লিকুদ (হিব্রু ভাষায়: הַלִּיכּוּד) ইসরায়েলের অন্যতম প্রধান কেন্দ্র-ডানপন্থী রাজনৈতিক দল।[10][11] প্রাতিষ্ঠানিকভাবে এ দলটি লিকুদ-ন্যাশনাল লিবারেল মুভমেন্ট নামে পরিচিত। ধর্মনিরপেক্ষ দল হিসেবে ১৯৭৩ সালে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়।[12] মেনাখেম বেগিন কয়েকটি ডানপন্থী ও উদারবাদী দলগুলোকে একত্রিত করে এ দল প্রতিষ্ঠা করেন। দলের সদস্যদেরকে প্রায়শঃই ‘লিকুদনিক’ (হিব্রু ভাষায়: לִכּוּדְנִיק) নামে পরিচিতি ঘটানো হয়ে থাকে।[13] ২০১৪ সাল পর্যন্ত দলে সংস্কারবাদী ও কট্টরপন্থী - এ দুই ধারায় সদস্য রয়েছে। নেসেটে বর্তমানে লিকুদ দলের ৩০জন সদস্য রয়েছে। দলের বর্তমান সভাপতি হিসেবে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু দায়িত্ব পালন করছেন।
লিকুদ הליכוד | |
---|---|
সভাপতি | বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু |
প্রতিষ্ঠাতা | মেনাখেম বেগিন, আইজাক শামির |
প্রতিষ্ঠা | ১৯৭৩ (জোট) ১৯৮৮ (একীভূত দল) |
একীভূতকরণ | গাহাল হেরাত লিবারেল পার্টি ফ্রি সেন্টার ন্যাশনাল লিস্ট মুভমেন্ট ফর গ্রেটার ইসরায়েল |
সদর দপ্তর | মেতজুদাত জিভ ৩৮ কিং জর্জ স্ট্রিট তেল আভিভ, ইসরায়েল |
সদস্যপদ (২০১২) | ১২৫,০০০ |
ভাবাদর্শ | উদার জাতীয়তাবাদ[1][2][3][4] উদার রক্ষণশীলতাবাদ[5] রিভিশনিস্ট ইহুদিবাদ (ঐতিহাসিক)[6][7] |
রাজনৈতিক অবস্থান | কেন্দ্র-ডান[4][8] থেকে ডানপন্থী[9] |
আন্তর্জাতিক অধিভুক্তি | প্রযোজ্য নয় |
আনুষ্ঠানিক রঙ | Blue |
নেসেট | ৩০ / ১২০ |
নির্বাচনী প্রতীক | |
מחל | |
ওয়েবসাইট | |
www.likud.org.il | |
ইসরায়েলের রাজনীতি |
ইতিহাস
১৯৭৭ সালের নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে দলটি। ফলে, দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের মোড় অনেকাংশেই ঘুরে যায়। এরফলে প্রথমবারের মতো বামপন্থীরা তাদের ক্ষমতা হারাতে বাধ্য হয়।[14] ১৯৮০-এর দশকের অধিকাংশ সময় দেশ শাসন করলেও ১৯৯২ সালে নেসেটের সংসদীয় নির্বাচনে পরাজিত হয়। অক্টোবর, ১৯৮৩ সালে মেনাখেম বেগিন পদত্যাগ করার পর প্রধানমন্ত্রী আইজাক শামির দলীয় প্রধান হন। ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে জয়ের পর লিকুদের প্রার্থী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব লাভ করেন। কিন্তু, ঐ সরকারের বিশ্বাসযোগ্যতা না থাকায় ১৯৯৯ সালের নির্বাচন আহ্বান করতে হয় ও এহুদ বারাকের নেতৃত্বাধীন এক ইসরায়েল জোটের কাছে হেরে যায়। এরফলে নেতানিয়াহু’র পরিবর্তে এরিয়েল শ্যারন স্থলাভিষিক্ত হন। প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের পর ২০০১ সালে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ২০০৩ সালের নির্বাচনে দলটি রেকর্ডসংখ্যক আসন পায়। ২০০৫ সালে দলটি বিভক্ত হয়ে যায়। শ্যারন দল ত্যাগ করে কাদিমা দল প্রতিষ্ঠা করেন। এরফলে ২০০৬ সালের নির্বাচনে দলটি চতুর্থ স্থান দখল করে ও নেসেটে ২৮ আসন হারায়। ২০০৯ সালের নির্বাচনের পর পনেরটি আসন ফিরে পায় ও দলের নিয়ন্ত্রণভার দখল করে। ডানপন্থী ইসরায়েল বেইতেইনু ও শাস দলের সাথে জোটবদ্ধ হয়ে সরকার গঠন করেন। এরপর থেকেই তিনি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন এবং প্রত্যেক নির্বাচনেই শীর্ষ ভোট সংগ্রাহকের মর্যাদা পাচ্ছে।
১৯৮৪ সালের নির্বাচনে শামির পরাজিত হলেও অ্যালাইনমেন্ট দল নিজেরা সরকার গঠন করতে না পারায় লিকুদ দলের সাথে জাতীয় ঐকমত্যের সরকার গঠন করে। ঐ সময় পেরেজ প্রধানমন্ত্রী ও শামির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হন। দুই বছর পর তাঁরা উভয়েই পদ পরিবর্তন করেন। ১৯৯২ সালে লেবার দলের কাছে পরাজিত হলে শামির অবসর নেন। তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। আইজাক রবিন নিহত হলে মে, ১৯৯৬ তৃতীয় লিকুদ দলীয় প্রধান হিসেবে প্রধানমন্ত্রী হন। দলীয় নেতৃত্বের প্রশ্নে ৩১ জানুয়ারি, ২০১২ তারিখে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে নেতানিয়াহু ফেইলিনকে পরাভূত করেন।[15]
দলীয় প্রধান
- মেনাখেম বেগিন, ১৯৭৩-১৯৮৩
- আইজাক শামির, ১৯৮৩-১৯৯৩
- বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু, ১৯৯৩-১৯৯৯
- এরিয়েল শ্যারন ১৯৯৯-২০০৫
- বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু, ২০০৫-বর্তমান
তথ্যসূত্র
আরও দেখুন
বহিঃসংযোগ
Wikiwand in your browser!
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.