হৃতিক রোশন
ভারতীয় অভিনেতা / From Wikipedia, the free encyclopedia
হৃত্বিক রোশন (পাঞ্জাবি: ਰਿਤੀਕ ਰੋਸ਼ਨ, হিন্দী: हृतिक रोशन, জন্ম: ১০ জানুয়ারি, ১৯৭৪) হলেন একজন ভারতীয় অভিনেতা। তিনি বলিউড চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। চলচ্চিত্র পরিচালক রাকেশ রোশনের পুত্র ঋত্বিক বিভিন্ন ধরনের চরিত্রে অভিনয় করেছেন এবং এক দক্ষ নৃত্যশিল্পী হিসেবেও খ্যাতি অর্জন করেছেন। তিনি ভারতের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক-প্রাপ্ত অভিনেতাদের অন্যতম। ছ’টি ফিল্মফেয়ার পুরস্কারসহ বহু পুরস্কার জয় করেছেন ঋত্বিক। হৃতিক সর্বাধিক জনপ্রিয় ভারতীয় সেলিব্রিটিদের মধ্যে অন্যতম এবং ২০১২ সালে তার আয় ও জনপ্রিয়তার ভিত্তিতে ফোর্বস সাময়িকীর ১০০ ভারতীয় তারকার তালিকায় তার নাম ওঠে আসে। এছাড়া ২০১৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক একটি এজেন্সির জরিপে তিনি বিশ্বের সবচেয়ে হ্যান্ডসাম পুরুষ হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন।[1]
হৃত্বিক রোশন | |
---|---|
ਰਿਤੀਕ ਰੋਸ਼ਨ | |
জন্ম | (1974-01-10) ১০ জানুয়ারি ১৯৭৪ (বয়স ৫০) মুম্বই, মহারাষ্ট্র, ভারত |
পেশা | অভিনেতা |
কর্মজীবন | ১৯৮৬–বর্তমান |
দাম্পত্য সঙ্গী | সুজান খান (বি. ২০০০; বিবাহবিচ্ছেদ ২০১৪) |
সন্তান | ২ |
পিতা-মাতা | রাকেশ রোশন পিঙ্কি রোশন |
আত্মীয় | রোশন পরিবার দেখুন |
পুরস্কার | পূর্ণাঙ্গ তালিকা |
হৃতিক প্রায়শই তার বাবা রাকেশ রোশনের সঙ্গে কাজ করে থাকেন। ১৯৮০-এর দশকে বেশ কয়েকটি ছবিতে হৃতিক শিশুশিল্পী হিসেবে অভিনয় করেছিলেন। পরে রাকেশ রোশন পরিচালিত চারটি ছবিতে সহকারী পরিচালক হিসেবেও কাজ করেন তিনি। কাহো না... প্যায়ার হ্যায় (২০০০) ছবিতে তিনি প্রথম বার প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন। এই ছবিটি বক্স-অফিসে সাফল্য অর্জন করেছিল এবং এতে অভিনয় করে হৃতিক বেশ কয়েকটি পুরস্কারও অর্জন করেছিলেন। ২০০০ সালে সন্ত্রাসবাদ নাট্যধর্মী ফিজা এবং ২০০১ সালে একাধিক তারকাসম্বলিত প্রণয়মূলক নাট্যধর্মী কভি খুশি কভি গম... ছবি দু’টি তাকে বিশেষ খ্যাতি অর্জনে সাহায্য করে। কিন্ত তার অভিনীত পরবর্তী কয়েকটি ছবি সাফল্য অর্জনে ব্যর্থ হয়।
২০০৩ সালে বিজ্ঞান কল্পকাহিনিনির্ভর কোই... মিল গয়া চলচ্চিত্রে অভিনয় করে হৃতিক দু’টি ফিল্মফেয়ার পুরস্কার (শ্রেষ্ঠ অভিনেতা ও সমালোচকদের বিচারে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা) পান। এই ছবিটি তার অভিনয় জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। এই ছবিটির দু’টি অনুবর্তী পর্ব নির্মিত হয়: কৃষ (২০০৬) ও কৃষ ৩। এই দু’টি ছবিতেও নাম ভূমিকায় অভিনয় করেন হৃতিক এবং ছবি দু’টিও প্রভূত সাফল্য অর্জন করেছিল। ২০০৬ সালে রোমাঞ্চকর চলচ্চিত্র ধুম ২-এ তিনি এক চোরের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন। ২০০৮ সালে ঐতিহাসিক প্রণয়ধর্মী জোধা আকবর ছবিতে মুঘল সম্রাট আকবরের ভূমিকায় এবং ২০১০ সালে নাট্যধর্মী গুজারিশ চলচ্চিত্রে একজন কোয়াড্রিপ্লেজিক চরিত্রে অভিনয়ের জন্য তিনি সর্বত্র প্রশংসা অর্জন করেন। এরপর তার অভিনীত নাট্যধর্মী চলচ্চিত্র জিন্দগি না মিলেগি দোবারা (২০১১), প্রতিশোধমূলক চলচ্চিত্র অগ্নিপথ (২০১২) ও মারপিটধর্মী হাস্যরসাত্মক চলচ্চিত্র ব্যাং ব্যাং! (২০১৪, তার অভিনীত সর্বোচ্চ আয়কারী চলচ্চিত্র) এবং জীবনীমূলক সুপার থার্টি (২০১৯) সাফল্য অর্জন করে।
হৃতিক মঞ্চেও কাজ করে থাকেন এবং জাস্ট ড্যান্স (২০১১) অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তিনি প্রথম টেলিভিশনে উপস্থিত হন। এই অনুষ্ঠানের বিচারক হিসেবে তিনিই ভারতীয় টেলিভিশনের সর্বাধিক পারিশ্রমিক-প্রাপ্ত চলচ্চিত্র তারকা হয়ে ওঠেন। অভিনয়ের পাশাপাশি হৃতিক একাধিক দাতব্য ক্রিয়াকাণ্ডের সঙ্গেও জড়িত রয়েছেন। সেই সঙ্গে একাধিক ব্র্যান্ড ও উৎপাদিত সামগ্রীর হয়ে বিজ্ঞাপন করেছেন এবং নিজস্ব পোশাক লাইনও সর্বসমক্ষে এনেছেন। হৃতিক ২০০০ সালে সুজান খানকে বিবাহ করেছিলেন। তাদের দুই পুত্রসন্তান রয়েছে। ২০১৪ সালে তাদের চৌদ্দ বছরের বৈবাহিক সম্পর্কের ইতি ঘটে।