ভূত চতুর্দশী
হিন্দু উৎসব / From Wikipedia, the free encyclopedia
ভূত চতুর্দশী হল একটি বার্ষিক হিন্দু উৎসব, যা দীপাবলির পাঁচ দিনব্যাপী উৎসবের দ্বিতীয় দিন। এটি হিন্দু পঞ্জিকার কার্তিক মাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশী তিথিতে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে।[1] পশ্চিম ও দক্ষিণ ভারতে এই তিথিটি নরক চতুর্দশী নামে পরিচিত। এ ছাড়াও কোথাও কোথাও ছোট দিওয়ালি, রূপ চৌদাস, নরকা চৌদাস, রূপ চতুর্দশী বা নরক পূজা নামেও পরিচিত।[2] এই দিনে চোদ্দশাক খাওয়া এবং চোদ্দ প্রদীপ প্রজ্বলনের রীতি প্রচলিত আছে৷[3] হিন্দু গ্রন্থ মতে, এই দিনে কৃষ্ণ ও সত্যভামা নরকাসুরকে বধ করেছিলেন।[4][5]
ভূত চতুর্দশী | |
---|---|
অন্য নাম | নরক চতুর্দশী, রূপ চতুর্দশী, কালি চতুর্দশী |
ধরন | হিন্দু |
পালন | প্রার্থনা, ধর্মীয় অনুষ্ঠান ও পূর্ব পুরুষের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন |
তারিখ | কার্তিক মাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশী তিথি |
সংঘটন | বার্ষিক |
সম্পর্কিত | ধনতেরাস, দীপাবলি |
উৎসবটিকে কালি চৌদাসও বলা হয়। কালি মানে অন্ধকার ও চৌদস মানে চৌদ্দ তারিখ। এটি কার্তিক কৃষ্ণপক্ষের চান্দ্র মাসের ১৪ তম দিনে পালিত হয়। [6][7] ভারতের কিছু অঞ্চলে, কালি চৌদাস হল মহাকালী বা শক্তি উপাসনার নির্ধারিত দিন। কালি চৌদাস হল অলসতা ও মন্দতা দূর করার দিন যা মানুষের জীবনে আলো প্রদান করে। মৃত্যুর দেবতা যমকেও এই দিনে প্রদীপ জ্বালিয়ে পূজা করা হয় যা নরকের যন্ত্রণা থেকে রক্ষা করে বলে বিশ্বাস করা হয়।[6][8]
এই তিথিতে চোদ্দ বাতি বা চোদ্দ প্রদীপ প্রজ্বলনও করা হয়৷ মনে করা হয় চতুর্দশ ঊর্ধ্বতন পূর্বপুরুষের উদ্দেশে এই প্রদীপ প্রজ্বলন করা হয়৷ গৃহকোণ পরিষ্কার করে ফুল এবং বিভিন্ন রকমের রঙ্গোলি বা আলপনায় আঁকা হয়৷[9]