৩ জুন ২০১৯ সাল, আসামের জোড়হাট বিমানবন্দর থেকে অরুণাচল প্রদেশের মেছুকায় যাওয়ার পথে ভারতীয় বিমানবাহিনীর একটি আন্তোনোভ এএন-৩২ দ্বি-ইঞ্জিন বিশিষ্ট টার্বোপ্রপ পরিবহন বিমানটি উড্ডয়নের প্রায় ৩৩ মিনিটের পরে স্থল নিয়ন্ত্রণের সাথে যোগাযোগ হারিয়ে ফেলে। বিমানে ১৩ জন ছিলেন। এক সপ্তাহব্যাপী অনুসন্ধান অভিযানের পরে, ১২,০০০ ফুট উচ্চতায় অরুণাচল প্রদেশের গাট্টে গ্রামের নিকটবর্তী পারি পাহাড়ের কাছে কোনও বেঁচে থাকা লোকের সঙ্গে ধ্বংসস্তূপটি পাওয়া যায়নি।
দুর্ঘটনা | |
---|---|
তারিখ | ৩ জুন ২০১৯ |
সারমর্ম | পার্বত্য অঞ্চলে বিধ্বস্ত |
স্থান | গাট্টে গ্রামের কাছাকাছি পারি পাহাড়ের কাছে, অরুণাচল প্রদেশ, ভারত |
উড়োজাহাজ | |
বিমানের ধরন | আন্তোনোভ এএন-৩২ |
পরিচালনাকারী | ভারতীয় বিমানবাহিনী |
নিবন্ধন | কে২৭৫২ |
ফ্লাইট শুরু | জোড়াহাট বিমানবন্দর বিমানবাহিনী স্টেশন, আসাম, ভারত |
গন্তব্য | মেচুকা অ্যাডভান্সড ল্যান্ডিং গ্রাউন্ড, অরুণাচল প্রদেশ, ভারত |
মোট ব্যক্তি | ১৩ |
নিহত | ১৩ |
উদ্ধার | ০ |
যাত্রী
বিমানটিতে ভারতীয় বিমানবাহিনীর ১৩ জন কর্মী, আট জন ক্রু সদস্য এবং পাঁচ যাত্রী ছিলেন।[1][2][3] সকলেই দুর্ঘটনাতে নিহত হয়।[4]
অনুসন্ধান অভিযান
আন্তোনভ আন-৩২ দ্বি-ইঞ্জিন বিশিষ্ট টার্বোপ্রপ পরিবহন বিমান ৩ জুন ২০১৯ সালে আসামের জোড়হাট বিমানবন্দর থেকে অরুণাচল প্রদেশের মেচুকা অ্যাডভান্সড ল্যান্ডিং গ্রাউন্ডের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। বিমানটি জোড়হাট থেকে দুপুর ১২:২৭ মিনিটে যাত্রা শুরু করে এবং উড্ডয়নের প্রায় ৩৩ মিনিটের পরে দুপুর ১ টা নাগাদ স্থল নিয়ন্ত্রণের সাথে যোগাযোগ হারিয়ে ফেলে।[1][3]
আট দিনের অনুসন্ধান অভিযানের পরে, যা খারাপ আবহাওয়ার দ্বারা বাধাগ্রস্ত হয়, ১১ ই জুন, ২০১৯ সালে বিমানটির ধ্বংসস্তূপটি অরুণাচল প্রদেশের লিপো থেকে ১৬ কিলোমিটার উত্তরে, গাট্টে গ্রামের নিকটবর্তী পারি পাহাড়ের নিকটে ১২,০০০ ফুট উচ্চতায় পাওয়া যায়।[4][5] ভারতীয় বিমানবাহিনী এর আগে যারা দুর্ঘটনা গ্রস্ত বিমানের তথ্য দিতে নিতে পারে তাদের জন্য ৫ লক্ষ ডলার ($,০০০ মার্কিন ডলার) নগদ পুরষ্কারের প্রস্তাব করে।[6] তল্লাশি অভিযানের জন্য সুখোই -৩০, সি -১৩০জে ও এএন-৩২ বিমান এবং এমআই ১৭ এবং এএলএইচ হেলিকপ্টারগুলির পাশাপাশি ভারতীয় সেনা, ইন্দো-তিব্বত সীমান্ত পুলিশ এবং রাজ্য পুলিশ বাহিনীকে নিযুক্ত করা হয়। ভারতীয় নৌবাহিনীর পি -৮ আই বিমানও মোতায়েন করা হয়। ইসরোর কার্টোস্যাট এবং রিস্যাট উপগ্রহও ব্যবহৃত হয়।[7]
১২ ই জুন, ২০১৯ সালে ১৫ জন উদ্ধারকারীদের একটি দলকে দুর্ঘটনা স্থানের কাছাকাছি এয়ারড্রপড করা হয়, তবে রুক্ষ অঞ্চল ও খারাপ আবহাওয়ার কারণে তারা সেই জায়গায় পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়।[8] পরের দিন উদ্ধার দলটি ঘটনাস্থলে পৌঁছে জানায় যে কেউ বেঁচে নেই এবং তারা বিমানের রেকর্ডার উদ্ধার করে।[1][9]
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ
Wikiwand in your browser!
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.