Loading AI tools
ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
বাংলাদেশে ২০১৯ সালের ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব মূলত এপ্রিল মাসে শুরু হয় এবং এখনও অব্যাহত আছে। এই ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব সমগ্র বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়েছিল। স্বাস্থ্য পরিষেবা অধিদফতরের মতে, ১ আগস্ট ২০১৯ পর্যন্ত ১৪ জন মারা যায় এবং ১৯,৫১৩ জন আক্রান্ত হয়, যার বেশিরভাগই শিশু। [2] যদিও অন্য উৎসগুলি মৃতের সংখ্যা ইতিমধ্যে ৫০ পেরিয়ে গেছে বলে জানায়। ২০১৯ সালের ১ আগস্ট, ডিজিএইচএস দেশের সমস্ত জেলাতে এই রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটেছে বলে নিশ্চিত করে। [3] অধিকন্তু, এটি ২৪ ঘণ্টায় নতুন সংক্রামিত ১৭১২জন রোগীর কথা প্রকাশ করে যা একদিনে আক্রান্ত হওয়া লোকের সংখ্যা হিসেবে রেকর্ড পরিমাণ। সরকারী সূত্রে জানা যায়, প্রতি ঘণ্টায় প্রায় ৭১ জন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়। [3] আক্রান্ত অঞ্চলের মধ্যে ঢাকা জেলা এবং ঢাকা বিভাগ সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়। [2] বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করেন যে, আগস্টে ঈদ-আল-আধহার ছুটি উদ্যাপন করার জন্য প্রচুর লোক বড় শহর থেকে গ্রামীণ অঞ্চলে ভ্রমণ করবেন এর ফলে অবস্থার আরো অবনতি হতে পারে। [4] রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) ধারণা করে যে এর প্রকোপ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।[5]
২০১৯ বাংলাদেশে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব | |
---|---|
রোগ | ডেঙ্গু জ্বর |
ভাইরাসের প্রজাতি | ডেঙ্গু ভাইরাস |
তারিখ | এপ্রিল ২০১৯ - জানুয়ারি ২০২০ |
উৎপত্তি | বাংলাদেশ |
নিশ্চিত আক্রান্ত | ১,০১,৩৫৪[1] (২০১৯ সালে) ২৪১ [1] (২০২০ সালে) |
মৃত্যু | ১৭৯[1] |
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ (সিডিসি) ইউনিট মার্চ ২০১৯-এর প্রাদুর্ভাব সম্পর্কে সতর্ক করেছিলো। জানুয়ারিতে তারা ঢাকা শহরে একটি জরিপ সম্পন্ন করে যেখানে তারা শহরের বিভিন্ন স্থানে লার্ভা এবং প্রাপ্তবয়স্ক এডিস মশার উপস্থিতি দেখতে পায়। জরিপের ফলাফলের ভিত্তিতে, তারা উভয় সিটি কর্পোরেশনকে আগামি মাসগুলিতে প্রাদুর্ভাবের সম্ভাবনা সম্পর্কে সতর্ক করেছিল। সিডিসির পরিচালক ড. সানিয়া তাহমিনা বলেন, তারা ভবিষ্যতের প্রকোপ হওয়ার সম্ভাবনা বিবেচনা করে ফেব্রুয়ারি থেকে চিকিৎসক ও নার্সদের প্রশিক্ষণও দেওয়া শুরু করেছিলেন।[6]
আগস্ট ২০১৯-এ, বাংলাদেশ সরকার ডেঙ্গু টেস্ট কিট আমদানিতে সমস্ত শুল্ক প্রত্যাহার করে।
বাংলাদেশে ২০০০ সালে সর্বপ্রথম ডেঙ্গু জ্বর দেখা দেয়। দাবি করা হয়েছিল সেই বছরে ৯৩ জন মারা গেছে। ৩ বছর পরে মৃত্যুর সংখ্যা ধীরে ধীরে প্রায় শূন্যে নেমে আসে। তবে এটি আবার ২০১৮ সালে ফিরে আসে, এতে ২৬ জন মারা যায় এবং ১০,১৪৮ জন আক্রান্ত হয়।[7][8][9] ২০১৮ এর আগে সর্বোচ্চ আক্রান্ত লোকের সংখ্যা ছিলো ২০০২ সালে, ৬,২৩২ জন।[9]
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.