ব্যবহারকারী:ImamAnik/মুহাম্মদ বাখিত আল-মুতাঈ
From Wikipedia, the free encyclopedia
মুহাম্মদ বাখিত আল-মুতাঈ (১৮৫৪ অথবা ১৮৫৬ - ১৯৩৫) ছিলেন মিশরের গ্র্যান্ড মুফতি, শরিয়া আদালতের বিচারক, আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয় এর রেক্টর (উপাচার্য এর সমতুল্য) এবং তার সময়কার অন্যতম প্রধান হানাফী - মাতুরিদি পণ্ডিত। তিনি আল-আজহারে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষা লাভ করেন এবং কয়েক বছর ধরে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছিলেন। ১৯১৪ সালে তিনি প্রধান মুফতি হিসেবে নিযুক্ত হন, যে উপাধি তিনি সাত বছর ধরে রেখেছিলেন। তিনি জামাল আল-দীন আল-আফগানি এবং মুহাম্মদ আবদুহের নেতৃত্বে ইসলামী সংস্কার আন্দোলনের চরম শত্রু হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তিনি একজন ধর্মপ্রাণ আলেম হিসাবেও পরিচিত ছিলেন যিনি একটি নির্দিষ্ট ফতোয়া জারি করার জন্য সরকারী চাপের কাছে মাথা নত করার পরিবর্তে মুফতি পদ থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নেন। [1]
মুহাম্মদ বাখিত আল-মুতাঈ محمد بخيت المطيعي | |
---|---|
ব্যক্তিগত তথ্য | |
জন্ম | ১৮৫৬ খ্রিষ্টাব্দ (১২৭১ হিজরি) আস্যুত, মিসর |
মৃত্যু | ১৯৩৫ খ্রিষ্টাব্দ (১৩৫৪ হিজরি) |
ধর্ম | ইসলাম |
জাতীয়তা | ![]() |
আখ্যা | সুন্নি |
ব্যবহারশাস্ত্র | হানাফি |
ধর্মীয় মতবিশ্বাস | মাতুরিদি |
প্রধান আগ্রহ | আকিদা, কালাম (ইসলামি ধর্মতত্ত্ব), তাওহীদ, ফিকহ (ইসলামী আইনশাস্ত্র), উসুলে ফিকহ, হাদিস শিক্ষা, তাফসির, যুক্তিবিদ্যা, দর্শন |
উল্লেখযোগ্য কাজ | তাথির উল-ফুআদ মিন দানাস আল-ঈতিকাদ (আরবি: تطهير الفؤاد من دنس الاعتقاد) |
মুসলিম নেতা | |
যার দ্বারা প্রভাবিত
| |
যাদের প্রভাবিত করেন
|
বাখিত আল-আজহারে অধ্যয়ন করেন এবং ১৮৭৫ থেকে ১৮৮০ সাল পর্যন্ত সেখানে শিক্ষকতা চালিয়ে যান। পরবর্তীতে তিনি কালিউবিয়ার কাজী হিসেবে নিযুক্ত হন এবং এরপর বিভিন্ন প্রাদেশিক কেন্দ্র, আলেকজান্দ্রিয়া এবং কায়রোতে বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯১৪ সালের ২১ ডিসেম্বর মিশরের প্রধান মুফতি নিযুক্ত হন এবং ১৯২১ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। তিনি আল-আজহারে মুহাম্মাদ আবদুহ -এর সংস্কারের বিরোধিতা করেছিলেন, 1919 সালের মিসরীয় বিপ্লবের মাঝামাঝি সময়ে বলশেভবাদ (সম্ভবত যার অর্থ রাজনৈতিকভাবে অনুপ্রাণিত সহিংসতা) এর বিরুদ্ধে মুসলমানদের সতর্ক করার জন্য একটি ফতোয়া (মুসলিম আইনি মতামত) জারি করেছিলেন, এবং কুরআনের অনুবাদ, নারীর অধিকার এবং পারিবারিক আওকাফের বিলুপ্তি এই জাতীয় বিষয়ে রক্ষণশীল অবস্থান গ্রহণ করেছিলেন। তিনি প্রধান মুফতি পদ থেকে সরে যাওয়ার পর, তিনি 'আলী আবদেল রাজিকের আল-ইসলাম ওয়া উসুল আল-হুকম (ইসলাম এবং শাসনের মূলনীতি) এর কঠোরভাবে সমালোচনা করেন। [2]