মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চলচ্চিত্র
হলিউড / From Wikipedia, the free encyclopedia
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চলচ্চিত্র, হলিউড নামেও পরিচিত, বিংশ শতাব্দী থেকে চলচ্চিত্র শিল্পে ব্যাপক প্রভাব রেখে আসছে। মার্কিন চলচ্চিত্রের প্রভাব বিস্তারকারী ধরন হল ধ্রুপদী হলিউড চলচ্চিত্র, যা ১৯১৭ থেকে ১৯৬০ সালে বিকাশ লাভ করে এবং সবচেয়ে বেশি চলচ্চিত্র নির্মিত হয়। ওগ্যুস্ত ও লুই ল্যুমিয়েরকে আধুনিক চলচ্চিত্রের জনক হিসেবে অভিহিত করা হলেও[6] চলচ্চিত্রের বিকাশের সাথে সাথেই মার্কিন চলচ্চিত্র প্রভাব বিস্তার শুরু করে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রতি বছর গড়ে ৭০০-এর অধিক ইংরেজি ভাষার চলচ্চিত্র মুক্তি দিয়ে থাকে, যা কোন একক ভাষার জাতীয় চলচ্চিত্র নির্মাণের দিক থেকে সর্বোচ্চ।[7] অন্যদিকে জাতীয় চলচ্চিত্রের দিক থেকে যুক্তরাজ্য (২৯৯), কানাডা (২০৬), অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডও একই ভাষায় চলচ্চিত্র নির্মাণ করে, যা হলিউড ব্যবস্থার অংশ হিসেবে বিবেচিত নয়। হলিউডকে বহুভাষীয় চলচ্চিত্র হিসেবেও অভিহিত করা হয়।[8] ধ্রুপদী হলিউড চলচ্চিত্রে একাধিক ভাষার সংস্করণ নির্মাণ করা হত, প্রায়ই স্পেনীয় ও ফরাসি ভাষার। সমকালীন হলিউড কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডেও চলচ্চিত্র নির্মাণ করে থাকে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চলচ্চিত্র (হলিউড) | |
---|---|
সিনেমা পর্দার সংখ্যা | ৪০,৩৯৩ (২০১৭)[1] |
• प्रति व्यक्ति | ১৪/১০০,০০০ (২০১৭)[1] |
প্রধান চলচ্চিত্র-পরিবেশক |
|
নির্মিত কাল্পনিক চলচ্চিত্র (২০১৬)[3] | |
কাল্পনিক | ৬৪৬ (৯৮.৫%) |
অ্যানিমেটেড | ১০ (১.৫%) |
মোট খরচ (২০১৭)[4] | |
মোট | ১,২৩৯,৭৪২,৫৫০ |
• Per capita | ৩.৯ (২০১০)[5] |
মোট আয় (২০১৭)[4] | |
মোট | $১১.১ বিলিয়ন |
হলিউডকে সবচেয়ে পুরনো শিল্প হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যেখানে প্রাচীনতম চলচ্চিত্র স্টুডিও ও প্রযোজনা কোম্পানিসমূহ বিকাশ লাভ করে। এখানেই বিভিন্ন ধারার চলচ্চিত্র বিকশিত হয়, তন্মধ্যে রয়েছে নাট্যধর্মী, হাস্যরসাত্মক, সঙ্গীতধর্মী, প্রণয়ধর্মী, মারপিটধর্মী, ভীতিপ্রদ, বিজ্ঞান কল্পকাহিনীমূলক, যুদ্ধভিত্তিক মহাকাব্যিক, যা অন্যান্য জাতীয় চলচ্চিত্র শিল্পের জন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করে।
১৮৭৮ সালে ইডউইয়ার্ড মুইব্রিজ চলচ্চিত্রে আলোকচিত্রের ক্ষমতার প্রদর্শন করেন। ১৮৯৪ সালে নিউ ইয়র্ক সিটিতে টমাস আলভা এডিসনের কিনেটোস্কোপ ব্যবহার করে বিশ্বের প্রথম বাণিজ্যিক চলচ্চিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ১৯২৭ সালে বিশ্বের প্রথম সবাক সঙ্গীতধর্মী চলচ্চিত্র দ্য জ্যাজ সিঙ্গার নির্মাণ করে,[9] এবং পরের দশকে সবাক চলচ্চিত্রের বিকাশের অগ্রদূত হিসেবে ভূমিকা রাখে। বিংশ শতাব্দীর শুরু থেকে মার্কিন চলচ্চিত্র শিল্প ক্যালিফোর্নিয়ার লস অ্যাঞ্জেলেসের হলিউডের ৩০ মাইল অঞ্চল নিয়ে গড়ে ওঠে। পরিচালক ডি ডব্লিউ গ্রিফিথ প্রথম চলচ্চিত্রের ব্যাকরণ উদ্ভাবন করেন। অরসন ওয়েলসের সিটিজেন কেইন-কে প্রায়ই বিভিন্ন সমালোচকদের ভোটে সর্বকালের সেরা চলচ্চিত্র হিসেবে আখ্যা পেতে দেখা যায়।[10]