২০২২–২৩ উয়েফা ইউরোপা লিগ
From Wikipedia, the free encyclopedia
২০২২–২৩ উয়েফা ইউরোপা লিগ হচ্ছে উয়েফা কর্তৃক আয়োজিত ইউরোপীয় দলগুলোর ফুটবল প্রতিযোগিতার ৫২তম আসর এবং উয়েফা কাপ হতে উয়েফা ইউরোপা লিগে নামে পরিবর্তন করার পর ১৪তম আসর।
বিবরণ | |
---|---|
তারিখ | বাছাইপর্ব: ১১ – ২৫ আগস্ট ২০২২ চূড়ান্ত পর্ব: ৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ – ৩১ মে ২০২৩ |
দল | চূড়ান্ত পর্ব: ৩২+৮ মোট: ২১+৩৭ (৩২–৩৬টি অ্যাসোসিয়েশন থেকে) |
চূড়ান্ত অবস্থান | |
চ্যাম্পিয়ন | সেভিলা (৭ম শিরোপা) |
রানার-আপ | রোমা |
পরিসংখ্যান | |
ম্যাচ | ১৪১ |
গোল সংখ্যা | ৩৮১ (ম্যাচ প্রতি ২.৭টি) |
দর্শক সংখ্যা | ৪০,৬৭,৮৭২ (ম্যাচ প্রতি ২৮,৮৫০ জন) |
শীর্ষ গোলদাতা | Victor Boniface (Union Saint-Gilloise) Marcus Rashford (Manchester United) প্রত্যেকে ৬ গোল করে |
সেরা খেলোয়াড় | Jesús Navas (Sevilla)[1] |
← ২০২১–২২ ২০২৩–২৪ →
সর্বশেষ হালনাগাদ: ৩১ মে ২০২৩ |
এই আসরের ফাইনাল হাঙ্গেরির বুদাপেস্টের পুশকাশ এরিনায় অনুষ্ঠিত হবে। ২০২২–২৩ উয়েফা ইউরোপা লিগের বিজয়ী দল ২০২৩ উয়েফা সুপার কাপে ২০২২–২৩ উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের বিজয়ী দলের বিরুদ্ধে খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে। একই সাথে উভয় দল স্বয়ংক্রিয়ভাবে ২০২৩–২৪ উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের গ্রুপ পর্বে খেলার জন্য উত্তীর্ণ হবে।
এই আসরটি ১৯৯৯–২০০০ মৌসুমের পর দ্বিতীয় (উক্ত মৌসুমে ১৯৯৮–৯৯ উয়েফা কাপ উইনার্স কাপের শেষ আসর অনুষ্ঠিত হয়েছিল) মৌসুম, যেখানে উয়েফার তিনটি প্রধান ক্লাব প্রতিযোগিতা (উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ, উয়েফা ইউরোপা লিগ এবং উয়েফা ইউরোপা কনফারেন্স লিগ) অনুষ্ঠিত হবে।[2] এই মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগের বিন্যাসে কোন পরিবর্তন করা হয়নি, তবে যে দলগুলো প্রাথমিক পর্ব এবং প্রথম বাছাইপর্ব থেকে বাদ পড়েছে তারা এবার ইউরোপা লিগের পরিবর্তে ইউরোপা কনফারেন্স লিগে স্থানান্তরিত হয়েছে।[3] এর ফলে ইউরোপা লিগের বিন্যাসে বড় ধরনের পরিবর্তন আনা হয়েছে। গ্রুপ পর্বে দলের সংখ্যা ৪৮ থেকে কমিয়ে ৩২টি দল করা হয়েছে এবং বাছাইপর্বে অংশগ্রহণকারী দলের সংখ্যাও উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করা হয়েছে। নকআউট পর্বের প্রথম পর্বে এখন কেবল গ্রুপ পর্বে দ্বিতীয় স্থান অধিকারী এবং চ্যাম্পিয়নস লিগের গ্রুপ পর্বে তৃতীয় স্থান অধিকারী দল অংশগ্রহণ করবে; গ্রুপ পর্বে প্রথম স্থান অধিকারী দল সরাসরি ১৬ দলের পর্বে অংশগ্রহণ করবে।[2]
২০২১ সালের ২৪শে জুন তারিখে উয়েফা সকল উয়েফা ক্লাব প্রতিযোগিতায় অ্যাওয়ে গোল নিয়ম বাতিল করার প্রস্তাব অনুমোদন করেছে,[4][5] যা ১৯৬৫ সাল থেকে ব্যবহৃত হয়ে আসছিল।[6] অতএব, যদি দুই লেগের পর্বের ম্যাচ সমতায় থাকে অর্থাৎ দুটি দল একই পরিমাণ গোল করে, তবে বিজয়ী প্রতিটি দলের অ্যাওয়ে গোলের সংখ্যা দ্বারা বিজয়ী নির্ধারণ করা হবে না, তবে সর্বদা অতিরিক্ত ৩০ মিনিটের খেলা অনুষ্ঠিত হবে। যদি অতিরিক্ত সময় শেষেও দুটি দল সমতায় থাকে, তবে পেনাল্টি শুট-আউটের মাধ্যমে ম্যাচের বিজয়ী নির্ধারণ করা হবে।[7]