Loading AI tools
উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড জাহাজ (শিপ) (সংক্ষেপেঃ বিসিজিএস) অপূর্ব বাংলা বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের একটি সবুজ বাংলা শ্রেণীর ইনশোর প্যাট্রোল ভেসেল বা টহল জাহাজ। এটি গণচীনের কারিগরি ও প্রযুক্তিগত সহায়তায় ডকইয়ার্ড অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস লিমিটেড কর্তৃক নির্মিত হয়। বর্তমানে জাহাজটি কোস্ট গার্ড পূর্ব-জোন চট্টগ্রাম এর অধীনে সামুদ্রিক এবং উপকূলীয় অঞ্চলে টহল প্রদান, উদ্ধার ও অনুসন্ধান কার্যক্রম, অবৈধ অনুপ্রবেশ ও চোরাচালান রোধ, জলদস্যূতা দমন, মৎস্য ও প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষায় কার্যকরী ভূমিকা রাখতে সক্ষম।[1][2][3][4][5][6][7][8][9][10][11][12][13][14][15][16][17][18][19][20][21][22][23]
বিসিজিএস স্বাধীন বাংলা, বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড পশ্চিম জোন সদর দপ্তর, মোংলা, বাগেরহাট | |
ইতিহাস | |
---|---|
বাংলাদেশ | |
নাম: | বিসিজিএস অপূর্ব বাংলা |
নির্মাণাদেশ: | ৬ জুন, ২০১৭ |
নির্মাতা: | ডকইয়ার্ড অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস লিমিটেড |
নির্মাণের সময়: | ১২ ডিসেম্বর, ২০১৭ |
অভিষেক: | ৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ |
অর্জন: | ১১ মে, ২০২২ |
কমিশন লাভ: | ২১ জুন, ২০২৩ |
শনাক্তকরণ: | পিসি২০৭ |
অবস্থা: | সক্রিয় |
সাধারণ বৈশিষ্ট্য | |
প্রকার ও শ্রেণী: | সবুজ বাংলা-শ্রেণীর টহল জাহাজ |
ওজন: | ৩১৫ টন |
দৈর্ঘ্য: | ৫২.৮০ মিটার (১৭৩.২ ফু) |
প্রস্থ: | ৭.৪০ মিটার (২৪.৩ ফু) |
ড্রাফট: | ১.৯৫ মিটার (৬.৪ ফু) |
গভীরতা: | ৪.১০ মিটার (১৩.৫ ফু) |
প্রচালনশক্তি: |
|
গতিবেগ: | ২৩ নট (৪৩ কিমি/ঘ; ২৬ মা/ঘ) |
সীমা: | ১,৫০০ নটিক্যাল মাইল (২,৮০০ কিমি; ১,৭০০ মা) |
সহনশীলতা: | ৭ দিন |
নৌকা ও অবতরণ নৈপুণ্য বহন করে: | ১টি |
লোকবল: | ৪৫ জন |
সেন্সর এবং কার্যপদ্ধতি: |
|
রণসজ্জা: |
|
টীকা: | ১ × এফার ২২০এম ডেক ক্রেন (ইতালি) |
বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের জন্য গৃহীত দীর্ঘমেয়াদী আধুনিকায়ন পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বাংলাদেশ সরকার দেশীয় উৎস থেকে সমরাস্ত্র সংগ্রহ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। সে অনুযায়ী বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের জন্য ডকইয়ার্ড অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস লিমিটেড এ জাহাজ নির্মানের পদক্ষেপ নেয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ৬ জুন, ২০১৭ সালে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের জন্য ২টি ইনশোর প্যাট্রোল ভেসেল নির্মাণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড এবং ডকইয়ার্ড অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস লিমিটেড এর মধ্যেকার জাহাজ নির্মাণ সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। সম্পাদিত চুক্তির অংশ হিসেবে বিসিজিএস অপূর্ব বাংলা জাহাজটি নির্মিত হয়। জাহাজটি নির্মাণকালে চায়না ক্ল্যাসিফিকেশন সোসাইটি (সিসিএস) এর নীতিমালা অনুসরণ করা হয়। ১২ ডিসেম্বর, ২০১৭ সালে ডকইয়ার্ড অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস লিমিটেড প্রাঙ্গনে এক অনুষ্ঠানে কিল লেয়িং এর মাধ্যমে নির্মাণ কাজের আনুষ্ঠানিক সূচনা করা হয়। নির্মাণকাজ শেষে ০৩ আগস্ট, ২০১৯ সালে তৎকালীন বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের মহাপরিচালক রিয়ার এডমিরাল এম আশরাফুল হক, এনডিইউ, এনডিসি, এএফডব্লিউসি, পিএসসি মহোদয়ের উপস্থিতিতে জাহাজটির লঞ্চিং অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। ডকইয়ার্ড অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস লিমিটেড এর তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমোডর শামসুল আলম, (জি), এনইউপি, এনডিইউ, পিএসসি-বিএন, এর সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানটির জিএমবৃন্দ ছাড়াও বাংলাদেশ নৌবাহিনী, বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড বাহিনী, ও ডকইয়ার্ডের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
পরবর্তীতে ১১ মে, ২০২২ সালে খুলনা শিপইয়ার্ড লিমিটেডে বুধবার দুপুরে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের নিকট আনুষ্ঠানিকভাবে জাহাজটি হস্তান্তর করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব জনাব মো. আখতার হোসেন, ঢাকায় নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত অ্যান ভেন লিউইন, খুলনা নেভাল এরিয়া কমান্ডার রিয়ার অ্যাডমিরাল এম. আনোয়ার হোসেন এনজিপি পিসিজিএম এনডিসি এএফডব্লিউসি পিএসসি, বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের তৎকালীন মহাপরিচালক রিয়ার অ্যাডমিরাল আশরাফুল হক চৌধুরী, খুলনা শিপইয়ার্ড লিমিটেডের কমডোর এম শামসুল আজিজ (এল) এনজিপি পিএসসি বিএন এমডি, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) কমিশনার মো. মাসুদুর রহমান ভূঞা, খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি ড. খন্দকার মহিদ উদ্দিন বিপিএম (বার) এবং পিটিসি খুলনার ডিআইজি (কমান্ড্যান্ট) মহা. আশরাফুজ্জামান বিপিএম। এ ছাড়া খুলনায় অবস্থানরত সামরিক ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, গণ্যমান্য ব্যক্তি, সরকারি-বেসরকারি প্রশাসনিক শীর্ষ কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। অবশেষে ২১ জুন, ২০২৩ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানীতে তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে চট্টগ্রাম বিসিজি পতেঙ্গা বার্থ প্রাঙ্গণে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অংশগ্রহ করে ফ্লোটিং ক্রেন জাহাজটির কমিশনিং সম্পন্ন করেন। আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ফ্রান্স ভিত্তিক ক্লাসিফিকেশন সোসাইটি ব্যুরো ভ্যারিটাস (বিভি) এর নীতিমালা অনুসরন করে জাহাজটি নির্মাণ করা হয়।
বিসিজিএস অপূর্ব বাংলা জাহাজটির দৈর্ঘ্য ৫২.৮০ মিটার (১৭৩.২ ফু), প্রস্হ ৭.৪০ মিটার (২৪.৩ ফু) এবং গভীরতা ৪.১০ মিটার (১৩.৫ ফু)। জাহাজটির ওজন ৩১৫ টন এবং জাহাজটিতে প্রচলন শক্তি হিসেবে রয়েছে:
যার ফলে জাহাজটির সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘন্টায় ২৩ নট (৪৩ কিমি/ঘ; ২৬ মা/ঘ)। এছাড়াও জাহাজটি ৪৫ জন সদস্য নিয়ে একনাগাড়ে ৭ দিন অভিযান পরিচালনা করতে সক্ষম। সেন্সর এবং কার্যপদ্ধতি হিসেবে জাহাজটিতে রয়েছে:
বিসিজিএস অপূর্ব বাংলা জাহাজটির আকার আয়তন অপেক্ষাকৃত ছোট হলেও এর সক্ষমতা আধুনিক বিশ্বে ব্যবহৃত সর্বাধুনিক প্রযুক্তিসমৃদ্ধ। শত্রু জাহাজ মোকাবেলা, চোরাচালান রোধ, জলদস্যূতা দমনে জাহাজটিতে রয়েছে:
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.