Loading AI tools
বর্মী রাজনীতিবিদ উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
ব্য সুউ (বর্মী: ဘဆွေ, উচ্চারিত: [ba̰ sʰwè] (১৭ অক্টোবর ১৯১৫ - ৬ ডিসেম্বর ১৯৮৭) বার্মার দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। ১৯৪৮ সালে ব্রিটিশ শাসন থেকে স্বাধীনতা লাভের পরের দশকের দেশটির শীর্ষস্থানীয় রাজনীতিবিদ ছিলেন। ১২ জুন, ১৯৫৬ থেকে ২8 ফেব্রুয়ারি, ১৯৫৭ পর্যন্ত তিনি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৩০ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নকালেই এই ছাত্র নেতা বিগ টাইগার বা শক্তিমান বাঘ হিসেবে পরিচিতি পান। পরে ব্য সুউ যখন প্রধানমন্ত্রী হন তখন টাইম ম্যাগাজিন তার উপাধী 'শক্তিমান বাঘ' এর উপর ভিত্তি করে ' বড় বাঘের দিন' নামে একটি প্রবন্ধ প্রকাশ করেন[1]।
ব্য সুউ | |
---|---|
দ্বিতীয় মায়ানমারের প্রধানমন্ত্রী | |
কাজের মেয়াদ ১২ জুন ১৯৫৬ – ২৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৫৭ | |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | ১৭/১০/১৯১৫ দেউই, তাভোই; ব্রিটিশ বার্মা |
মৃত্যু | ০৬/১২/১৯১৫ রেঙ্গুন, বার্মা |
জাতীয়তা | বার্মিজ |
রাজনৈতিক দল | অ্যান্টি ফ্যাসিস্ট পিপল'স ফ্রিডম লীগ |
দাম্পত্য সঙ্গী | নু নু সুউ |
সন্তান | না নিউ ব্য সুউ না মই ব্য সুউ নায় কিউ ব্য সুউ নায় তুন ব্য সুউ নায় ঈ ব্য সুউ নায় বালা ব্য সুউ নায় নাইনাত ব্য সুউ নায় ফো ব্য সুউ নায় সে ব্য সুউ নায় মিন ব্য সুউ |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | রেঙ্গুন বিশ্ববিদ্যালয় |
পেশা | প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী, রাজনীতিবিদ |
জীবিকা | রাজনীতি |
ধর্ম | বৌদ্ধ |
ব্য সুউ ১৯৪২ সালে নু নু সুউ কে বিবাহ করেন। যার বাবা ইউ হালওয়ান ফু ছিলেন মাগুই জেলার পালাউ টাউনশীপের একটি খনির মালিক। সুউ দম্পতির ১০ সন্তান ছিল।
১৯৫৬ সালে সংসদীয় নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ব্য সুউ দেশটির প্রধানমন্ত্রী হন। তবে তার দল অ্যান্টি ফ্যাসিস্ট পিপল'স ফ্রিডম লীগ (এএফপিএলএল) ক্ষমতায় থাকলেও ৩৭% ভোটে জয়ী বামপন্থী জোট হিসেবে পরিচিত ন্যাশনাল ইউনাইটেড ফ্রন্ট নেতৃত্বের সুযোগ পায়। সংসদে এনইউএফ আসনের সংখ্যা বেড়ে যায়। কিন্তু, 'প্রথম-অতীতের পদের' নির্বাচন পদ্ধতির কারণে, বার্মিজ সংসদে এনইউএফ এর প্রতিনিধিত্বটি যে আসনগুলি পেয়েছে তাতে প্রতিফলিত হয়নি। তদাপি, নির্বাচনের এই ফলাফল এএফপিএলএলের জন্য আতঙ্কের কারণ।
এএফপিএল'র জৈষ্ঠ নেতা ইউ নু এর সঙ্গে বিরোধের জেরে ১৯৫৮ সালের মাঝামাঝি সময় ব্য ইউ দল থেকে বিতারিত হন। এ ঘটনায় ৪ জুন ১৯৫৮ ব্য সুউ তার সহযোদ্ধা ক্যউ নেইনসহ ১৩ জন মন্ত্রী সরকারের উপর অনাস্থা এনে থেকে পদত্যাগ করেন। ৮ জুন ১৯৫৮ পার্লামেন্টে এক গণভোটে ইউ নু'র পক্ষে ৮টি ভোট বেশি পড়ে। এএফপিএল দুইভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে। ইউ নু 'স্বচ্ছ এএফপিএল' ও ব্য ইউ 'স্থায়ী এএফপিএল' গঠন করেন। 'স্বচ্ছ এএফপিএল' পরবর্তীতে ইউনিয়ন পার্টি নামে আত্মপ্রকাশ করে।
১৯৬০ সালের ফেব্রুয়ারিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার জেনারেল নে ইউন এর অধীনে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করে ইউ নু'র 'ইউনিয়ন পার্টি' ও ব্য ইউ'র 'স্থায়ী এএফপিএল'। নির্বাচনে ইউ নু'র দল বিজয় লাভ করে।
ক্ষমতাচুত্যের পর ব্য সুউ মৃত বাঘে পরিনত হন। সে সরাসরি সামরিক বাহিনী দ্বারা আটক না হলেও এক রকম গৃহবন্দী ছিলেন।
২২ অক্টোবর ১৯৬৬ সালে মুক্তি পেয়ে বিদেশে যা চিকিৎসার জন্য। ব্য সুউ ১৯৮৭ সালের ডিসেম্বরে মৃত্যুবরণ করেন।
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.