লাজুকতা
From Wikipedia, the free encyclopedia
লাজুকতা (ইংরেজি: Shyness) (diffidence বা অসস্তিবোধ নামেও পরিচিত) হল ভীতি, স্বাচ্ছন্দ্যবোধের বা সহজতার অভাবের একটি অনুভূতি, বিশেষ করে তখন যখন কোন ব্যক্তি অন্য ব্যক্তির সন্নিকটে অবস্থান করে। এটি সাধারণত নতুন পরিবেশে অথবা অপরিচিত লোকের সামনে হয়ে থাকে। লাজুকতা সেসব লোকেদের একটি বৈশিষ্ট্য হতে পারে যাদের আত্মমর্যাদার অভাব রয়েছে। লাজুকতার অধিকতর প্রবল রূপ হল সামাজিক অস্থিরতা বা সামাজিক ভীতি।
লজ্জার প্রাথমিক সংজ্ঞাগত বৈশিষ্ট্য হল লোকে কি ভাববে এ সম্পর্কিত প্রবল কল্পিত ভয়। ফলস্বরূপ ব্যক্তিটি যা বলতে বা করতে চায় তা ভয়ে করতে পারে না পাছে সে কোন নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া, ব্যঙ্গ সমালোচনা না পায় অথবা প্রত্যাখ্যাত না হয়। এ কারণে, অনেক সময় লাজুক ব্যক্তিগণ এর পরিবর্তে সামাজিক পরিস্থিতি এড়িয়ে চলাকেই সহজ হিসেবে বেছে নেয়।[1]
লাজুকতার অন্যতম প্রতিকার হল সামাজিক দক্ষতার উন্নয়ন। বিদ্যালয় এবং অভিভাবকরা মনে মনে বাচ্চাদের সক্রিয় সামাজিক যোগাযোগে পূর্ণ পারঙ্গম বলে মনে করে থাকেন। লেখাপড়ার তুলনায় সামাজিক দক্ষতা প্রশিক্ষণকে তেমন কোন গুরুত্বই দেয়া হয় না, এবং এর ফলে লাজুক ছাত্ররা শ্রেণীকক্ষের কার্যক্রমে অংশগ্রহণের এবং সহপাঠীদের সাথে ভাব বিনিময়ের ক্ষমতা উন্নত করার সুযোগ পায় না। শিক্ষকেরা সামাজিক দক্ষতাসমূহের নমুনা তৈরি করতে পারেন এবং অপেক্ষাকৃত কম কড়াভাবে এবং কম ভয় দেখিয়ে তাদের প্রশ্ন ধরতে পারেন যেন তারা ক্লাসে সহজভাবে কথা বলতে পারে এবং অন্যান্য বাচ্চাদের সাথে বন্ধুত্ব গড়তে পারে।[2]