সাভাক
From Wikipedia, the free encyclopedia
সাভাক (ফার্সি: ساواک, সংক্ষেপিত: سازمان اطلاعات و امنیت کشور Sāzemān-e Ettelā'āt va Amniyat-e Keshvar) ইরানের গুপ্ত পুলিশ, অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তাবাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার সমন্বয়ে গঠিত সংগঠন ছিল। ইরানের মোহাম্মদ রেজা শাহ মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ ও ইসরায়েলের সহায়তায় এই সংগঠন গঠন করেছিলেন।[1] ১৯৫৭ থেকে ১৯৭৯ মেয়াদে সাভাক তার কার্য পরিচালনা করেছিল। কিন্তু ইরানি বিপ্লব ছড়িয়ে পড়ার প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী শাপুর বখতিয়ার এ সংগঠনটি ভেঙ্গে দেন। ১৯৭৯ সালের ইরানি বিপ্লবের পূর্বে সাভাক ‘ইরানের সর্বাপেক্ষা ঘৃণিত ও ভীতিকর প্রতিষ্ঠান’ হিসেবে পরিচিত ছিল। পাহলভীর শাসনামলে নিয়মিতভাবে নির্যাতন ও প্রতিপক্ষীয় ব্যক্তিদেরকে ফাঁসীকাষ্ঠে ঝুলাতো এ সংগঠনটি।[2][3] একটি সূত্রে জানা যায়, ঐ সময়ে সংগঠনে ষাট সহস্রাধিক লোক এজেন্ট হিসেবে কাজ করতেন।[4] কিন্তু, গোলাম রেজা আফখামি হিসেব কষে দেখিয়েছেন যে, সাভাকে চার হাজার থেকে ছয় হাজার ব্যক্তি সম্পৃক্ত ছিলেন।[5]
সংস্থার রূপরেখা | |
---|---|
গঠিত | ১৯৫৬ |
বিলুপ্তি | ১৯৭৯ |
স্থলাভিষিক্ত সংস্থা |
|
সদর দপ্তর | তেহরান, ইরান |
কর্মী | ৬০,০০০ |
দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী |
|
সংস্থা নির্বাহী |
|
সেপ্টেম্বর, ১৯৫৩ সালে পারস্যে জেনারেল তৈমুর বখতিয়ারের সাথে একযোগে কাজ করার জন্য সিআইএ’র পক্ষ থেকে একজন মার্কিন সেনাবাহিনীর কর্নেলকে প্রেরণ করা হয়। ডিসেম্বর, ১৯৫৩ সালে জেনারেল তৈমুর বখতিয়ারকে তেহরানের সামরিক গভর্নর পদে মনোনীত করা হয় ও নতুন গোয়েন্দা সংগঠন প্রতিষ্ঠার জন্য প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। ১৯৫৪ সালে সংগঠনটি তুদেহ পার্টির নেটওয়ার্ক ধ্বংস করে।[6][7]
মার্চ, ১৯৫৫ সালে মার্কিন সেনাবাহিনীর ঐ কর্নেলের পরিবর্তে আরও পাঁচজন সিআইএ কর্মকর্তাকে স্থায়ীভাবে নিয়োগ দেয়া হয়। ১৯৫৬ সালে সংস্থাটির পুণর্গঠন হয় ও আনুষ্ঠানিকভাবে ‘সাজেমান-ই এতিলা’ত ভ আনিয়াত-ই- কেশবার’ (সাভাক) রাখা হয়।[7] ১৯৬৫ সালে সাভাক তাদের নিজেদের লোককে প্রশিক্ষক হিসেবে নিয়োগ করে।[8][9]