শীর্ষ প্রশ্ন
সময়রেখা
চ্যাট
প্রসঙ্গ
অ্যান্থনি কুইন
উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
Remove ads
অ্যান্থনি কুইন (ইংরেজি: Anthony Quinn) নামে সমধিক পরিচিত আন্তোনিও রোদলফো ওকসাকা কুইন (স্পেনীয়: Antonio Rodolfo Oaxaca Quinn; ২১শে এপ্রিল ১৯১৫ - ৩রা জুন ২০০১)[১] ছিলেন একজন মেক্সিকান মার্কিন অভিনেতা, চিত্রশিল্পী ও লেখক। তার উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে লা স্ত্রাদা, দ্য গানস্ অব নাভারোন, জোরবা দ্য গ্রিক, গানস্ ফর সান সেবাস্টিয়ান, লরেন্স অব অ্যারাবিয়া, দ্য শোজ অব দ্য ফিশারম্যান, দ্য মেসেজ, লায়ন অব দ্য ডেজার্ট, লাস্ট অ্যাকশন হিরো ও আ ওয়াক ইন দ্য ক্লাউডস। ১৯৫২ সালে ভিভা জাপাতা ! ও ১৯৫৬ সালে লাস্ট ফর লাইফ ছবিতে অভিনয় করে তিনি দুবার শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা বিভাগে একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন।
Remove ads
প্রারম্ভিক জীবন
কুইন ১৯১৫ সালের ২১শে এপ্রিল মেক্সিকোর চিহুয়াহুয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তার প্রকৃত নাম আন্তোনিও রোদলফো ওকসাকা কুইন। তার পিতা ফ্রান্সিস্কো "ফ্র্যাঙ্ক" কুইন এবং মাতা মানুয়েলা "নেলি" (ওয়াক্সাকা)।[২][৩] তার পিতা ফ্র্যাঙ্ক কাউন্টি কর্ক থেকে আগত আইরিশ অভিবাসী পিতা ও মেক্সিকান মাতার ঘরে জন্মগ্রহণ করেন।[৪] অন্যদিকে তার মাতা নেলি মেক্সিকান ছিলেন।
কর্মজীবন
সারাংশ
প্রসঙ্গ

কুইনের প্রথম বড় সাফল্য আসে ১৯৫২ সালে এলিয়া কাজান পরিচালিত ভিভা জাপাতা! চলচ্চিত্রে মার্লোন ব্র্যান্ডোর সাথে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে। জাপাতার ভাই চরিত্রে কুইনের অভিনয় তাকে তার প্রথম শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা বিভাগে একাডেমি পুরস্কার এনে দেয়। তিনি প্রথম মেক্সিকান অভিনয়শিল্পী হিসেবে এই পুরস্কার লাভ করেন।[৫] ১৯৫৬ সালে ভিনসেন্তে মিনেলির লাস্ট ফর লাইফ ছবিতে চিত্রশিল্পী পল গগুইন চরিত্রে অভিনয় করে তিনি দ্বিতীয়বার শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা বিভাগে একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন।[৬] পরের বছর জর্জ কিউকার পরিচালিত ওয়াইল্ড ইজ দ্য উইন্ড ছবিতে তার কাজের জন্য তিনি আরেকটি অস্কার মনোনয়ন লাভ করেন।
১৯৬১ সালে তিনি দ্য গানস্ অব নাভারোন চলচ্চিত্রে গ্রিক যোদ্ধা, এবং ১৯৬২ সালে রিকুয়েম ফর আ হেভিওয়েট চলচ্চিত্রে বয়স্ক মুষ্টিযোদ্ধা, লরেন্স অব অ্যারাবিয়া চলচ্চিত্রে আরব বেদুইন আবু তায়ি ও পার লাগেরক্ভিস্ট রচিত উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত বারাবাস চলচ্চিত্রে নাম ভূমিকায় অভিনয় করেন। ১৯৬৪ সালে জোরবা দ্য গ্রিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করে তিনি শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন।[৫] এই দশকে তার অন্যান্য উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র হল দ্য টোয়েন্টিফাইভ আওয়ার, দ্য ম্যাগাস, লা বাতালিয়ে দে সান সেবাস্তিয়ান, এবং দ্য শোজ অব দ্য ফিশারম্যান। তিনি ১৯৬৯ সালে দ্য সিক্রেট অব সান্তা ভিত্তোরিয়া ছবিতে আন্না মানিয়ানির বিপরীতে অভিনয় করেন, এবং দুজনে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা ও অভিনেত্রী বিভাগে গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন।

১৯৭৬ সালে তিনি দ্য মেসেজ চলচ্চিত্রে ইসলাম ধর্মের নবী মুহাম্মদ (স.)-এর চাচা হামজা ইবনে আবদুল মুত্তালিব চরিত্রে অভিনয় করেন। ১৯৮১ সালে তিনি লায়ন অব দ্য ডেজার্ট চলচ্চিত্রে আরব বেদুইন নেতা ওমর মুখতার চরিত্রে অভিনয় করেন, যিনি বেনিতো মুসোলিনির ইতালীয় সেনাদের বিরুদ্ধে লিবিয়ার মরুভূমিতে যুদ্ধ করেছিলেন।
১৯৮৩ সালে তিনি জোরবা সঙ্গীতনাট্যে জোরবা দ্য গ্রিক ছবিতে তার অভিনীত চরিত্রে অভিনয় করেন।[৬] তার বিপরীতে মাদাম হরতেন্স চরিত্রে অভিনয় করেন লিলা কেদ্রোভা। এছাড়া তিনি ওয়াশিংটন ডি.সি.র ব্রডওয়ে ও কেনেডি সেন্টারে এই মঞ্চনাটকে অভিনয় করেন।
১৯৯০-এর দশকে তিনি রিভেঞ্জ (১৯৯০), জাঙ্গল ফিভার (১৯৯১), লাস্ট অ্যাকশন হিরো (১৯৯৩) ও আ ওয়াক ইন দ্য ক্লাউডস (১৯৯৫) এবং সেভেন সারভেন্ট্স (১৯৯৬) চলচ্চিত্রে কাজ করেন। ১৯৯৪ সালে তাকে হারকিউলিসের কিংবদন্তি রোমাঞ্চকর গল্প অবলম্বনে নির্মিত পাঁচটি টেলিভিশন চলচ্চিত্রে জিউস চরিত্রে দেখা যায়। চলচ্চিত্রগুলো হল - হারকিউলিস অ্যান্ড দ্য অ্যামাজন ওমেন, হারকিউলিস অ্যান্ড দ্য লস্ট কিংডম, হারকিউলিস অ্যান্ড দ্য সার্কেল অব ফায়ার, হারকিউলিস ইন দ্য আন্ডারওয়ার্ল্ড এবং হারকিউলিস ইন দ্য মেজ অব দ্য মিনোটার।

Remove ads
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ
Wikiwand - on
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Remove ads