রয় কিলনার
ইংরেজ ক্রিকেটার / From Wikipedia, the free encyclopedia
রয় কিলনার (ইংরেজি: Roy Kilner; জন্ম: ১৭ অক্টোবর, ১৮৯০ - মৃত্যু: ৫ এপ্রিল, ১৯২৮) ইয়র্কশায়ারের উম্বওয়েলে জন্মগ্রহণকারী প্রথিতযশা ইংরেজ পেশাদার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা ছিলেন। ১৯২৪ থেকে ১৯২৬ সময়কালে ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। অল-রাউন্ডার হিসেবে ১৯১১ থেকে ১৯২৭ সময়কালে ইয়র্কশায়ারের পক্ষে কাউন্টি ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন রয় কিলনার। প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ৩০.০১ গড়ে ১৪,৭০৭ রান ও ১৮.৪৫ গড়ে ১,০০৩ উইকেটের সন্ধান পেয়েছেন তিনি। দশবার এক মৌসুমে সহস্রাধিক রান ও পাঁচবার শত উইকেট লাভ করেছেন। চারবার একই মৌসুমে সহস্রাধিক রান ও শত উইকেট লাভের ন্যায় ডাবল পেয়েছেন যা আদর্শ অল-রাউন্ডারের গুণাবলীর পর্যায়ে পড়ে।
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | রয় কিলনার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | (১৮৯০-১০-১৭)১৭ অক্টোবর ১৮৯০ উম্বওয়েল, ইয়র্কশায়ার, ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মৃত্যু | ৫ এপ্রিল ১৯২৮(1928-04-05) (বয়স ৩৭) কেনড্রে, বার্নস্লে, ইয়র্কশায়ার, ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | বামহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | লেফট আর্ম অর্থোডক্স স্পিন | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ২১৪) | ১৪ জুন ১৯২৪ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ২৭ জুলাই ১৯২৬ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯১১-১৯২৭ | ইয়র্কশায়ার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২ সেপ্টেম্বর ২০১৭ |
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পূর্ব-পর্যন্ত ইয়র্কশায়ারের পক্ষে ব্যাটসম্যান হিসেবে অংশ নিতেন। এ সময়ে তিনি দলে নিয়মিত সদস্যরূপে খেলতেন। যুদ্ধে তিনি আহত হন। ১৯১৯ সালে খেলার জগতে ফিরে আসেন। এ এসময়ে ইয়র্কশায়ারের বোলিং সঙ্কট চলছিল। ফলশ্রুতিতে কিলনার বোলিংয়ে অনুশীলন চালাতে থাকেন ও স্লো বামহাতি বোলার হিসেবে স্বীকৃতি পান। তার আক্রমণধর্মী ব্যাটিং ও তীক্ষ্ণ ব্যক্তিত্বের কারণে ক্রিকেটার ও দর্শক - উভয় মহলের কাছেই তাকে জনপ্রিয় খেলোয়াড়ে পরিণত করে। তার উঁচুমানের খেলা দল নির্বাচকমণ্ডলীর দৃষ্টি আকর্ষণে সক্ষম হয় ও ১৯২৪-২৫ মৌসুমের অস্ট্রেলিয়া সফরে অ্যাশেজ সিরিজের জন্য মনোনীত করা হয়। সফরে দ্বিতীয় সফলতম বোলারের মর্যাদা পেলেও তার বোলিংয়ের উপযোগিতা অনেকাংশেই হ্রাস পায়। পিচের সুবিধাদি থাকা স্বত্ত্বেও ব্যাটসম্যানদেরকে আতঙ্কগ্রস্ত করতে পারেননি। ১৯২৬ সালের অ্যাশেজ সিরিজে অংশ নিলেও চূড়ান্ত টেস্টে বাদ পড়েন। ইংরেজ শীত মৌসুমে বেশ কয়েকবার ভারত সফরে যান। ১৯২৮ সালে অসুস্থ থাকাবস্থায়ও ভারতে যান ও ইংল্যান্ডে ফিরে মাত্র ৩৭ বছর বয়সে তার দেহাবসান ঘটে। তার শবযাত্রায় লক্ষাধিক লোকের সমাগম ঘটে ও তার মৃত্যুতে ক্রিকেট বিশ্বে শোকের ছায়া নেমে আসে। রয় কিলনারের মৃত্যুতে ইয়র্কশায়ারের বোলিং আক্রমণভাগ অনেকাংশেই হ্রাস পায় ও মরিস লেল্যান্ডকে নিয়মিতভাবে বোলিং আক্রমণে নেতৃত্ব দিতে হয়।