Loading AI tools
সামাজিক কর্মী উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
শোভনা রানাডে (জন্ম ২৬শে অক্টোবর ১৯২৪) একজন ভারতীয় সমাজকর্মী এবং গান্ধীবাদী, যিনি নিঃস্ব নারী ও শিশুদের প্রতি তাঁর সেবার জন্য পরিচিত। সমাজে তাঁর সেবার জন্য ভারত সরকার তাঁকে ২০১১ সালে তৃতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার - পদ্মভূষণ - দিয়ে সম্মানিত করে।[2]
শোভনা রানাডে | |
---|---|
জন্ম | [1] | ২৬ অক্টোবর ১৯২৪
পেশা | সমাজ কর্মী |
পুরস্কার | পদ্মভূষণ যমুনালাল বাজাজ পুরস্কার সিএনএন আইবিএন রিয়েল হিরোস ২০১২ আজীবন অর্জন পুরস্কার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর পুরস্কার প্রাইড অফ পুনে পুরস্কার রাজীব গান্ধী মানব সেবা পুরস্কার জাতীয় পুরস্কার মহাত্মা গান্ধী পুরস্কার |
শোভনা রানাডে বলেছেন, সাভারকর আমাদের স্কুলের দিনগুলিতে বিখ্যাত ছিলেন এবং আমাদের প্রজন্ম ভারত মাতার প্রতি তাঁর ভালবাসা ও ভক্তির বার্তা দ্বারা উৎসাহিত হয়েছিল, ভাবে আমাকে শোভনীয় বলে ডাকতেন। মহাত্মা আমাদের অহিংসা সম্পর্কে এবং হতদরিদ্রদের সাহায্য করতে শিখিয়েছেন।[3]
রিয়েল হিরো অ্যাওয়ার্ড | |
---|---|
পুরস্কারদাতা | রিলায়েন্স ইণ্ডাস্ট্রিজ সিএনএন-আইবিএন |
শোভনা রানাডে ১৯২৪ সালে বোম্বে প্রেসিডেন্সির পুনায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর জীবনের মোড় আসে ১৯৪২ সালে, যখন তিনি ১৮ বছর বয়সে পুনার আগা খান প্রাসাদে মহাত্মা গান্ধীর সাথে দেখা করেছিলেন। এর পর তরুণ শোভনা তাঁর বাকি জীবন গান্ধীবাদী আদর্শ গ্রহণ করেছিলেন।[4]
শোভনা রানাডের জীবন নিঃস্ব নারী ও শিশুদের জন্য নিবেদিত ছিল। তাঁর সামাজিক কর্মজীবন একটি মোড় নেয়, ১৯৫৫ সালে, যখন তিনি আসামের উত্তর লখিমপুরে যান এবং বিনোবা ভাবের সাথে একটি পদযাত্রায় (ওয়াকাথন) যোগ দেন। সেই অঞ্চলে তিনি মৈত্রেয়ী আশ্রম এবং প্রথম একটি শিশু কল্যাণ কেন্দ্র শিশু নিকেতন[5] স্থাপনে সহায়তা করেন। তিনি আদিম জাতি সেবা সংঘ প্রচারণাও শুরু করেছিলেন। এটি চরকা বুননের বিষয়ে নাগা মহিলাদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য একটি প্রোগ্রাম।[4]
১৯৭৯ সালে, তিনি পুনে ফিরে আসেন এবং আগা খান প্রাসাদে গান্ধী ন্যাশনাল মেমোরিয়াল সোসাইটি এবং মহিলাদের প্রশিক্ষণের জন্য একটি ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করতে সহায়তা করেন।[4]
১৯৯৮ সালে, শোভনা রানাডে, গান্ধী ন্যাশনাল মেমোরিয়াল সোসাইটির তত্ত্বাবধানে, কস্তুরবা মহিলা খাদি গ্রামোদ্যোগ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। এটি দরিদ্র মহিলাদের জন্য একটি প্রতিষ্ঠান, যেখানে তাঁদের ২০টি গ্রাম্য ব্যবসা এবং দক্ষতার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।[4][5][6]
তিনি মহারাষ্ট্রে একটি এসওএস শিশুদের গ্রাম শুরু করেছিলেন, যার নাম বালগ্রাম মহারাষ্ট্র। এটি এখন বর্ধিত হয়ে ১৬০০ অনাথ শিশুকে আশ্রয় দিয়েছে।[4] হারম্যান মেইনার সোশ্যাল সেন্টারটি শোভনা রানাডে দ্বারা প্রতিষ্ঠিত এবং পুনের শিবাজিনগরে অবস্থিত। এটি একটি শিশু আশ্রম, যেটি পথশিশুদের পুনর্বাসন এবং শিক্ষার জন্য নিবেদিত, এখানে ১১২ জন ছেলে এবং ১৩৮ জন মেয়ে আশ্রয় পেয়েছে।[5]
আরেকটি শিশু কল্যাণ প্রকল্প ছিল বালগৃহ এবং বালসদন, যে দুটি রানাডে পুনের সাসওয়াদে প্রতিষ্ঠা করেন। এই কেন্দ্রগুলি এখন ৬০ জন অসহায় মেয়েকে আশ্রয় দিয়েছে।[5] শোভনা রানাডে গান্ধী ন্যাশনাল মেমোরিয়াল সোসাইটির মাধ্যমে গঙ্গা বাঁচাও আন্দোলন-এ গঙ্গা নদীকে দূষণ থেকে বাঁচানোর অভিযানের সাথেও জড়িত ছিলেন।[7]
শোভনা রানাডে পুনেতে থাকেন এবং আগা খান প্রাসাদকে কেন্দ্র করে তাঁর কার্যক্রমের দেখাশোনা করেন।[4]
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.