ব্রাহ্মী লিপি
ভারত উপমহাদেশ ও মধ্য এশিয়ায় ব্যবহৃত পুরনো আবুগিডা লিখন পদ্ধতি / From Wikipedia, the free encyclopedia
ব্রাহ্মী লিপি একটি পুরনো লিখন পদ্ধতির নাম। এটি খ্রিস্টপূর্ব শেষ শতকগুলোতে এবং খ্রিস্টের জন্মের পর প্রথম শতকগুলোতে ভারত উপমহাদেশ ও মধ্য এশিয়ায় ব্যবহৃত হতো। এর সমসাময়িক লিপি হচ্ছে খরোষ্ঠী যা আফগানিস্তান ও পাকিস্তানে ব্যবহৃত হতো। এটি শব্দীয় বর্ণমালা লিপি, যেখানে স্বরবর্ণ এবং ব্যঞ্জনবর্ণ আলাদা হয়ে থাকে।
ব্রাহ্মী | |
---|---|
লিপির ধরন | |
সময়কাল | আনুমানিক খ্রিষ্টপূর্ব ৪র্থ শতাব্দী থেকে আনুমানিক ৫ম শতাব্দী |
লেখার দিক | বাম-থেকে-ডান |
ভাষাসমূহ | শক, তুকারিয়ান, মধ্য ইন্দো-আর্য (প্রাকৃত) ভাষাসমূহ, দ্রাবিড়ীয় ভাষাসমূহ (তামিল এবং অন্যান্য) |
সম্পর্কিত লিপি | |
উদ্ভবের পদ্ধতি | |
বংশধর পদ্ধতি | গুপ্ত, পল্লব লিপি, এবং অন্যান্য লিপি |
ভগিনী পদ্ধতি | খরোষ্ঠী |
আইএসও ১৫৯২৪ | |
আইএসও ১৫৯২৪ | Brah, 300 , ব্রাহ্মী |
ইউনিকোড | |
ইউনিকোড উপনাম | ব্রাহমি |
ইউনিকোড পরিসীমা | U+11000–U+1107F |
এই নিবন্ধে আধ্বব চিহ্ন রয়েছে। সঠিক রেন্ডারিং সমর্থন ছাড়া, আপনি হয়ত ইউনিকোড অক্ষরের বদলে জিজ্ঞাসা চিহ্ন, বাক্স বা অন্য কোনো চিহ্ন দেখবেন। |
ব্রাহ্মী লিপি বেশি পরিচিতি লাভ করেছে সম্রাট অশোকের পাথরখচিত বাণী থেকে। এটি উত্তর-মধ্য ভারতে স্থাপিত হয় ২৫০-২৩২ খ্রিস্টপূর্বাব্দে। লিপিটি ১৮৩৭ সালে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কর্মকর্তা, প্রত্নতাত্ত্বিক ও ভাষাবিদ জেমস প্রিন্সেপ আবিষ্কার করেন। লিপিটির উৎসস্থল নিয়ে এখনো অনেক বিতর্ক আছে। পশ্চিমা ভাষা একাডেমির মতে ব্রাহ্মী লিপি সেমিটিক লিপি থেকে উৎপন্ন হয়েছে। নাহলে অন্তত প্রভাবিত হয়েছে।
কিন্তু বর্তমানে ভারতে একটি মতামত প্রচলিত আছে যেখানে বলা হয় ব্রাহ্মী লিপি পুরনো সিন্ধু সভ্যতার কোনো লিপি যেটি এখনো অনাবিষ্কৃত রয়ে গেছে।
ব্রাহ্মী একসময় ইংরেজিতে "পিন-ম্যান" নামে পরিচিত ছিল। ৫ম শতকের গুপ্তলিপিকে মাঝেমাঝে "পরবর্তী ব্রাহ্মী" বলা হয়।
ব্রাহ্মীলিপি থেকে অসংখ্য লিপি উৎপন্ন হয়েছিল। বর্তমানে অনেকগুলো আধুনিক লিপি ভারতসহ পূর্বএশিয়ায় সগৌরবে চলছে। তাই ব্রাহ্মী বিশ্বের সর্বাধিক প্রভাবক লিপি হিসেবে সমাদৃত। এক সমীক্ষায় দেখা গেছে ১৯৮টি লিপি ব্রাহ্মী থেকে উৎপন্ন হয়েছে।
লিপিটির নিজস্ব সংখ্যা ব্যবস্থা আছে। ব্যবস্থাটি ইন্দো-আরবী সংখ্যা পদ্ধতির মৌলিক যোগান দিয়েছে যা এখন সারা বিশ্বে ব্যবহৃত হচ্ছে।