![cover image](https://wikiwandv2-19431.kxcdn.com/_next/image?url=https://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/2/28/Immunohistochemical_detection_of_Helicobacter_pylori_histopathology.jpg/640px-Immunohistochemical_detection_of_Helicobacter_pylori_histopathology.jpg&w=640&q=50)
হেলিকোব্যাক্টার পাইলোরি
ব্যাকটেরিয়ার প্রজাতি / From Wikipedia, the free encyclopedia
হেলিকোব্যাক্টর পাইলোরি, (পূর্বে ক্যাম্পাইলোব্যাক্টর পাইলোরি নামে পরিচিত) একটি গ্রাম-নেগেটিভ, মাইক্রোঅ্যারোফিলিক, সর্পিল (হেলিকাল) ব্যাকটেরিয়া, যা সাধারণত পাকস্থলিতে পাওয়া যায়।[3] এর সর্পিল আকৃতি (যা থেকে গণের নাম, হেলিকোব্যাক্টর উদ্ভূত হয়েছে) পাকস্থলির মিউকয়েড আস্তরণে প্রবেশ করে সংক্রমণ করার জন্য বিবর্তিত হয়েছে বলে মনে করা হয়।[5][6] ব্যাকটেরিয়াটি প্রথম ১৯৮২ সালে অস্ট্রেলিয়ান ডাক্তার ব্যারি মার্শাল এবং রবিন ওয়ারেন শনাক্ত করেছিলেন।[7][8][9] এইচ. পাইলোরি পাকস্থলী, খাদ্যনালী, কোলন, মলদ্বার বা চোখের চারপাশের টিস্যুতে মিউকোসা-সম্পর্কিত লিম্ফয়েড টিস্যুর ক্যান্সারের সাথে[10][11] জড়িত।[12]
হেলিকোব্যাক্টার পাইলোরি ইনফেকশন | |
---|---|
প্রতিশব্দ | এইচ পাইলোরি ইনফেকশন |
![]() | |
গ্যাস্ট্রিক বায়োপসি থেকে হেলিকোব্যাক্টার পাইলোরি (বাদামী) এর ইমিউনোহিস্টোকেমিক্যাল স্টেইনিং। | |
উচ্চারণ | |
বিশেষত্ব | সংক্রামক রোগ, গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি |
লক্ষণ | হেমেটেমেসিস, মেলানা, পেটে ব্যথা, বমি বমি ভাব |
জটিলতা | গ্যাস্ট্রাইটিস, পাকস্থলির আলসার, পাকস্থলির ক্যান্সার |
কারণ | মৌখিক-মৌখিক এবং মল-মৌখিক পথের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে |
রোগনির্ণয়ের পদ্ধতি | ইউরিয়া শ্বাস পরীক্ষা, মল অ্যান্টিজেন পরীক্ষা, টিস্যু বায়োপসি |
ঔষধ | প্রোটন পাম্প ইনহিবিটর, ক্ল্যারিথ্রোমাইসিন, অ্যামোক্সিসিলিন, মেট্রোনিডাজল[3] |
সংঘটনের হার | >৫০% (২০১৫)[4] |
এইচ. পাইলোরি দ্বারা সংক্রমণের সাধারণত কোন উপসর্গ থাকে না তবে কখনো কখনো গ্যাস্ট্রাইটিস (পেট প্রদাহ) বা পাকস্থলীর আলসার বা ছোট অন্ত্রের প্রথম অংশের প্রদাহের কারণ হয়ে থাকে। সংক্রমণটি নির্দিষ্ট ধরনের ক্যান্সার বিকাশের সাথেও সম্পর্কিত।[13] অনেক গবেষণাকারী পরামর্শ দেন যে, এইচ. পাইলোরি অন্যান্য রোগের কারণ বা রোগকে প্রতিরোধও করে, কিন্তু এ নিয়ে অনেক বিতর্ক আছে।[14][15][16][17]
কিছু গবেষণা জানায় যে এইচ পাইলোরি পাকস্থলীর বাস্তুতন্ত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, যেমন গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ট্র্যাক্টের উপনিবেশকারী ব্যাকটেরিয়াকে প্রভাবিত করে।[13][16] অন্যান্য গবেষণায় দেখা যায় যে, এইচ পাইলোরি এর রোগ না ছড়ানো কিছু বংশ পাকস্থলীর অ্যাসিড নিঃসরণকে স্বাভাবিক করতে পারে[18] এবং ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।[18]
২০১৫ সালে, এটি অনুমান করা হয়েছিল যে বিশ্বের জনসংখ্যার ৫০% এরও বেশি মানুষের গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ট্র্যাক্টে এইচ.পাইলোরি্র সংক্রমণ (বা উপনিবেশ) রয়েছে। উন্নয়নশীল দেশগুলিতে এটি বেশি দেখা যায়। তবে সাম্প্রতিক দশকগুলিতে,গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ট্র্যাক্টে এইচ.পাইলোরি এর ব্যাপকতা অনেক দেশেই হ্রাস পেয়েছে।[19]