সমকামিতা দেখা যাওয়া স্তন্যপায়ী প্রাণীদের তালিকা
উইকিমিডিয়ার তালিকা নিবন্ধ / From Wikipedia, the free encyclopedia
যৌন আচরণ, courtship, affection, pair bonding, অথবা parenting এর মতই স্তন্যপায়ী প্রাণীতে সমকামিতা দেখা যায়।
bruce bagemihl এবিষয়ে আলোকপাত করে লিখালিখি করেন। তিনি তার বইয়ে উল্লেখ করেন, ১৯৯০ সালের আগ পর্যন্ত same-sex sexual behavior নিয়ে বিস্তৃত পরিসরে আলোচনা হয় নি,তার কারণ সমকামিতা একটা taboo বিষয় হিসেবে সমাজে পরিগণিত হত। যার দরুণ এলজিবিটি মানুষদের সমাজ পশুর ন্যায় মুল্যায়ন করত।[3][4] ১৯৯৯ সালে তিনি Biological Exuberance নামে একটি বই লিখেন, যেখানে তিনটা পরিচ্ছেদ এ প্রসঙ্গে উৎসর্গ করেন, যা হল, "Two Hundred Years at Looking at Homosexual Wildlife" (ফিরে দেখা: বন্যদের সমকামিতার দুইশ বছর), Explaining (Away) Animal Homosexuality(প্রাণীর সমকামিতার ব্যাখ্যা) এবং Not For Breeding Only। এখানে তিনি সমকামিতা নিয়ে জীববিজ্ঞান কী বলছে তার প্রাঞ্জল ব্যাখ্যা দেন।[5] পিটার বোকম্যান, যিনি Against Nature? নামক প্রদর্শনীটির উপদেষ্টা, তিনি এক বিবৃতিতে বলেন, "[অ]নেক গবেষক বলেন, সমকামিতা এমন একটা বিষয় যা যৌন সঙ্গম থেকে পুরোপুরি আলাদা। অথচ এটা তারা জানেন না, বা এখন তাদের অনুধাবন করার সময় এসেছে যে, অন্যান্য প্রাণী সঙ্গম তার সাথে করতে পারে, যার সাথে সে চায়, এজন্য তাদের গবেষকদের নৈতিকতার মুলনীতিগুলোর প্রয়োজন হয় না"। সমকামি আচরণ খুজে পাওয়া যায় অপেক্ষাকৃত সামাজিক প্রাণী পাখি এবং স্তন্যপায়ী প্রাণীতে, বিশেষ করে সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী এবং primates দের মধ্যে এটা উল্লেখযোগ্য ভাবে দেখা যায়।[4]
প্রাণীর যৌন আচরণ বিভিন্ন রকম হতে পারে, এমনকি একই প্রজাতির বিভিন্ন প্রাণীর যৌন আচরণ বিভিন্ন রকম হয়, যা এখনো পুরোপুরি বুঝা যায় নি বেগেমিহলের গবেষণা প্রমাণ করে, সমকামিতা মানেই একই প্রজাতির নিজ লিঙ্গের প্রাণীর মধ্যে সঙ্গম হবে, কথাটি ভুল। ১৯৯৯ সালের হিসাব অনুসারে, পাঁচশ এর চেয়েও অধিক প্রজাতির (primates থেকে gut worms) মধ্যে সমকামিতা দেখা গেছে।[3][6] প্রাণীজগতে যে সমকামিতা দেখা যায়, তা স্বাভাবিকভাবে বিতর্কের সিড়ি পার করতে পারে নি। কারণ প্রাণীর মধ্যে সমকামিতা দেখা যায়, এর মাধ্যমে এটা প্রমাণ করা যায়, মানুষের মাঝে যে সমকামিতা দেখা যায়, তা স্বাভাবিক। কিন্তু অনেকে (ধর্মতত্ববিদ, ধর্মপ্রাণ সাধারণ মানুষ) এই বিষয়টি মানতে নারাজ, তাদের মতে প্রাণীজগতে সমকামিতা দেখা যাক বা না যাক, তাতে মানবসমাজের নৈতিকতায় কোনো প্রভাব পরা উচিত নয়। কারণ পশুর আচরণ থেকে নৈতিকতা খুজতে যাওয়া বা সেখান থেকে নৈতিকতার নতুন সংজ্ঞা শিখা অর্থহীন।[7][8] অন্যদিকে সমাজের উদারপন্থী এবং গে ব্যক্তিরা বিশ্বাস করেন, সমকামিতা প্রাকৃতিক এবং একারণেই জীবের মধ্যে সমকামিতার অস্তিত্ব খুজে পাওয়াটা বিষ্ময়কর নয়। জীবজন্তুর আচার-আচরণ দেখেই বুঝা যায় তারা সবচেয়ে বেশি কী পছন্দ করে। এই আচরণসমূহকে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ভাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে।[9][10][11][12] যদিও অন্যান্য জীবের ক্ষেত্রে সমকামিতার সঠিক অর্থ হল: জীবজন্তু "সমকামী আচরণ প্রদর্শন করবে", কিন্তু বর্তমানে জীবজন্তুর ক্ষেত্রে সমকামিতার অর্থের পরিধি আরো বিস্তৃত। প্রাণী যাদের মধ্যে সমকামিতা দেখা যায়, তাদের সকল যৌন আচরণকে(যেমন: copulation, genital উদ্দীপনা, mating games) বর্তমানে সমকামিতা দিয়ে বুঝানো হয়।