Loading AI tools
ইন্দোনেশীয় ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
লুসিয়া ফ্রান্সিস্কা সুসি সুসান্তি (চীনা: 王蓮香; জন্ম: ১১ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭১) পশ্চিম জাভার তাসিকমালয়া এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ইন্দোনেশিয়ার অবসরগ্রহণকারী বিখ্যাত প্রমিলা ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড়।[1] মহিলাদের ব্যাডমিন্টনের ইতিহাসে অন্যতম সফল খেলোয়াড় তিনি। তুলনামূলকভাবে কম উচ্চতার অধিকারী হওয়া স্বত্ত্বেও ক্ষিপ্রতা, শট তৈরীর কৌশল গ্রহণকল্পে চিত্তাকর্ষক নড়াচড়ার অধিকারী ছিলেন সুসি সুসান্তি।
সুসি সুসান্তি | |
---|---|
ব্যক্তিগত তথ্য | |
জন্ম নাম | লুসিয়া ফ্রান্সিস্কা সুসি সুসান্তি |
দেশ | ইন্দোনেশিয়া |
জন্ম | তাসিকমালয়া, ইন্দোনেশিয়া | ১১ ফেব্রুয়ারি ১৯৭১
উচ্চতা | ১.৬১ মিটার (৫ ফুট ৩ ইঞ্চি) |
হাত | ডানহাতি |
মহিলাদের একক | |
সর্বোচ্চ অবস্থান | ১ |
অলিম্পিক পদক রেকর্ড | ||
---|---|---|
মহিলাদের ব্যাডমিন্টন | ||
১৯৯২ বার্সেলোনা | একক | |
১৯৯৬ আটলান্টা | একক | |
বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশীপ | ||
১৯৯৩ বার্মিংহাম | মহিলাদের একক | |
১৯৯৫ লুসান | মহিলাদের একক | |
১৯৯১ কোপেনহেগেন | মহিলাদের একক | |
এশিয়ান গেমস | ||
১৯৯৪ হিরোসিমা | দলগত | |
১৯৯০ বেইজিং | দলগত | |
১৯৯৪ হিরোসিমা | মহিলাদের একক | |
১৯৯০ বেইজিং | মহিলাদের একক | |
ব্যাডমিন্ট বিশ্বকাপ | ||
১৯৮৯ গুয়াংঝু | মহিলাদের একক | |
১৯৯৩ নতুন দিল্লি | মহিলাদের একক | |
১৯৯৪ হো চি মিন | মহিলাদের একক | |
১৯৯৬ জাকার্তা | মহিলাদের একক | |
১৯৯৭ যোগিয়াকার্তা | মহিলাদের একক | |
ইউবার কাপ | ||
১৯৯৬ হংকং | দলগত | |
১৯৯৪ জাকার্তা | দলগত | |
১৯৯৮ হংকং | দলগত | |
সুদিরমান কাপ | ||
১৯৮৯ জাকার্তা | দলগত | |
১৯৯১ কোপেনহেগেন | দলগত | |
১৯৯৩ বার্মিংহাম | দলগত | |
১৯৯৫ লুসান | দলগত |
১৯৯০-এর দশকের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত মহিলাদের এককে একচ্ছত্র প্রভাব বিস্তার করেন তিনি। ১৯৯০, ১৯৯১, ১৯৯৩ ও ১৯৯৪ সালের অল-ইংল্যান্ড; ১৯৯০ থেকে ১৯৯৪ পর্যন্ত একাধারে ও ১৯৯৬ সালে সর্বমোট পাঁচবার বিশ্ব ব্যাডমিন্টন গ্রা প্রিঁ ফাইনাল এবং ১৯৯৩ আইবিএফ বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জয় করেন তিনি।
স্পেনের বার্সেলোনায় অনুষ্ঠিত ১৯৯২ সালের গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক গেমসের ব্যাডমিন্টন বিষয়ের মহিলাদের এককে স্বর্ণপদক লাভ করেন। এরপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টায় অনুষ্ঠিত ১৯৯৬ সালের গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক গেমসের ব্যাডমিন্টন বিষয়ের মহিলাদের এককে ব্রোঞ্জপদক পান। বৈবাহিক বন্ধনে আবদ্ধ হবার অল্প কিছুদিন পর ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৭ সালে ব্যাডমিন্টন জগৎকে বিদায় জানান তিনি।
একমাত্র মহিলা হিসেবে অলিম্পিক, বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ ও অল-ইংল্যান্ডের এককের শিরোপা লাভ করেছেন তিনি। এছাড়াও জাপান ওপেনের তিনবার শিরোপা লাভসহ ইন্দোনেশিয়ান ওপেনের শিরোপা পেয়েছেন পাঁচবার। ১৯৯৪ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত উবের কাপে ইন্দোনেশিয়া দলকে চ্যাম্পিয়ন হতে সহায়তা করেন। ২০০২ সালে হার্বার্ট শিলি ট্রফি গ্রহণ করেন। মে, ২০০৪ সালে আন্তর্জাতিক ব্যাডমিন্টন ফেডারেশন হল অব ফেমে অন্তর্ভুক্ত হন। দেশ গঠনের ৫০ বছর পর বাদিকুসুমাসহ অলিম্পিক স্বর্ণপদক লাভ করেন। আগস্ট, ১৯৯২ সালে জাকার্তায় ফিরে আসলে তাদের সম্বর্ধনায় দুই ঘণ্টাকাল নগরবাসী রাস্তার দু’ধারে অপেক্ষমাণ ছিলেন।[2]
১৯৯২ সালের গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক গেমসের ব্যাডমিন্টন বিষয়ের পুরুষদের এককে স্বর্ণপদক লাভকারী ও পুরুষদের শীর্ষ খেলোয়াড়দের মধ্যে অন্যতম অ্যালান বাদিকুসুমা’র সাথে বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপন করেন। এ দম্পতির সংসারে তিন সন্তান রয়েছে। তারা জাকার্তা উদারায় একটি ব্যাডমিন্টন ক্লাব পরিচালনা করছেন। ২০০৪ সালে তারা অ্যাসটেক নামের একটি ক্রীড়া সরঞ্জামাদির প্রতিষ্ঠান গড়েন।
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.