Loading AI tools
সুলতান সুলেইমানের উপপত্নী উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
মাহিদেবরান হাতুন (তুর্কি উচ্চারণ: [ˌmaːhidevˈɾan], উসমানীয় তুর্কি: ماه دوران سلطان, আনু. ১৫০০– ৩ ফেব্রুয়ারি ১৫৮১;[1] গুলবাহার (তুর্কি উচ্চারণ: [ɟylbaˈhaɾ], উসমানীয় তুর্কি: کل بھار); নামেও পরিচিত) উসমানীয় সাম্রাজ্যের প্রথম সুলাইমানের উপপত্নী[note 1] এবং শাহজাদা মুস্তফার মা ছিলেন।
মাহিদেবরান সুলতান | |
---|---|
জন্ম | আনু. ১৫০০ |
মৃত্যু | ৩ ফেব্রুয়ারি ১৫৮১ (বয়স ৮১) বুরসা, উসমানীয় সাম্রাজ্য |
সমাধি | মুরাদিয়ে কমপ্লেক্স, বুরসা |
দাম্পত্য সঙ্গী | প্রথম সুলাইমান |
বংশধর | শাহজাদা মুস্তাফা |
পিতা | তৃতীয় মুতাওয়াক্কিল |
ধর্ম | ইসলাম |
ফার্সি ভাষায় মাহীদেবরান নামের (তুর্কি উচ্চারণ: [ˌmaːhidevˈɾan], ফার্সি: ماه دوران) অর্থ "যে সর্বদা সুন্দরী", "যার সৌন্দর্য কখনও ম্লান হয় না" বা "সময়ের সেরা সৌন্দর্য"। তাঁর নামের আর একটি অর্থ হল সৌভাগ্যের চাঁদ। "কতিপয় উৎস তাঁকে গুলবাহার (তুর্কি উচ্চারণ: [ɟylbaˈhaɾ], ফার্সি: گل بهار) নামেও অভিহিত করে থাকে, যেখানে তুর্কী এবং ফার্সি ভাষায় গুল শব্দের অর্থ গোলাপ এবং বাহার শব্দের অর্থ বসন্ত অর্থাৎ গুলবাহার নামের অর্থ বসন্তের গোলাপ।
মাহিদেবরানের প্রাথমিক জীবন সম্পর্কে খুব কমই জানা যায়। তার জাতিগত পরিচয় বিতর্কিত। তিনি হয়তোবা একজন আলবেনীয় অথবা সার্ক্যাসীয় ছিলেন।[2] তার উৎপত্তি সম্পর্কে যেসব তত্ত্ব রয়েছে সেগুলো হল:
মাহিদেবরান সুলতান সুলাইমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র এবং ভবিষ্যতে উসমানীয় সিংহাসনে আরোহণের ক্ষেত্রে প্রথম অবস্থানে থাকা শাহজাদা মুস্তাফার মা ছিলেন। তিনি মানিসায় তাঁর ছেলের হারেমে বিশিষ্ট পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। তিনি হুররাম সুলতানের পূর্বে প্রথম সুলাইমানের প্রিয়তম সঙ্গিনী ছিলেন। যখন হুররাম সুলেমানের প্রিয় সঙ্গিনী এবং পরে বৈধ স্ত্রী হয়ে উঠেন,তখন মাহিদেবরান সুলতান সুলেমানের জোষ্ঠ্য ছেলের মায়ের মর্যাদা ধরে রেখেছিলেন[8] কিছু ঐতিহাসিক তাকে সুলাইমানের স্ত্রী বলে চিন্হিত করেছেন কারন অটোম্যান প্রথা অনুযায়ী তিনি সুলেমানের বাশ কাদিন ছিলেন যার অর্থ প্রথম বা প্রধান স্ত্রী, যা হাসেকি সুলতান উপাধি সৃষ্টির আগে এবং পরে একজন সুলতানের প্রিয়তম সঙ্গিনীর জন্য সর্বোচ্চ পদ ছিল।[9] তবে কিছু ঐতিহাসিকের মতে তাদের কখনো বিবাহ হয়নি। যখন হুররাম সুলতান সুলেমানের বিবাহিতা ও বৈধ স্ত্রী হয়ে উঠে এবং সুলতানের প্রধান সঙ্গিনীরা সুলতান উপাধি লাভ করেন, তখন সুলতানের অন্য সব সঙ্গিনীরা হাতুন নামক অন্য একটি উপাধি বহন করতে থাকে যার অর্থ ছিল ভদ্রমহিলা।[10] সেক্ষেত্রে ঐতিহাসিকরা মত দেন যে, সুলেমানের সর্বজ্যেষ্ঠ পুত্র, তৎকালীন যুবরাজ ও সবচেয়ে যোগ্য উত্তরাধিকারী শাহজাদা মুস্তাফার মা এবং বাশ কাদিন (প্রথম স্ত্রী) হওয়ার সুবাদে মাহীদেবরানও 'সুলতান' উপাধী লাভ করেন। কিন্তু শাহজাদা মুস্তাফার মৃত্যুর পরে তিনি ওয়ালি আহাদ বা যুবরাজের মাতার মর্যাদা হারিয়ে ফেলেন।[11]
মাহিদেবরান ছিলেন একজন দাসী । সুলেমান মানিসার গভর্নর থাকাকালীন তাঁর হারেমের সতেরোজন নারীর মধ্যে মাহিদেবরান তালিকাভুক্ত ছিলেন; তখন তিনি কোনো উচ্চ পদমর্যাদার অধিকারী সঙ্গিনী ছিলেন না, কারণ তিনি সুলেমানের আরও দুজন উপপত্নীর সাথে দৈনিক উপার্জন হিসেবে ৪ আসপার করে পেতেন, যেখানে অন্য তিনজন উপপত্নী ৫ আসপার করে পেতো।[2] ১৫১৫ সালে মনিসায় থাকাকালীন মহিদেবরান তার একমাত্র সন্তান মুস্তাফার জন্ম দেন এবং ধীরে ধীরে সুলেমানের প্রিয়তম ও প্রধান সঙ্গিনী হয়ে উঠেন।
১৫২০ সালে যখন সুলতান প্রথম সেলিম মৃত্যুবরণ করেন তখন সুলেমান সিংহাসনে আরোহণের জন্য তার পরিবারসহ উসমানীয় সাম্রাজ্যের রাজধানী ইস্তাম্বুল চলে যান। পরবর্তীতে ১৫২১ সালে যখন সুলেমান তাঁর নয় বছর বয়সী শাহাজাদা মাহমুদ এবং অপেক্ষাকৃত বড় শাহজাদা মুরাদ মৃত্যুবরণ করে তখন শাহজাদা মুস্তাফা তাঁর রাজকীয় প্রজন্মের জ্যেষ্ঠ শাহজাদা হয়ে উঠেন।[12] এই সুবাদে মাহিদেবরান উচ্চতর পদে আসীন হন। কিন্তু সুলেমানের রাজত্বের প্রথমদিকে মাহীদেভ্রান তাঁর নতুন প্রতিদ্বন্দ্বী হুররামের মুখোমুখি হন যে অতি শীঘ্রই সুলেমানের প্রিয় সঙ্গিনী এবং পরবর্তীতে বৈধ স্ত্রী ও হাসেকী হয়ে উঠেন।[12]
হুররাম ১৫২১ সালে তার প্রথম পুত্র মেহমেদ এবং ১৫২৪ সালে সেলিমের(ভবিষ্যৎ সুলতান দ্বিতীয় সেলিম) জন্ম দেন যা সুলতান সুলেমানের একমাত্র পুত্রসন্তানের মা হিসেবে মাহিদেবরানের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ করে।[13] এই দুই নারীর মধ্যকার দ্বন্দ্ব সুলেমানের মা ওয়ালিদায়ে হাফসা সুলতান হেরেমে শৃঙখলা বজায় রাখতে অংশত গোপন রাখতেন।[14] নাভাগেরোর প্রতিবেদন অনুযায়ী তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার ফলস্বরূপ এই দুই মহিলার মধ্যে তুমুল লড়াই সংঘটিত হয়, যেখানে মাহিদেবরান হুররামকে মারধর করেছিলেন, যা সুলাইমানকে রাগান্বিত করে তুলে।[15] অপরপক্ষে তুর্কি ইতিহাসবিদ নেচদেত সাকাওলু অনুসারে, এই অভিযোগগুলি মোটেও সত্য ছিল না। উসমানীয় প্রথানুযায়ী রাজনৈতিকভাবে সাম্রাজ্য পরিচালনার অভিজ্ঞতা লাভের জন্য শাহজাদা মুস্তাফা মানিসা প্রদেশের গভর্নর নিযুক্ত হওয়ার কারণে মাহিদেবরান তার পুত্র মুস্তাফাসহ ইস্তাম্বুল ছেড়ে মানিসা গিয়েছিলেন। পরবর্তীতে ১৫৫৩ সালে মুস্তাফার মৃত্যুতে বুরসায় অবসরে চলে যান যেখানে ঘটনাক্রমে তিনি মৃত্যুবরণও করেন। পক্ষান্তরে হুররাম সুলতান সন্তানদের সানজাকে প্রেরণের পরেও তিনি প্রাসাদে অবস্থান করেন।[16] বার্নার্ডো নাভাগেরো থেকে লিপিবদ্ধ হয় যে সুলেমান তোপকাপি হারেমে হুররামের পাশাপাশি মহিদেবরানকে অত্যন্ত স্নেহ ও সম্মান করতেন।[17] তবে ১৫২৬ সালের দিকে তিনি তার সমস্ত আবেগ হুররামের প্রতি নিবদ্ধ করেন।[18] ১৫৩৩ বা ১৫৩৪ সালের (নির্দিষ্ট তারিখ অজ্ঞাত) মাহিদেবরানের মানিসায় যাত্রার পরে মাহিদেবরানকে একমাত্র প্রধান সঙ্গিনী হিসেবে প্রতিস্থাপিত করে সুলেমান হুররামকে জাকজমকপূর্ণ এবং আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে করেন।[19] যাইহোক, মাহিদেবরান এরপরও সুলেমানের বাস কাদিন হিসেবে বহাল থাকেন।[20]
অটোম্যানদের বিদেশী পর্যবেক্ষক, বিশেষ করে ভেনেশীয় প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রদূত উসমানীয় বংশগতির রাজনীতি খুব কাছ থেকে প্রত্যক্ষ করেন; তারা এ মর্মে একজন শাহজাদার মা হিসেবে মাহিদেবরানের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন এবং তাঁর কল্যাণে প্রয়োজনীয় ভক্তি-স্নেহের কথা ব্যক্ত করেন।[12] সুলেমানের রাজত্বের প্রথমদিককার রাষ্ট্রদূত পিয়েত্রো ব্রাগাদিন প্রতিবেদন দেন যে, যখন তাঁরা দুজনই ইস্তাম্বুলের রাজকীয় প্রাসাদে অবস্থান করছিলেন তখনও মুস্তাফাই তার মায়ের সমস্ত আনন্দের উৎস ছিল।[12]
তুর্কী ঐতিহ্য অনুসারে, সকল শাহজাদাদের প্রশিক্ষণের অংশ হিসাবে প্রাদেশিক গভর্নর (সানজাক-বে) হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। শাহজাদা মুস্তাফাকে আনুষ্ঠানিকভাবে ১৫৩৩ সালে মানিসা প্রদেশের প্রাদেশিক গভর্নর হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয় যেখানে মাহিদেবরান তার ছেলের সঙ্গে যান।[21] সাফাভিদ সীমান্তের নিকটে কারা আমিদ(দিয়ারবেকির) নামক স্থানে মুস্তাফার দরবার সম্বন্ধে বর্ণনা করতে গিয়ে ১৫৪০ সালের দিকে বাসানো লিখেন যে শাহজাদার ছিল "একটি বিস্ময়কর এবং ঐশ্বর্য্যমণ্ডিত দরবার, যা তার পিতার তুলনায় কোনো অংশেই কম নয়", আরও লিখেন যে "তাঁর মা, যিনি তাঁর সাথেই ছিলেন, যিনি তাঁকে দিকনির্দেশনা দিতেন কীভাবে নিজেকে জনগণের কাছে প্রিয় করে তুলবে।"[12] কিছু সময় মুস্তাফা মানিসায় অবস্থান করেন এবং ১৫৪২ সালে তিনি আমাসিয়া চলে যান।[12] ১৫৪৬ সালের মধ্যে সুলেমানের আরও তিন ছেলে এ ময়দানে অবতীর্ণ হয় এবং চার শাহজাদার মধ্যে উত্তরাধিকারের প্রতিযোগিতা শুরু হয় , যদিও সুলতান পরবর্তী আরও বিশ বছর ধরে বেঁচে ছিলেন।
মুস্তাফা ব্যাপক জনপ্রিয় একজন শাহজাদা ছিলেন। যখন তিনি মাত্র নয় বছর বয়সী ছিলেন, তখন ভেনেশীয় রাষ্ট্রদূত বলেন যে, "তাঁর অসাধারণ প্রতিভা রয়েছে, তিনি একজন যোদ্ধা হবেন,জেনেসারিরা তাকে অনেক বেশি পছন্দ করে এবং তিনি দুর্দান্ত রণকৌশল প্রদর্শন করতেন।" ১৫৫৩ সালে যখন মুস্তাফা ৩৮ বছর বয়সী ছিলেন তখন নাভাগেরো লিখেন, "তিনি সবার কাছে কী পরিমাণ ভালোবাসার পাত্র এবং সিংহাসনের উত্তরসূরি হিসাবে কতটা আকাঙ্ক্ষিত ছিলেন তা ভাষায় বর্ণনা করা অসম্ভব।" সুলেমানের সুদীর্ঘ রাজত্বের শেষের দিকে, তার ছেলেদের মধ্যে বৈরিতা স্পষ্ট হয়ে ওঠে এবং মুস্তফার বিরুদ্ধে বিদ্রোহের মিথ্যা অভিযোগ ও গুজব সৃষ্টি হয়।এখানে হুররাম সুলতান ও উজির-এ-আজম রুস্তম পাশার জড়িত থাকার প্রশ্ন উঠলেও তা কখনো প্রমাণিত হয়নি।১৫৫৩ সালে সাফাভিদ পারস্যের বিরুদ্ধে অভিযানের সময় সুলেমান মুস্তাফার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার আদেশ দেন।[22]কারন তাঁর পিতাকে ক্ষমতাচ্যুত করার পরিকল্পনার করার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছিলো; যে রাষ্ট্রদ্রোহের জন্য তাকে অভিযুক্ত করা হয়েছিল তা কখনও প্রমাণিত হয়নি।
উসমানীয় ঐতিহ্য অনুসারে, মাহিদেবরান তাঁর ছেলে মুস্তাফার রাজকীয় হারেমের প্রধান কর্ত্রী ছিলেন। তিনি তার ছেলের জীবনের শেষ দিন অবধি মুস্তাফাকে তার রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী থেকে রক্ষা করার জন্য সচেষ্ট ছিলেন এবং সম্ভবত এ কাজ করার জন্য একাধিক সংবাদবাহকের সাথে যোগাযোগ বজায় রেখেছিলেন।[12] ১৫৫৪ সালে রাষ্ট্রদূত ট্রেভিসানো হতে বর্ণিত যে মুস্তফার মৃত্যুদন্ড কার্যকর হওয়ার দিন, মাহিদেবরান মুস্তাফাকে হত্যা করা সম্পর্কে তাঁর বাবার পরিকল্পনার হুঁশিয়ারি দিয়ে একটি সংবাদ প্রেরণ করেছিলেন। দূর্ভাগ্যক্রমে শাহজাদা মুস্তাফা সে বার্তাটিকে উপেক্ষা করলেন; ট্রেভিসানোর মতে, তিনি ক্রমাগত তাঁর বন্ধু এবং এমনকি তাঁর মায়ের সাবধানবাণী উপেক্ষা করেছিলেন। মুস্তাফা তাঁর বাবাকে এত ভালোবাসতো এবং বিশ্বাস করতো যে তাঁর ধারণা ছিল যে তাঁর বাবা কখনোই এ মিথ্যা অভিযোগ বিশ্বাস করবেন না। কিন্তু অপ্রত্যাশিতভাবে সুলেমান বিদ্রোহের এ অপবাদ বিশ্বাস করেন এবং মুস্তাফাকে মৃত্যুদণ্ড দেন।[18]
শাহজাদা মুস্তাফার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার পরে বেশ কয়েক বছর ধরে, মাহিদেবরান বেশ কষ্টকর জীবন যাপন করেছিলেন। তিনি বুরসায় ফিরে যান যেখানে তাঁর ছেলে শাহজাদা মুস্তাফাকে সমাধিস্থ করা হয় এবং তিনি বুরসায় নির্বাসিত শেষ উপপত্নী ছিলেন। তাঁর পূর্বসূরীদের চেয়ে কম ভাগ্যবতী এবং সম্ভবত ছেলের ফাঁসি কার্যকর হওয়ার কারণে তিনি তার বাড়ি ভাড়া দিতে পারছিলেন না এবং তার সেবাকারী চাকরেরা প্রায়শই স্থানীয় বাজারে তিরস্কার ও প্রতারণা শিকার হতো। মাহিদেবরানের অবস্থার উন্নতি হয় সুলেমানের রাজত্বের শেষের দিকে।তাঁর ঋণ পরিশোধ করা হয় এবং তাঁর জন্য একটি বাড়ি ক্রয় করা হয় যা খুব সম্ভবত সুলাইমানের একমাত্র জীবিত পুত্র, মুস্তাফার সৎ ভাই সেলিম করেছিলেন। শেষ পর্যন্ত আর্থিকভাবে নিশ্চিন্ত হয়ে, মাহিদেবরানের নিকট তাঁর ছেলের মাজার রক্ষণাবেক্ষণের জন্য অর্থ প্রদানের পক্ষে যথেষ্ট পরিমাণ আয় ছিল।[18]
১৫৮১ সালে সুলেমান ও তার সমস্ত সন্তানকে আয়ুর দিক দিয়ে ছাড়িয়ে মাহিদেবরান হাতুন মৃত্যুবরণ করেন এবং মুস্তাফার সমাধিতে তাকে দাফন করা হয়।[18]
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.