মৌখিক প্রথা
From Wikipedia, the free encyclopedia
মৌখিক প্রথা বা মৌখিক ঐতিহ্য বা মৌখিক বিদ্যা, মানবিক যোগাযোগের একটি ধরন বা রুপ, যেখানে জ্ঞান, শিল্প, ধারণা ও সাংস্কৃতিক উপাদান গৃহীত হয়, সংরক্ষিত হয় এবং এক প্রজন্ম থেকে অন্য এক প্রজন্মে মৌখিকভাবে প্রেরিত হয়।[1][2] এটি বক্তব্য বা গানের মাধ্যমে এবং লোককাহিনী, গীতিনাট্য, গান, গদ্য বা পদ্যের মাধ্যমেও প্রচার হতে পারে। এইভাবে, একটি সমাজের পক্ষে মৌখিক ইতিহাস, মৌখিক সাহিত্য, মৌখিক নিয়ম এবং অন্যান্য জ্ঞান লিখে রাখার ব্যবস্থা ছাড়াই প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে অথবা লিখন পদ্ধতির অনুরূপ প্রেরণ করা সম্ভব। উদাহরণস্বরূপ, হিন্দুধর্ম, বৌদ্ধধর্ম, ক্যাথলিক ধর্ম এবং জৈনধর্মের মতো ধর্মগুলো লিখন পদ্ধতির সমান্তরালে, তাদের প্রামাণিক ধর্মগ্রন্থ, আচার-অনুষ্ঠান, স্তোত্র এবং পৌরাণিক কাহিনীগুলো এক প্রজন্ম থেকে পরবর্তী প্রজন্মে প্রেরণ করার জন্য মৌখিক ঐতিহ্য অনুসরণ করেছে।[3][4]
মৌখিক ঐতিহ্য হল তথ্য, স্মৃতি এবং জ্ঞান বহু প্রজন্ম ধরে কোনো মানব গোষ্ঠির দ্বারা সাধারণভাবে প্রেরিত হয়। এই ঐতিহ্যটি কোনো সাক্ষ্য বা মৌখিক ইতিহাসের মতো নয়।[5] সাধারণ অর্থে, "মৌখিক ঐতিহ্য" বলতে কণ্ঠ্যস্বর দ্বারা উচ্চারণের মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট সংরক্ষিত পাঠ্য ও সাংস্কৃতিক জ্ঞানের স্মরণ রাখা এবং পরবর্তী প্রজন্মে প্রেরণ করাকে বুঝায়।[6] একটি শাস্ত্রীয় ধারা হিসেবে, এটি অধ্যয়নের বিষয়সমূহ এবং যেই পদ্ধতি অনুসারে সেগুলো অধ্যয়ন করা হয় তার উভয়ই বোঝায়।[7]