রবার্ট মুগাবে
From Wikipedia, the free encyclopedia
রবার্ট গ্যাব্রিয়েল মুগাবে (শোনা উচ্চারণ: [muɡaɓe], ইংরেজি: /muːˈɡɑːbiː/ moo-GAH-bee; (২১ ফেব্রুয়ারি ১৯২৪–৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯)[2][3] জিম্বাবুয়ের রাষ্ট্রপতি হিসেবে ক্ষমতাসীন ছিলেন। শ্বেতাঙ্গ শাসনের বিরুদ্ধে স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম নেতার মর্যাদা পেয়েছিলেন তিনি। ১৯৮০ সালে তিনি নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে ক্ষমতায় আরোহণ করেন। ১৯৮০ - ১৯৮৭ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী ও ১৯৮৭ সাল থেকে রাষ্ট্রের প্রধান নির্বাহী হিসেবে ২০১৭ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেছেন।[4] ২০১৭ সালের ২১ নভেম্বর তারিখে রবার্ট মুগাবে ৩৭ বছর শাসনের পরে জিম্বাবুয়ের প্রেসিডেন্ট এর পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন।[5]
রবার্ট মুগাবে | |
---|---|
জিম্বাবুয়ের প্রেসিডেন্ট | |
কাজের মেয়াদ ৩১ ডিসেম্বর, ১৯৮৭ – ২১ নভেম্বর, ২০১৭ | |
প্রধানমন্ত্রী | মর্গ্যান জানগিরাই |
উপরাষ্ট্রপতি | সিমন মুজেন্ডা জয়েস মুজুরু |
পূর্বসূরী | ক্যানান বানানা |
জিম্বাবুয়ের প্রধানমন্ত্রী | |
কাজের মেয়াদ ১৮ এপ্রিল, ১৯৮০ – ৩১ ডিসেম্বর, ১৯৮৭ | |
রাষ্ট্রপতি | ক্যানান বানানা |
পূর্বসূরী | এবেল মুজোরিউয়া(জিম্বাবুয়ে রোডেশিয়া) |
উত্তরসূরী | মর্গ্যান জানগিরাই |
জোট-নিরপেক্ষ আন্দোলনের মহাসচিব | |
কাজের মেয়াদ ৬ সেপ্টেম্বর, ১৯৮৬ – ৭ সেপ্টেম্বর, ১৯৮৯ | |
পূর্বসূরী | জৈল সিং |
উত্তরসূরী | জানেজ দ্রোভসেক |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | (১৯২৪-০২-২১)২১ ফেব্রুয়ারি ১৯২৪ কুতামা, দক্ষিণ রোডেশিয়া (জিম্বাবুয়ে) |
মৃত্যু | ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯(2019-09-06) (বয়স ৯৫) সিঙ্গাপুর[1] |
রাজনৈতিক দল | ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি(১৯৬০-১৯৬১) জিম্বাবুয়ে আফ্রিকান পিপিল'স ইউনিয়ন(১৯৬১-১৯৬৩) জিম্বাবুয়ে আফ্রিকান ন্যাশনাল ইউনিয়ন(১৯৬৩-১৯৮৭) জিম্বাবুয়ে আফ্রিকান ন্যাশনাল ইউনিয়ন-প্যাট্রিওটিক ফ্রন্ট(১৯৮৭-বর্তমান) |
দাম্পত্য সঙ্গী | সলি হেফ্রন (১৯৬১-১৯৯২) গ্রেস মারুফু (১৯৯৬-বর্তমান) |
সন্তান | মাইকেল হ্যামোদজেনিকা বোনা রবার্ট পিটার বেলারমাইন চাটুঙ্গা |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | ইউনিভার্সিটি অব ফোর্ট হেয়ার ইউনিভার্সিটি অব সাউথ আফ্রিকা ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন |
স্বাক্ষর |
১৯৬০-এর দশকে মুগাবে রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। জিম্বাবুয়ে আফ্রিকান ন্যাশনাল ইউনিয়ন (জানু)-এর মহাসচিব ছিলেন তিনি এবং তার দল সংখ্যালঘিষ্ঠ শ্বেতাঙ্গ শাসক ইয়ান স্মিথের বিরুদ্ধে লড়াই করেন। ফলশ্রুতিতে ১৯৬৪ থেকে ১৯৭৪ সাল পর্যন্ত দশ বছরের অধিক সময় তাকে রোডেশিয়ার কারাগারে রাজনৈতিক বন্দী হিসেবে অবস্থান করতে হয়।[6] এডগার তেকেরের সাথে ১৯৭৫ সালে মুক্তি পেয়ে রোডেশিয়া ত্যাগ করেন। মোজাম্বিকে অবস্থান করে জিম্বাবুয়ের স্বাধীনতা সংগ্রাম বা রোডেশিয়ান বুশ ওয়ারে অংশগ্রহণ করেন।
১৯৭৯ সালে সমাপ্ত ঐ যুদ্ধে মুগাবে অনেক আফ্রিকাবাসীর মন জয় করে বীরের মর্যাদায় অভিষিক্ত হন রবার্ট মুগাবে।[7][8] ১৯৮০ সালে অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে কৃষ্ণাঙ্গ আফ্রিকানরা ব্যাপক সংখ্যায় অংশগ্রহণ করে ও সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। এতে মুগাবে জিম্বাবুয়ের ইতিহাসে ১ম প্রধানমন্ত্রীত্বে অভিষিক্ত হন। দেশ পুণর্গঠনে পূর্বে যুদ্ধরত দলসহ শ্বেতাঙ্গ রোডেশিয়ান এবং বিবদমান প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে ঐকমত্যে পৌঁছান।