সমিতিরহাট ইউনিয়ন
চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ি উপজেলার একটি ইউনিয়ন উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ি উপজেলার একটি ইউনিয়ন উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
সমিতিরহাট বাংলাদেশের চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ি উপজেলার অন্তর্গত একটি ইউনিয়ন।
সমিতিরহাট | |
---|---|
ইউনিয়ন | |
১৯নং সমিতিরহাট ইউনিয়ন পরিষদ | |
বাংলাদেশে সমিতিরহাট ইউনিয়নের অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ২২°৩৬′১৩″ উত্তর ৯১°৫১′১৬″ পূর্ব | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | চট্টগ্রাম বিভাগ |
জেলা | চট্টগ্রাম জেলা |
উপজেলা | ফটিকছড়ি উপজেলা |
সরকার | |
• চেয়ারম্যান | মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ ইমন |
আয়তন | |
• মোট | ১০.৫৩ বর্গকিমি (৪.০৭ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১) | |
• মোট | ১৯,০১৪ |
• জনঘনত্ব | ১,৮০০/বর্গকিমি (৪,৭০০/বর্গমাইল) |
সাক্ষরতার হার | |
• মোট | ৬৫.৭% |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
পোস্ট কোড | ৪৩৩৩ |
ওয়েবসাইট | দাপ্তরিক ওয়েবসাইট |
সমিতিরহাট ইউনিয়নের আয়তন ২,৬০১ একর (১০.৫৩ বর্গ কিলোমিটার)।[1]
২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী সমিতিরহাট ইউনিয়নের মোট জনসংখ্যা ১৯,০১৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৯,০৬০ জন এবং মহিলা ৯,৯৫৪ জন। মোট পরিবার ৩,৫৯৬টি।[1]
ফটিকছড়ি উপজেলার দক্ষিণাংশে সমিতিরহাট ইউনিয়নের অবস্থান। উপজেলা সদর থেকে এ ইউনিয়নের দূরত্ব প্রায় ১৪ কিলোমিটার। এ ইউনিয়নের পূর্বে জাফতনগর ইউনিয়ন, বখতপুর ইউনিয়ন ও নানুপুর ইউনিয়ন; উত্তরে নানুপুর ইউনিয়ন ও রোসাংগিরী ইউনিয়ন; পশ্চিমে রোসাংগিরী ইউনিয়ন, হালদা নদী ও হাটহাজারী উপজেলার ধলই ইউনিয়ন এবং দক্ষিণে হালদা নদী ও হাটহাজারী উপজেলার গুমানমর্দন ইউনিয়ন অবস্থিত।
সমিতিরহাট ইউনিয়ন ফটিকছড়ি উপজেলার আওতাধীন ১৯নং ইউনিয়ন পরিষদ। এ ইউনিয়নের প্রশাসনিক কার্যক্রম উপজেলার ফটিকছড়ি থানার আওতাধীন। এটি জাতীয় সংসদের ২৭৯নং নির্বাচনী এলাকা চট্টগ্রাম-২ এর অংশ। এটি ওখাড়া, নিশ্চিন্তাপুর, পূর্ব ধলই ও ছাদেকনগর এ ৪টি মৌজায় বিভক্ত। এ ইউনিয়নের গ্রামগুলো হল:[2]
প্রচলিত আছে, ছাদেকনগর, নিশ্চিন্তাপুর এবং ওখাড়া -এই তিন এলাকার মানুষ মিলে একটি সম্মিলিত সমিতি গঠন করে একটি বাজার বসান, যা বর্তমান সমিতিরহাট বাজার নামে পরিচিত এবং সেই বাজারের নাম অনুসারে ইউনিয়নের নামকরণ হয় সমিতিরহাট ইউনিয়ন।[3]
ব্রিটিশ শাসনামলের গুরুদাশ শীল প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন সময়ে সমিতিরহাট ইউনিয়ন গঠিত হয়। ঐ সময়ে ইউনিয়নের চেয়ারম্যানকে গ্রাম প্রেসিডেন্ট বলা হত। তখন থেকে রোসাংগিরী সমিতিরহাট একটি অবিভক্ত ইউনিয়ন ছিল। স্বাধীনতার পরবর্তী ১৯৭২ সালে অত্র ইউনিয়ন বিভক্ত হয়ে সমিতিরহাট ইউনিয়ন নামে একটি স্ব-শাসিত ইউনিয়ন গঠিত হয়।[4]
২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী সমিতিরহাট ইউনিয়নের সাক্ষরতার হার ৬৫.৭%।[1] এ ইউনিয়নে ১টি আলিম মাদ্রাসা, ২টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ৪টি অন্যান্য মাদ্রাসা, ২টি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ১০ টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে।
মাধ্যমিক বিদ্যালয়[5]
মাদ্রাসা[6]
নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়[7]
প্রাথমিক বিদ্যালয়
বিদ্যালয়
কিন্ডারগার্টেন[8]
সমিতিরহাট ইউনিয়নে যোগাযোগের প্রধান প্রধান সড়কগুলো হল ফটিকছড়ি-সমিতিরহাট সড়ক, ধর্মপুর-সমিতিরহাট সড়ক এবং ধলই-সমিতিরহাট সড়ক। প্রধান যোগাযোগ মাধ্যম সিএনজি চালিত অটোরিক্সা।
সমিতিরহাট ইউনিয়নে ৪৫টি মসজিদ, ৫টি মন্দির ও ১টি গীর্জা রয়েছে।
সমিতিরহাট ইউনিয়নের দক্ষিণ-পশ্চিম পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে হালদা নদী।[9]
সমিতিরহাট ইউনিয়নের প্রধান ২টি হাট/বাজার হল আনন্দ বাজার এবং সমিতিরহাট।[10]
চেয়ারম্যানগণের তালিকা[13]
ক্রম নং | চেয়ারম্যানের নাম | সময়কাল |
---|---|---|
০১ | দিদারুল বশর | ১৯৭৭-১৯৮৯ |
০২ | হোসাইন আহমেদ | ১৯৮৯-১৯৯২ |
০৩ | নুর আহমদ | ১৯৯২-১৯৯৮ |
০৪ | এডভোকেট আহমদ ছাফা | ১৯৯৮-২০০৩ |
০৫ | কাজী মোহাম্মদ জানে আলম বাবুল | ২০০৩-২০১১ |
০৬ | নুরুল ইসলাম চৌধুরী | ২০১১-২০১৬ |
০৭ | মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ ইমন | ২০১৬-বর্তমান |
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.