মধ্যপ্রদেশ
ভারতের একটি রাজ্য / From Wikipedia, the free encyclopedia
মধ্যপ্রদেশ (হিন্দি: मध्य प्रदेश; /ˌmɑːdjə
মধ্যপ্রদেশ मध्य प्रदेश | |
---|---|
রাজ্য | |
মধ্যপ্রদেশ রাজ্য | |
উপরে থেকে, বাম থেকে ডানে: ইউনেস্কো মন্দির খাজুরাহো স্মারকসমূহ, সাঁচী, কানহা জাতীয় উদ্যানে চিত্রা হরিণ, জব্বলপুর কাছাকাছি মার্বেল রকস, ভীমবেটকা প্রস্তরক্ষেত্র প্রাচীন শহর মান্ডুর আশ্রয়কেন্দ্র এবং জাহাজ মহল | |
ব্যুত্পত্তি: Central Province | |
ডাকনাম: "Heart of India" | |
নীতিবাক্য: Satyameva Jayate (Truth alone triumphs) | |
সঙ্গীত: Mera Madhya Pradesh (My Madhya Pradesh) | |
স্থানাঙ্ক: ২৩.১৭° উত্তর ৭৭.২১° পূর্ব / 23.17; 77.21 | |
রাজ্যের রাজধানী | ভোপাল |
বৃহত্তম শহর | ইন্দোর |
সরকার | |
• রাজ্যপাল | লালজি ট্যান্ডন |
• মুখ্যমন্ত্রী | মোহন যাদব(ভাজপা) |
• মধ্যপ্রদেশের মুখ্যসচিব | রামেশ সাহানি |
এলাকার ক্রম | ২য় |
জনসংখ্যা [1] | |
• মোট | ৭,২৬,২৬,৮০৯ |
• ক্রম | ৫ম |
ওয়েবসাইট | www.mp.gov.in |
প্রতীক | |
ভাষা | হিন্দি |
সংগীত | মধ্য প্রদেশ গণ |
নৃত্য | মঞ্চ |
পাখি | শাহ-বুলবুল |
মাছ | মহাশোল[2] |
ফুল | সাদা পদ্মফুল |
ফল | আম |
বৃক্ষ | বট গাছ |
বর্তমান মধ্যপ্রদেশের আওতাভুক্ত অঞ্চলটিতে প্রাচীন অবন্তী মহাজনপদের অঞ্চল অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, যার রাজধানী ছিল উজ্জয়নী (অবন্তিকা নামেও পরিচিত)। খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতাব্দীতে ভারতীয় নগরায়ণের দ্বিতীয় পর্যায়ে সময়ে একটি প্রধান শহর হিসাবে গড়ে উঠেছিল। পরবর্তীকালে, এই অঞ্চলটি ভারতের প্রধান রাজবংশ দ্বারা শাসিত হয়েছিল। আঠারো শতকের গোড়ার দিকে এই অঞ্চলটি কয়েকটি ছোট ছোট রাজ্যে বিভক্ত হয়েছিল, যা ব্রিটিশদের দ্বারা দখল করা হয় এবং মধ্যপ্রদেশ, বেরার ও মধ্য ভারতীয় ইউনিয়নে অন্তর্ভুক্ত হয়। ভারতের স্বাধীনতার পরে মধ্যপ্রদেশ রাজ্যটিকে তৈরি করা হয়েছিল নাগপুর শহরকে রাজধানী হিসাবে সঙ্গে করে: এই রাজ্যে বর্তমানের মধ্যপ্রদেশের দক্ষিণ অংশ এবং আজকের মহারাষ্ট্রের উত্তর-পূর্ব অংশ অন্তর্ভুক্ত ছিল। ১৯৫৬ সালে, এই রাজ্য পুনর্গঠিত হয় এবং এর অংশগুলি মধ্য ভারত, বিন্ধ্যপ্রদেশ এবং ভোপাল রাজ্যের সাথে একত্রিত হয়ে নতুন মধ্য প্রদেশ রাজ্য গঠনের জন্য মারাঠি-ভাষী বিদর্ভ অঞ্চলটিকে তৎকালীন বোম্বে রাজ্যে একীভূত করা হয়েছিল। এই রাজ্যটি ২০০০ সালের পূর্ব পর্যন্ত ভারতের বৃহত্তম অঞ্চলে ছিল। ২০০০ সালে রাজ্যের দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলকে নিয়ে ছত্তিশগড় নামে একটি পৃথক রাজ্য হিসাবে তৈরি করা হয়।
মোট ₹৮.০৯ লক্ষ কোটি (১২০ বিলিয়ন কোটি ডলার) দেশীয় উৎপাদন এবং ৯০,০০০ টাকার (মার্কিন ডলার ১,৩০০) মাথাপিছু জিডিপি'র সাথে মধ্যপ্রদেশের অর্থনীতি ভারতের রাজ্যগুলির মধ্যে দশম বৃহত্তম রাজ্য অর্থনীতি।[4] মানব উন্নয়ন সূচকে ভারতের রাজ্যগুলির মধ্যে মধ্যপ্রদেশ ছাব্বিশতম স্থানে রয়েছে।[5] রাজ্যটি খনিজ সম্পদে সমৃদ্ধ এবং এই রাজ্যে ভারতের মধ্যে হীরা এবং তামার বৃহত্তম মজুদ রয়েছে। মধ্যপ্রদেশের ৩০% এরও বেশি অঞ্চল বনভূমি দ্বারা আচ্ছাদিত রয়েছে। পর্যটন শিল্পে যথেষ্ট প্রবৃদ্ধি হয়েছে, ২০১০-১১ সালে রাষ্ট্রীয় পর্যটন পুরষ্কারে শীর্ষে স্থান অধিকার করে।[6] সাম্প্রতিক বছরগুলিতে, রাজ্যের জিডিপি প্রবৃদ্ধি জাতীয় গড়েরও বেশি।[7]