![cover image](https://wikiwandv2-19431.kxcdn.com/_next/image?url=https://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/8/8d/Shahrukh_Khan_in_2008.jpg/640px-Shahrukh_Khan_in_2008.jpg&w=640&q=50)
শাহরুখ খান অভিনীত চলচ্চিত্রের তালিকা
উইকিমিডিয়ার তালিকা নিবন্ধ / From Wikipedia, the free encyclopedia
শাহরুখ খান একজন ভারতীয় অভিনেতা, প্রযোজক, নেপথ্য গায়ক, অ্যাকশন পরিচালক, এবং টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব।[1] খান ১৯৮৮ সালে রাজ কুমার কাপুর পরিচালিত দূরদর্শন টেলিভিশনের ফৌজি ধারাবাহিকে একজন সৈনিকের চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে তাঁর অভিনয় জীবন শুরু করেন। এই চরিত্রে অভিনয়ের পরপর তিনি সার্বজনীনকৃত স্বীকৃতি অর্জন করেন এবং আজিজ মির্জার সার্কাস (১৯৮৯–৯০) টেলিভিশন ধারাবাহিকে এবং মনি কাউলের ইডিয়ট (১৯৯১) স্বল্প ধারাবাহিকে অভিনয়ের সুযোগ পান।[2] এরপর থেকে চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্যে তাঁর আমন্ত্রণ আসতে থাকে এবং ১৯৯২ সালে তাঁর প্রথম চলচ্চিত্র দিওয়ানা মুক্তি পায়, যেখানে তিনি সহঅভিনেতা হিসেবে ঋষি কাপুর এবং দিব্যা ভারতীর সাথে অভিনয় করেছেন।[3][4] পরবর্তীকালে ১৯৯৩ সালে ডর এবং বাজীগর চলচ্চিত্রের ব্যাপক সফলতার কারণে বলিউডে একজন প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে তাঁর কর্মজীবন প্রতিষ্ঠিত হয়।[5]
![Shah Rukh Khan is seen waving at a crowd](http://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/8/8d/Shahrukh_Khan_in_2008.jpg/320px-Shahrukh_Khan_in_2008.jpg)
১৯৯৫ সালে, খান আদিত্য চোপড়া পরিচালিত অত্যন্ত ব্যবসাসফল রোমান্স চলচ্চিত্র দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে যায়েঙ্গে-তে কাজলের বিপরীতে অভিনয় করেন যা সর্বকালের দীর্ঘতম চলমান ভারতীয় চলচ্চিত্র হিসেবে স্বীকৃতি অর্জন করে।[6] তিনি যশ চোপড়া পরিচালিত দিল তো পাগল হ্যায় (১৯৯৭) চলচ্চিত্রে মাধুরী দীক্ষিত এবং করিশমা কাপুরের বিপরীতে, করন জোহর পরিচালিত ব্লকবাস্টার কুছ কুছ হোতা হ্যায় (১৯৯৮) চলচ্চিত্রে কাজল এবং রাণী মুখার্জীর বিপরীতে এবং কাভি খুশি কাভি গাম... (২০০১) চলচ্চিত্রে কাজলের বিপরীতে অভিনয়ের মাধ্যমে তাঁর এই রোমান্টিক ভূমিকা অব্যাহত রাখেন এবং সাফল্য অর্জন করেন।[7][8] ১৯৯৯ সালে, খান পরিচালক আজিজ মির্জা এবং অভিনেত্রী জুহি চাওলার সাথে ড্রিমজ্ আনলিমিটেড নামে যৌথভাবে একটি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান শুরু করেন। এবং এর অধীনে আজিজ মির্জার পরিচালনায়, জুহি চাওলার বিপরীতে কমেডি-নাট্য চলচ্চিত্র ফির ভি দিল হ্যায় হিন্দুস্তানি (২০০০) মুক্তি দেন।[9] এই চলচ্চিত্রটি তাঁদের পরবর্তী প্রযোজনা অশোকা (২০০০) চলচ্চিত্রের মতোই বাণিজ্যিকভাবে ব্যর্থ হয়। ফলে নেতৃত্বস্থানীয় সমালোচকগণ মনে করেন খানের কর্মজীবনে অনিবার্য অবনতি আসন্ন।[10] খানের কর্মজীবনে পুনরায় সাফল্যের দেখা মেলে, যখন ২০০২ সালে সঞ্জয় লীলা বনসালী তাঁকে দেবদাস চলচ্চিত্রে একজন বিষণ্ণ প্রেমিকের ভূমিকায় দীক্ষিত এবং ঐশ্বরিয়া রাইয়ের বিপরয়তে অভিনয়ের সুযোগ দেন। চলচ্চিত্রটি আন্তর্জাতিক সাফল্য অর্জন করে এবং খান সমালোচকদের দ্বারা ব্যাপক প্রশংসিত হন।[11] ২০০৪ সালে খান তাঁর স্ত্রী গৌরী খানের সাথে যৌথভাবে রেড চিলিজ এন্টারটেইনমেন্ট নামে আরেকটি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান শুরু করেন। এবং প্রথম প্রযোজিত চলচ্চিত্র ম্যায় হুঁ না (২০০৪) বক্সঅফিসে সাফল্য অর্জন করে।[12][13]
২০০০-এর দশকে, খানের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পায় এবং অব্যাহত থাকে মূলত তরুণ অভিনেত্রীদের বিপরীতে রোমান্টিক চরিত্রে অভিনয়ের জন্যে।[14] বিশেষ করে রাণী মুখার্জী এবং প্রীতি জিন্টার বিপরীতে, চলতে চলতে (২০০৩), কাল হো না হো (২০০৩), বীর-জারা (২০০৪), এবং কভি আলবিদা না কেহনা (২০০৬) ইত্যাদি শীর্ষ আয়কৃত চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে।[15][16][17] এছাড়াও তিনি অভিনয় করেছেন, নাসা বিজ্ঞানীর চরিত্রে স্বদেশ (২০০৪) নাট্য-চলচ্চিত্রে, হকি কোচের চরিত্রে চাক দে! ইন্ডিয়া (২০০৭) ক্রীড়া চলচ্চিত্রে, এবং আত্মসংবৃত ব্যক্তির চরিত্রে মাই নেম ইজ খান (২০১০) চলচ্চিত্রে।[18] ২০০৭ থেকে খান তৃতীয় প্রজন্মের নায়িকদের বিপরীতে নেতৃস্থানীয় ভূমিকায় অভিনয় শুরু করেন,[19] এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য, ওম শান্তি ওম (২০০৭) চলচ্চিত্রে দীপিকা পাড়ুকোন, রব নে বানা দি জোড়ি (২০০৮) চলচ্চিত্রে অনুষ্কা শর্মা, এবং জব তক হ্যায় জান (২০১২) চলচ্চিত্রে ক্যাটরিনা কাইফ।[20] ২০১৩ সালে, খান ₹ ৩.৯৫ বিলিয়ন (US$ ৪৮.২৮ মিলিয়ন) আয়কৃত চেন্নাই এক্সপ্রেস অ্যাকশন-কমেডি চলচ্চিত্রে পাড়ুকোনের বিপরীতে অভিনয় করেন, যা সর্বকালের সর্বোচ্চ আয়কৃত বলিউড চলচ্চিত্র হিসেবে আখ্যা লাভ করে।[21] খান অভিনীত তেরোটি চলচ্চিত্র বিশ্বব্যাপী টিকেট বিক্রয়ের মাধ্যমে ₹ ১ বিলিয়ন (US$ ১২.২২ মিলিয়ন) মার্কিন ডলারের ব্যবসা করেছে।[21][22][23] আট বার শ্রেষ্ঠ অভিনেতার জন্যে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার অর্জনের মাধ্যমে তিনি দিলীপ কুমারের সাথে এই রেকর্ড ভাগাভাগি করছেন।[24]
খান কয়েকটি তথ্যভিত্তিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন, এর মধ্যে রয়েছে নাসরিন মুন্নি কবির পরিচালিত দ্য ইনার এ্যন্ড আউটার ওয়ার্ল্ড অফ শাহরুখ খান (২০০৫) এবং জার্মান তথ্যচিত্র শাহরুখ খান: ইন লাভ উইথ জার্মানি (২০০৮)।[25][26] ২০০৩ সাল থেকে তিনি একাধিক পুরস্কার বিতরণীর অনুষ্ঠানে সঞ্চালক হিসেবে কাজ করে চলেছেন, এর মধ্যে রয়েছে, সাত বার ফিল্মফেয়ার পুরস্কার এবং পাঁচ বার স্ক্রিন পুরস্কার। তিনি তিনটি টেলিভিশনের গেম শোর আয়োজক হিসেবে ভূমিকা রেখেছেন — কৌন বনেগা ক্রোড়পতি (২০০৭), ক্যায়া আপ পাঁঞ্চভি পাস তে তেজ হ্যায়? (২০০৮) এবং জোর কা ঝাটকা: টোটাল উইপআউট (২০১১)।[27][28]
হিন্দি চলচ্চিত্রে অসাধারণ অবদানের জন্য ২০০৫ সালে ভারত সরকার শাহরুখ খানকে পদ্মশ্রী পুরস্কারে ভূষিত করে। বর্তমানে শাহরুখ খান পৃথিবীর সফল চলচ্চিত্র তারকা।[29] তাঁর প্রায় কয়েক বিলিয়ন ভক্ত এবং তাঁর মোট অর্থসম্পদের পরিমাণ ২৩০০ কোটি রুপি-এরও বেশি।[30] ২০০৯ সালে নিউজউইক তাঁকে বিশ্বের ৭১তম ক্ষমতাশীল ব্যক্তির খেতাব দেয়।[29]