ক্রাইস্টচার্চ
নিউজিল্যান্ডের দক্ষিণ দ্বীপের বৃহত্তম শহর / From Wikipedia, the free encyclopedia
ক্রাইস্টচার্চ (ইংরেজি: Christchurch,/ˈkraɪstʃɜːrtʃ/; মাওরি: Ōtautahi) নিউজিল্যান্ডের পূর্বাঞ্চলীয় দক্ষিণ দ্বীপের পূর্ব উপকূলবর্তী এলাকায় অবস্থিত বৃহত্তম নগর। অকল্যান্ডের পর জনসংখ্যার দিক দিয়ে এ শহরটি নিউজিল্যান্ডের দ্বিতীয় বৃহত্তম নগর হিসেবে পরিচিত। এছাড়াও, উর্বর কৃষি অঞ্চলে শস্যদানা উৎপাদন ও ভেড়া পালনের বাণিজ্যিক কেন্দ্র হিসেবেও এর সুনাম রয়েছে। একসময় সমৃদ্ধ কৃষি উপযোগী পরিবেশই নগরের প্রধান অর্থনৈতিক চালিকাশক্তি ছিল। বিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে এলাকাটি দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ শিল্প এলাকা হিসেবে প্রতিষ্ঠা পায়। পাশাপাশি নিউজিল্যান্ডের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শিল্প এলাকা এটি। উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা, পানি সরবরাহ, অসীম পানিবিদ্যুৎ উৎপাদনে এ শহরের জুড়ি মেলা ভার। সাউথ আইল্যান্ডের পূর্ব উপকূলের ক্রাইস্টচার্চের অবস্থান। ৫ মার্চ, ২০১৩ তারিখের জরীপ এর জনসংখ্যা ৩৪১,৪৬৯জন।[2] শহরের মাঝ দিয়ে অ্যাভন নদী প্রবাহিত হচ্ছে। এডওয়ার্ড গিবন ওয়াকফিল্ড ও তার নিউজিল্যান্ড কোম্পানির সর্বশেষ ও সর্বাপেক্ষা সফল ঔপনিবেশিক প্রকল্প।
ক্রাইস্টচার্চ ওতাউতাহি (মাওরি) | |
---|---|
মেট্রোপলিটান এলাকা | |
ক্রাইস্টচার্চ | |
ডাকনাম: গার্ডেন সিটি | |
স্থানাঙ্ক: ৪৩°৩১′৪৮″ দক্ষিণ ১৭২°৩৭′১৩″ পূর্ব | |
দেশ | নিউজিল্যান্ড |
দ্বীপ | সাউথ আইল্যান্ড |
অঞ্চল | ক্যান্টারবারি |
Territorial authority | ক্রাইস্টচার্চ সিটি |
যুক্তরাজ্য কর্তৃক বসতিস্থাপন | ১৮৪৮ |
সরকার | |
• মেয়র | লিয়ান ড্যালজিয়েল |
আয়তন | |
• মেট্রোপলিটান এলাকা | ১,৪২৬ বর্গকিমি (৫৫১ বর্গমাইল) |
• পৌর এলাকা | ৪৫২ বর্গকিমি (১৭৫ বর্গমাইল) |
সর্বোচ্চ উচ্চতা | ৯২০ মিটার (৩,০২০ ফুট) |
সর্বনিন্ম উচ্চতা | ০ মিটার (০ ফুট) |
জনসংখ্যা (জুন ২০১৩ হিসাবে)[1] | |
• মেট্রোপলিটান এলাকা | ৩,৬৬,০০০ |
• জনঘনত্ব | ২৬০/বর্গকিমি (৬৬০/বর্গমাইল) |
সময় অঞ্চল | এনজেডএসটি (ইউটিসি+১২) |
• গ্রীষ্মকালীন (দিসস) | এনজেডডিটি (ইউটিসি+১৩) |
এলাকা কোড | ০৩ |
Local iwi | Ngāi Tahu, Ngāti Mamoe |
ওয়েবসাইট | www.ccc.govt.nz www.ecan.govt.nz |
প্রধান শিল্প ও কল-কারখানা হিসেবে রয়েছে - প্রচলিত ধারায় মাংস মোড়কজাতকরণ, চামড়া শিল্প, কাপড়, কার্পেট সামগ্রী, পশমের পণ্য, আসবাবপত্র এবং পরিবহন যন্ত্রাংশ, টায়ার, সাবান, গ্লাস, ময়দা উৎপাদন। সুড়ঙ্গপথে সড়ক ও রেল যোগাযোগের মাধ্যমে পোর্ট হিলকে লিটলন বন্দরের সাথে যুক্ত করতে সক্ষম হয়েছে। ১৮৭৩ সালে প্রতিষ্ঠিত ক্যান্টারবারি বিশ্ববিদ্যালয় ক্রাইস্টচার্চেই অবস্থিত। শহরের কাছেই ১৮৭৮ সালে প্রতিষ্ঠিত ক্যান্টারবারি কৃষি কলেজ (পরবর্তীতে ১৯৯০ সালে লিঙ্কন বিশ্ববিদ্যালয়) গড়ে উঠেছে।