মুরুগন মন্দির, সালুবনকুপ্পম
ভারতের একটি হিন্দু মন্দির / From Wikipedia, the free encyclopedia
ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের সালুবণকুপ্পমের মুরুগন মন্দির হল তামিল হিন্দু দেবতা মুরুগনের (কার্তিক) প্রতি উৎসর্গিত এবং ২০০৫ সালে খননকার্যের ফলে আবিষ্কৃত একটি প্রাচীন মন্দির। প্রত্নতত্ত্ববিদেরা মনে করেন যে, মন্দিরটি দু’টি স্তরে গঠিত: সঙ্গম যুগে (খ্রিস্টপূর্ব তৃতীয় শতাব্দী থেকে খ্রিস্টীয় তৃতীয় শতাব্দী) নির্মিত একটি ইটের মন্দির এবং পল্লব যুগে (খ্রিস্টীয় অষ্টম শতাব্দী) নির্মিত একটি গ্র্যানিট পাথরের মন্দির। পাথরের মন্দিরটি ইটের মন্দিরটির উপরেই নির্মিত হওয়ায় এটিই ভারতের প্রাচীনতম মন্দিরের মর্যাদা পেয়েছে। এখানে খননকার্য পরিচালনাকারী ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণের (এএসআই) দলটির মতে, এখানকার ইটের মন্দিরটি তামিলনাড়ুতে আবিষ্কৃত ইটের স্থাপনাগুলির মধ্যে প্রাচীনতম হওয়াই সম্ভবপর।[1][2]
মুরুগন মন্দির, সালুবণকুপ্পম | |
---|---|
ধর্ম | |
অন্তর্ভুক্তি | হিন্দুধর্ম |
জেলা | চেঙ্গলপট্টু |
ঈশ্বর | মুরুগন |
অবস্থান | |
অবস্থান | সালুবণকুপ্পম |
রাজ্য | তামিলনাড়ু |
দেশ | ভারত |
স্থাপত্য | |
সম্পূর্ণ হয় | সঙ্গম যুগ |
২০০৪ সালে ভারত মহাসাগরের সুনামির ফলে অনাবৃত হয়ে পড়া একটি শিলালিপির সূত্র থেকে পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণের প্রত্নতত্ত্ববিদের একটি দল মন্দিরটি আবিষ্কার করে। প্রাথমিক খননকার্যের ফলে খ্রিস্টীয় অষ্টম শতাব্দীর পল্লব-যুগীয় একটি উপাসনালয় আবিষ্কৃত হয়। আরও খননকার্যের ফলে দেখা যায় যে, অষ্টম শতাব্দীর উপাসনালয়টি গড়ে উঠেছিল একটি প্রাচীনতর উপাসনালয়ে ইষ্টকনির্মিত ভিত্তির উপরে। জানা যায় যে, ইটের উপাসনালয়টি নির্মিত হয়েছিল সঙ্গম যুগে।
মন্দিরটি উত্তরমুখী, যা সচরাচর হিন্দু মন্দিরের বৈশিষ্ট্য হয় না। এই চত্বর থেকে সঙ্গম ও পল্লব দুই যুগপর্যায়েরই প্রত্নসামগ্রী আবিষ্কৃত হয়েছে। মন্দিরটি তামিলনাড়ুর প্রাচীনতম মুরুগন মন্দির।[2] এই রাজ্যে প্রাক্-পল্লব যুগের যে দু’টি মাত্র মন্দির আবিষ্কৃত হয়েছে, এই মন্দিরটি তার অন্যতমও বটে (অপর মন্দিরটি হল বেপ্পতুরের বীত্রিরুন্ধ পেরুমাল মন্দির)।[2]
২০১৮ সালের ৩ মে রাতে অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতিরা এই প্রত্নক্ষেত্রে তাণ্ডব চালায় এবং পাথরের "বেল"টি উপড়ে দুই টুকরো করে দেয়।