছে যে, ভারতীয় মহাকাব্য মহাভারতের অন্যতম বীর অর্জুন নগরীর ইন্দ্রকিলাদ্রি পাহাড়ের চূড়ায় প্রার্থনা করেন এবং কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে পাশুপত অর্জন করাতে শিবের আশীর্বাদ লাভ করেন।[10] বছরের পর বছর ধরে চলে আসা বিজয়াবাটিকা নামটি চোল রাজবংশের সময়ে রাজেন্দ্র চোল পুরা পরিবর্তন করেন এবং শহরের নাম পরিবর্তন করে ব্রিটিশ শাসনামলে বেজাওয়াদা ও শেষ পর্যন্ত বিজয়ওয়াড়া করা হয়।[15]
শহরটি শহুরে জনসংখ্যার হিসাবে বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ তিনটি নির্মানাধীন শহুরে এলাকা মধ্যে একটি। [16] ষষ্ঠ কেন্দ্রীয় বেতন কমিশন অনুযায়ী বিজয়ওয়াড়াকে ওয়াই-শ্রেণিভুক্ত শহরের হিসাবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়।[17] এই শহরটি এক মিলিয়নেরও বেশি জনসংখ্যা সহ রাজ্যের মধ্যে দ্বিতীয় জনবহুল শহর।[18] এটি ম্যাককিন্সে কোয়ার্টারলি (বাংলা: ম্যাককিন্সে ত্রৈমাসিক) দ্বারা ২০২৫ সালের মধ্যে জিডিপি বৃদ্ধি পেয়ে ১৭ বিলিয়ন ডলারে পৌছানোর পূর্বাভাসের সাথে "ভবিষ্যতের গ্লোবাল সিটি" হিসাবে স্বীকৃত হয়। [19][20] শহরটি ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে আইএসও ৩৭১২০ প্ল্যাটিনাম স্তরের শংসাপত্রের সাথে ভূষিত করা হয় এবং "গ্লোবাল সিটিস রেজিস্ট্রি"-এ যুক্ত হয়।[21][22]
বেশ কয়েকটি সুপরিচিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের উপস্থিতির কারণে, শহরে দেশব্যাপী অধ্যয়নরত প্রচুর শিক্ষার্থী সাথে শহরটি সাম্প্রতিক সময়ে একটি বড় শিক্ষা কেন্দ্র হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছে। অক্সফোর্ড ইকোনমিক্স দ্বারা প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন, শহরটিকে ২০৩৫ সালের মধ্যে বিশ্বের দশম দ্রুততম বর্ধনশীল অর্থনীতি হিসাবে উপস্থাপন করে।[23] বিনোদন, নির্মাণ, খাদ্য, পাশাপাশি শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, পরিবহনের ক্ষেত্রে শহরের রেটিংয়ের কারণে[24] আবাসন ও নগর বিষয়ক মন্ত্রণালয়[25] দ্বারা প্রকাশিত বসবাসযোগ্যতার সূচক অনুযায়ী শহরটি ভারতের নবম বসবাসযোগ্য শহর ও অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যের দ্বিতীয় বসবাসযোগ্য শহর হিসাবে স্থান অর্জন করে।[26]