![cover image](https://wikiwandv2-19431.kxcdn.com/_next/image?url=https://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/0/03/Makkasan_Interchange_at_night_by_Mark_Fischer.jpg/640px-Makkasan_Interchange_at_night_by_Mark_Fischer.jpg&w=640&q=50)
ব্যাংককের পরিবহন ব্যবস্থা
From Wikipedia, the free encyclopedia
ব্যাংককে ৯.৭ মিলিয়ন মোটরগাড়ি এবং মোটরবাইক রয়েছে। সরকারের মতে যথাযথভাবে হিসাব করলে বিদ্যমান রাস্তাগুলোতে চলাচলকারী যানবাহনের সংখ্যা প্রদত্ত সংখ্যার আট গুণ বেশি হতে পারে।[2] শহরটিতে প্রতিদিন অতিরিক্ত ৭০০টি গাড়ি এবং ৪০০টি মোটরবাইক যুক্ত হচ্ছে।[3] ১৮১১ সালে সম্পন্ন হওয়া চারেং ক্রুং সড়ক হল শহরটিতে পশ্চিমা কৌশল দ্বারা নির্মিত প্রথম রাস্তা। তারপরে বিস্তৃত শহরটির চাহিদা মেটানোর জন্য সড়ক ব্যবস্থা বিস্তৃত হয়েছে। সড়কের পাশাপাশি ব্যাংকক শহরে অন্যান্য পরিবহন ব্যবস্থার দ্বারা সজ্জিত। ব্যাংককের খাল ও ফেরীগুলো ঐতিহাসিকভাবে পরিবহনের একটি প্রধান মাধ্যম হিসেবে কাজ করে, তবে বর্তমান সময়ে শহরের মূল পরিবহন ব্যবস্থা স্থল বা সড়ক পথে স্থানান্তরিত হয়েছে। একটি জটিল উত্তলিত এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবস্থা শহরের কেন্দ্রস্থলে এবং শহরের বাইরে যানচলাচলকে সংযুক্ত করতে সহায়তা করে। তবে ব্যাংকক শহরের দ্রুত বৃদ্ধির ফলে শহরের অবকাঠামোর উপর বড় চাপ সৃষ্টি হয়েছে। ১৯৭০-এর দশকের শেষদিকে ব্যাংকক "ট্র্যাফিক দুর্যোগের শহর" হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠেছিল।[4] যদিও ১৮৯৩ সালে রেল পরিবহন চালু করা হয়েছিল এবং ১৮৯৪ থেকে ১৯৬৮ সাল পর্যন্ত বৈদ্যুতিক ট্রাম ব্যবস্থা শহরটিতে চালু ছিল, তবে ১৯৯৯ সালে ব্যাংককের প্রথম দ্রুতগামী গণপরিবহন ব্যবস্থা চালু হয়েছিল। পুরাতন সরকারি পরিবহন ব্যবস্থাগুলোর মধ্যে বিস্তৃত বাস পরিষেবা এবং নৌকা পরিষেবা উল্লেখযোগ্য। নৌ পরিষেবা এখনও চওড রায়ায় এবং দুটি খালে চালু রয়েছে। ট্যাক্সি, মোটরসাইকেল এবং অটোরিক্সা শহরের পরিবহন ব্যবস্থার সঙ্গে সংযুক্ত।
![Night photograph looking down at a large elevated road interchange; many billboards along the roads](http://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/0/03/Makkasan_Interchange_at_night_by_Mark_Fischer.jpg/640px-Makkasan_Interchange_at_night_by_Mark_Fischer.jpg)
ব্যাংকক দেশের অবশিষ্ট অংশের সঙ্গে মহাসড়ক ও রেল ব্যবস্থা এবং শহরের অভ্যন্তরে অবস্থিত দুটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মাধ্যমে সংযুক্ত। শতাব্দী প্রাচীন খলং তোই বন্দরের মাধ্যমে এখনও সমুদ্র বাণিজ্য পরিচালিত হয়।
ব্যাংকক মহানগর প্রশাসন (বিএমএ) তার জনকল্যাণ বিভাগ এবং যানবাহন ও পরিবহন বিভাগের মাধ্যমে শহরটির সড়ক ব্যবস্থা এবং পরিবহন ব্যবস্থার নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজে নিয়োজিত রয়েছে। তবে, পৃথক সরকারি সংস্থাগুলো পৃথক ব্যবস্থার দায়িত্বেও রয়েছে এবং পরিবহন সম্পর্কিত নীতি পরিকল্পনা ও তহবিলের বেশিরভাগই জাতীয় সরকার দ্বারা প্রদান করা হয়। ২০১১ সালের আগস্ট মাসে প্রধানমন্ত্রী প্রয়ত চন-ও-চাও পুলিশকে সমন্বিত যানবাহন নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা (ট্র্যাফিক কন্ট্রোল সিস্টেম) ব্যবহার করে তিন মাসের মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনা নির্মূল করার নির্দেশ দেন। তিনি যানবাহন নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বগুলোতে অবহেলাকারীর বিরুদ্ধে যে কোনো থানায় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের হুমকি দেন।[5][6] ১৯৯৫ সালে প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রা একই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন: যেখানে তিনি বলেছিলেন যে ছয় মাসের মধ্যে যানবাহন সমস্যাগুলোকে সহজতর করা হবে।[7]