Loading AI tools
উইকিমিডিয়ার তালিকা নিবন্ধ উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
সোমালিয়ার উপকূলে জলদস্যুতা একবিংশ শতকের প্রথম দিকে সোমালিয়ার গৃহযুদ্ধের দ্বিতীয় পর্যায় থেকে আন্তর্জাতিক জাহাজগুলোর জন্য হুমকি হয়ে উঠেছে।[1] ২০০৫ সাল থেকে, ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশন এবং বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচীসহ অনেক আন্তর্জাতিক সংস্থা, জলদস্যুতা ঘটনা বৃদ্ধির উপর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।[2][3] ওসানস বিয়ন্ড পাইরেসির এক জরিপ অনুসারে, জলদস্যুতার প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে আন্তর্জাতিক জাহাজ কোম্পানিগুলোকে অতিরিক্ত খরচসহ বছরে প্রায় $৬.৬ থেকে ৬.৯ বিলিয়ন ডলার ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে যা বিশ্ব বাণিজ্যে প্রভাব ফেলছে।[4] জার্মান ইন্সটিটিউট ফর ইকনমিক রিসার্চ এর এক জড়িপে বলা হয়, জলদস্যুতার বৃদ্ধির ফলে জলদস্যুতার সাথে সম্পর্কিত লাভজনক প্রতিষ্ঠানের প্রকোপও বৃদ্ধি পেয়েছে। বীমা কোম্পানিগুলো জলদস্যু আক্রমণ থেকে মুনাফা অর্জন করছে, জলদস্যুতার প্রকোপ বৃদ্ধির জন্য বীমার প্রিমিয়ামের পরিমাণও বেড়ে গিয়েছে।[5]
সমুদ্রে জলদস্যুতা প্রতিরোধে ব্যার্থতার জন্য জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে ব্রিটেন দ্বারা প্রস্তাবিত একটি আইন সোমালিযার বিরোদ্ধে ২০০৮ সালের ২০শে নভেম্বর পাশ করা হয়।[6] সোমালি সরকার ইসলামী বিদ্রোহ দমন করে দেশের নিয়ন্ত্রণ নিতে যুদ্ধ করে চলছে, তাদের নৌবাহিনীও উন্নত হচ্ছে কিন্তু জলদস্যুতা প্রতিরোধে তারা কোন কার্যকর পদক্ষেপই নিতে পারছে না।
২০১০ সালের মধ্যে ৫৩টি জাহাজ ছিনতাই হয় এবং মোট ৮জন ক্রু মৃত্যুবরণ করে। তারা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দেশের অধুনিক জাহাজ ছিনতাই করে ফলে তারা পূর্বের তুলনায় আধুনিক সরঞ্জাম ব্যবহার করে জলদস্যুতা পরিচালনা করে থাকে যদিও আন্তর্জাতিক সম্মিলিত টাস্ক ফোর্সের অভিযানের কারণে এখন জলদস্যুতা এ অঞ্চলে অনেকটাই কমে আসছে।[7] এই পাতাটিতে সোমালি জলদস্যুদের দ্বারা আক্রান্ত জাহাজের তালিকা দেওয়া হয়েছে।
বিস্তারিত তথ্যের জন্য দেখুন: * একোটেরা ইন্টা. সোমালি সামুদ্রিক ও উপকূলীয় মনিটর - হালনাগাদ:
চিত্র | পতাকা (মালিক) | নাম (শ্রেণী) | কর্মী (কার্গো) | অবস্থা | আক্রান্ত হওয়ার তারিখ | স্থানাঙ্ক |
---|---|---|---|---|---|---|
মুক্তির তারিখ | মুক্তিপণ দাবি | |||||
হংকং | এমভি ফাইস্টি গ্যাস (এলপিজি বাহক) |
১২ (অজানা) |
মুক্তিপণ পাওয়ার পর বিমুক্ত |
২০০৫-০৪-১০ | unknown | |
অজানা | ইউএস$৩১৫,০০০ | |||||
এমভি ফাইস্টি গ্যাস হল একটি লিক্যুফাইড পেট্রোলিয়াম গ্যাস ট্যাঙ্কার যা সোমালি জলদস্যুরা ছিনতাই করেছিল। হংকং ভিত্তিক কোম্পানির জাহাজটি এর মালিক পক্ষ ইউএস$৩১৫,০০০ ডলার সোমালি জলদস্যুদের দিয়ে মুক্ত করে নিয়ে যায়-জাতিসংঘের প্রতিবেদন অনুযায়ী।[8] | ||||||
কেনিয়া | এমভি স্যামলো (ফ্রেইটার) |
১০ (অজানা) |
বিমুক্ত | ২০০৫-০৬-২৭ | unknown | |
২০০৫-১০-০৩ | ইউএস$৫০,০০০ | |||||
স্যামলো জাহাজটি জাতিসংঘের পক্ষ থেকে সোনামী দূর্গতদের জন্য খাদ্য নিয়ে মোম্বাসা, কেনিয়া থেকে বোসাসো, সোমালিয়ায় যাচ্ছিল, জলদস্যুরা এটি আটক করে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে একজন সোমালি ব্যবসায়ি জলদস্যুদের বোঝানোর ফলে ১০০ দিন পর জাহাজটি মুক্তিপণ ব্যতীতই ছেড়ে দেওয়া হয়।[9] | ||||||
লাইবেরিয়া ( ইউক্রেন) |
এমভি পানাজিয়া (বাল্ক ক্যারিয়ার) |
২২ জন ইউক্রেইন (কয়লা) |
মুক্তিপণ পাওয়ার পর বিমুক্ত |
২০০৫-১০-১৮ | unknown | |
২০০৫-১১-২৫ | ইউএস$৭০০,০০০ | |||||
এমভি পানাজিয়া কয়লার কার্গো নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে তুরস্কে যচ্ছিল, এটি সোমালিয়ার উপকূল থেকে ৯০ নটিক্যাল মাইল (১৭০ কিমি)দূরে জলদস্যুদের কবলে পরে। ইউক্রেনভিত্তিক জাহাজ কোম্পানিটি প্রতিবেদন অনুসারে কেনিয়ার মোম্বাসায় জলদস্যুদের প্রতিনিধির কাছে $৭০০,০০০ মুক্তিপণ দিয়ে জাহাজটি ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। | ||||||
বাহামা দ্বীপপুঞ্জ ( মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) |
এমভি সীবর্ণ স্পিরিট (ক্রুজ জাহাজ) |
২১০ (যাত্রী) |
আটক ব্যর্থ | ২০০৫-১১-০৫ | unknown | |
আটক ব্যর্থ | নাই | |||||
সীবর্ণ স্পিরিট জাহাজটি একটি বিলাসবহুল যাত্রীবাহী জাহাজ, আক্রান্ত হওয়ার দিন এটি ২১০ জন যাত্রী নিয়ে যাচ্ছিল। জলদস্যুরা দুটি স্পিডবোট নিয়ে তাদের আক্রমণ ও গুলিবর্ষণ করে কিন্তু যাত্রীরা ওয়াটার হুজের মাধ্যমে তাদের ব্যর্থ করে দেয়।[10][11] | ||||||
চিত্র | পতাকা (মালিক) | নাম (শ্রেণী) | কর্মী (কার্গো) | অবস্থা | আক্রান্ত হওয়ার তারিখ | স্থানাঙ্ক |
---|---|---|---|---|---|---|
মুক্তির তারিখ | মুক্তিপণ দাবি | |||||
ভারত | এমভি সাফিনা আল-বিরসারাত (ডুহো) |
১৬ (কয়লা) |
বিমুক্ত | ২০০৬-০১-১৬ | unknown | |
২০০৬-০১-২২ | নাই | |||||
জলদস্যুরা ভারতে নিবন্ধিত এমভি সাফিনা আল-বিরসারাত ও এর ১৬ জন ক্রুকে আটক করে। ২২শে জানুয়ারি ইউএসএস উইনস্টন এস. চার্চিল, একটি আর্লি বার্গ-শ্রেণির ডিস্ট্রয়ার, নৌযানটিকে ঘিরে ফেলে। সতকর্তা গুলির পর জলদস্যুরা আত্মসমর্পণ করে এবং ১০ জন জলদস্যু সকলকেই কেনিয়ার মোম্বসায় পাঠিয়ে দেওয়া হয় যেখানে তারা ৭ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করেছেন।[12][13][14] | ||||||
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র | ইউএসএস কেপ সেন্ট. জর্জ (সিজি-৭১) (টাইকোনদেরোজা-শ্রেণির ক্রুজার) |
অজানা (নাই) |
আক্রমণ ব্যর্থ, একজন জলদস্যু খুন ও ১২ জন গ্রেফতার | ২০০৬-০৩-১৮ | unknown | |
N/A | নাই | |||||
ইউএসএস কেপ সেন্ট. জর্জ, একটি টাইকোনদেরোজা-শ্রেণির ক্রুজার, ও ইউএসএস গোঞ্জালেজ, একটি আর্লি বার্গ-শ্রেণির ডিস্ট্রয়ার, জলদস্যু জাহাজে আক্রমণ করে যখন তাদের উপর গুলি চালানো হয়। | ||||||
চিত্র | পতাকা (মালিক) | নাম (শ্রেণী) | কর্মী (কার্গো) | অবস্থা | আক্রান্ত হওয়ার তারিখ | স্থানাঙ্ক |
---|---|---|---|---|---|---|
মুক্তির তারিখ | মুক্তিপণ দাবি | |||||
সেন্ট ভিনসেন্ট ও গ্রেনাডাইন দ্বীপপুঞ্জ | এমভি রোজেন () |
১২ (জাতিসংঘের খাদ্য সাহায্য) |
বিমুক্তি | ২০০৭-০২-২৫ | ১১°৫০′০″ উত্তর ৫১°৩৫′০″ পূর্ব | |
২০০৭-০৪-০৫ | অজানা | |||||
সোমালি জলদস্যুরা স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রের সাহায্যে জাহাজটি দখল করে, এতে ৬ জন কেনীয় ও ৬ জন শ্রীলঙ্কার নাগরিক ছিলেন।[15] ফেব্রুয়ারি ২৭-এ, সোমালি কোস্টগার্ডের সদস্যরা জাহাজটি পুনোরুদ্ধারের চেষ্ঠা চালয় কিন্তু ব্যর্থ হয় এবং দুজন কোস্টগার্ড মৃত্যুবরণ করে। | ||||||
তাইওয়ান | এফভি চিং ফং হুয়া ১৬৮ (মাছ ধরার ভেসেল) |
১৫ (মাছ) |
বিমুক্ত (একজন বন্দি খুন) | ২০০৭-০৪-২৮ | unknown | |
২০০৭-১১-০৫ | ইউএস$১,৫০০,০০০ | |||||
তাইওয়ানে মাছ ধরার ভেসেলটি ২০০৭ সালের ২৮শে মে জলদস্যুরা ছিনতাই করে। ভেসেলে ১০ জন চীনা, দুই জন তাইওয়ানী ও দুই জন ফিলিপাইনে নাগরিক ছিল যে দুজন ৫ই নভেম্বর প্রায় ছয় মাস বন্দি থাকার পর মুক্তি পেয়েছিল। অপর দিকে জলদস্যুরা একজন চীনাকে হত্যা করেছিল কারণ মালিক পক্ষ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দেখা করতে ব্যর্থ হয়েছিল।[16] | ||||||
তানজানিয়া ( দক্ষিণ কোরিয়া) |
এফভি মাভুনা নং. ১ (মাছ ধরার ভেসেল) |
২৫ (মাছ ধরার যন্ত্রপাতি) |
অজানা | ২০০৭-০৫-১৫ | ১°১০′০″ উত্তর ৪৯°০′০″ পূর্ব | |
২০০৭-১১-০০ | নাই | |||||
কোরিয়ায় নিবন্ধনকৃত দুটি তাইওয়ানী ভেসেল মুগাদিশুর ২১০ ন্যটিকেল মাইল থেকে জলদস্যুরা ছিনতাই করে। জাহাজে ২৫ জন বন্দি ছিল যাদেরকে ছয় মাস পর মুক্তি দেওয়া হয়।[17] | ||||||
ডেনমার্ক | এমভি ড্যানিসা হুয়াইট (কার্গে জাহাজ) |
৫ (অজানা) |
মুক্তিপণ পাওয়ার পর মুক্ত |
২০০৭-০৬-০১ | unknown | |
২০০৭-০৮-২৩ | ইউএস$১,৫০০,০০০ | |||||
ডেনিশ মালিকানাধীন কার্গেT জাহাজ ড্যানিসা হুয়াইট জলদস্যুরা ছিনতাই করে ও সোমালিয়ার জলভূমিতে নিয়ে যায়। তেসরা জুন ইউএসএস কার্টার হল (এলএসডি-৫০), একটি হার্পার্স ফ্যারি ক্লাস জাহাজের পথরুদ্ধ করে জলদস্যুদের থামানোর চেষ্ঠা করে, মেশিন-গানের মাধ্যমে গুলিবর্ষণ করে কিন্তু তারা ব্যর্থ হয়।[18] ৮৩ দিন আটকে রাখার পর জলদস্যুরা ১.৫ মিলিয়ন ইউএস ডলারের বিনিময়ে বন্দি পাঁচজন ক্রু ও জাহাজটি এর মালিকের কাছে মুক্ত করে।[19][20] | ||||||
গ্রিস | এফভি গ্রিকো ২ (মাশ ধরার নৌকা) |
৪+ (অজানা) |
অজানা | ২০০৭-০৯-২০ | unknown | |
অজানা | অজানা | |||||
এফভি গ্রিকো ২ বারবারা উপকূল থেকে ১১০ নটিক্যাল মাইল (২০০ কিমি) উত্তরে ছিনতাই হয়। ভেসেলটি রাসা সুলার কাছে অবমুক্ত করা হয় ও সকল জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হয়।[21] | ||||||
পানামা ( জাপান) |
এমভি গোল্ডেন নোরী (রাসায়নিক ট্যাঙ্কার) |
২১২ (৭৮,৮৮৪ ব্যারেল) |
মক্তিপণ পাওয়ার পর মুক্ত |
২০০৭-১০-২৮ | ১৩°৫′০″ উত্তর ৫০°২৪′০″ পূর্ব | |
২০০৭-১২-১২ | ইউএস$১,০০০,০০০ | |||||
এমভি নোরী নামে একটি জাপানি রাসায়নিক ট্যাঙ্কার সোমাল উপকূল থেকে ছিনতাই হয়।ইউএসএস পোর্টার (ডিডিজি-৭৮), নামে একটি Arleigh Burke-শ্রেণির ডিস্ট্রয়ার, জলদস্যুদের দ্বারা ব্যবহৃত স্কিফস ডুবিয়ে দেয়, কিন্তু তারা তখনও ট্যাঙ্কারের নিয়ন্ত্রণে ছিল। যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মান নাভেল ভেসেল বোসাকো বন্দরে যেখানে জট্যাঙ্কারটিকে নেওয়া হয়েছিল তা ব্লক করে রাখে এবং মুক্তিপণ পাওয়ার পর জলদস্যুরা ২১ জন ক্রুসহ ১২ই ডিসেম্বর এটিকে অবমুক্ত করে দেয়।[22] | ||||||
কোমোরোস | এমভি আল মারজান (সাধারণ কার্গো জাহাজ) |
(২,৫০০ টন সাধারণ কার্গো) |
মুক্তিপণ পাওয়র পর মুক্ত |
২০০৭-১০-২৭ | unknown | |
২০০৭-১২-০২ | অজানা | |||||
বিয়াট ইন্টারণ্যাশনালের মালিকানাধীন এমভি আল মারজান জাহাজটি দুবাই থেকে মুম্বাসা যাওয়ার পথে মুগাদিশু থেকে১০-১২ নভেম্বর জলদস্যুরা ছিনতাই করে।[23] | ||||||
উত্তর কোরিয়া | এমভি ডাই হং ড্যান (কার্গো জাহাজ) |
অজানা (অজানা) |
ক্রুরা পুনরায় নিয়ন্ত্রণ নেন |
২০০৭-১০-২৯ | ২°১১′৫৭″ উত্তর ৪৫°৪৭′৫৫″ পূর্ব | |
২০০৭-১০-৩০ | নাই | |||||
জলদস্যুরা উত্তর কোরিয়ার জাহাজ এমভি ডাই হং ড্যান আক্রমণ করে কিন্তু ক্রুরা জলদস্যুদের কাছ থেকে ব্রিজের নিয়ন্ত্রণ নেন, এক জলদস্যুকে হত্যা করেন ও ছয় জনকে বন্দি করেন। যুদ্ধে তিনজন নাবিক আহত হন ও তাদের যুক্তরাষ্ট্রের একটি ডিস্ট্রয়ার জাহাজে চিকিৎসা দেওয়া হয়।[24] | ||||||
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.