Loading AI tools
বাংলাদেশের ঢাকা শহরে অবস্থিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজ বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা শহরের ঢাকা সেনানিবাস এলাকায় অবস্থিত একটি উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। উচ্চ মাধ্যমিক ছাড়াও স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শিক্ষা পরিচালনায় কলেজটি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত। এটি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্তৃক পরিচালিত।[১] ইংল্যান্ডের আদি পাবলিক স্কুল 'ইটন' ও 'হ্যারো' এর আদর্শে এটি ১৯৬০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। কলেজটি মূলত সামরিক বাহিনীর সদস্যদের সন্তানদের জন্য হলেও বেসামরিক ব্যক্তিবর্গের সন্তানরাও এতে পড়াশোনা করতে পারে।[২][৩] ২০২৪ সালে কলেজটি জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ কলেজ নির্বাচিত হয়।[৪]
নীতিবাক্য | শিক্ষা, শৃঙ্খলা, নৈতিকতা |
---|---|
কর্তৃপক্ষ | বাংলাদেশ সেনাবাহিনী |
প্রতিষ্ঠাতা | গুল মোহাম্মদ আদমজী |
ধরন | উচ্চমাধ্যমিক, স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান |
স্থাপিত | ১৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৬০ |
অধিভুক্তি | মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকা, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় |
ইআইআইএন | ১০৭৮৫৫ |
চেয়ারম্যান | বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মুশফিকুর রহমান, পিএসসি |
অধ্যক্ষ | ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নওরোজ এহসান, বিএসপি, বিজিওএম, এনডিসি, পিএসসি |
শিক্ষায়তনিক ব্যক্তিবর্গ | ১০০ জন (স্থায়ী) ১৬ জন (অস্থায়ী) |
প্রশাসনিক ব্যক্তিবর্গ | ১০৪ জন |
শিক্ষার্থী | ৬,৫০০ জন |
ঠিকানা | , , , , বাংলাদেশ ২৩.৭৯৪৬° উত্তর ৯০.৩৯৩৩° পূর্ব |
শিক্ষাঙ্গন | শহুরে, ৯.৯৬ একর (৪.০৩ হেক্টর) |
ভাষা | বাংলা ও ইংরেজি |
দলের নাম |
|
পোশাকের রঙ | সাদা ও ধূসর |
ক্রীড়া | ফুটবল, ক্রিকেট, বাস্কেটবল, ভলিবল, টেবিল টেনিস, ব্যাডমিন্টন, হ্যান্ডবল |
ওয়েবসাইট | www |
১৯৬০ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি ইংরেজি মাধ্যমের বিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠানটির যাত্রা শুরু হয়। যার প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন তৎকালীন পাকিস্তানের অন্যতম ব্যবসায়ী গুল মোহাম্মদ আদমজী। বিশিষ্ট স্থপতি থারিয়ানির নকশায় ভবনটি নির্মাণ করেন ওমর এন্ড সন্স লিমিটেড। তৎকালীন পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি ফিল্ড মার্শাল আইয়ুব খান প্রতিষ্ঠানটির ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন করেন এবং সেনাবাহিনীর তৎকালীন ইস্টার্ন কমান্ডের জিওসিকে প্রধান করে একটি শক্তিশালী বোর্ড অব গভর্নরস গঠন করা হয়। ব্রিটিশ পাবলিক স্কুলের মান অনুসারে এই স্কুলটির কার্যক্রম শুরু হয়। স্বাধীনতার পূর্বে এ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষাদানের মাধ্যম ছিল ইংরেজি। সেই আলোকে কলেজটির প্রথম দুইজন অধ্যক্ষ ছিলেন ব্রিটিশ নাগরিক। স্বাধীনতা পরবর্তীকালে শিক্ষার মাধ্যম হয় বাংলা। ১৯৯৫ সালে আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজ শাখাকে বিদ্যালয় শাখা থেকে আলাদা করা হয়।
বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা শহরের ঢাকা সেনানিবাসের প্রাণকেন্দ্রে কলেজটি অবস্থিত।
প্রায় দশ একরের উপর স্থাপিত কলেজটিতে একটি প্রশাসনিক ভবন, একটি বিজ্ঞান ভবন, একটি গ্রন্থাগার ভবন, একটি বিবিএ ভবন, একটি মাস্টার্স ভবন, একটি খেলার মাঠ, একটি মসজিদ, একটি বাগান, একটি ক্যাফেটেরিয়া, একটি শহীদ মিনার, একটি মিলনায়তন ও একটি উন্মুক্ত মঞ্চ (শহীদ রুমী মঞ্চ) রয়েছে।
শিক্ষা, শৃঙ্খলা, নৈতিকতা – এই তিনটি হলো কলেজটির মূলমন্ত্র।
প্রতিবছর এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। একাদশ শ্রেণিতে অনলাইনের মাধ্যমে নতুন ছাত্রছাত্রী ভর্তি করা হয়।[৫] শিক্ষার্থীদের এসএসসি পরীক্ষার নম্বরের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা মেধাতালিকা অনুযায়ী ভর্তি করা হয়। তবে সেনাবাহিনীর সদস্যদের সন্তানদের ভর্তির জন্য বিশেষ কোটা রয়েছে।
বর্তমানে এখানে উচ্চমাধ্যমিক শ্রেণিতে বিজ্ঞান শাখা (বাংলা মাধ্যম ও ইংরেজি সংস্করণ), মানবিক শাখা (বাংলা মাধ্যম) ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখার (বাংলা মাধ্যম ও ইংরেজি সংস্করণ) কার্যক্রম চালু রয়েছে।
এছাড়াও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ইংরেজি, অর্থনীতি, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, হিসাববিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ে অনার্স, মাস্টার্স ও বিবিএ কোর্স চালু রয়েছে।
কলেজটি বিভিন্ন সহশিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য সুপরিচিত। কলেজের শিক্ষার্থীরা পাঠ্যবইয়ের শিক্ষার পাশাপাশি নানা ধরনের সহশিক্ষা কার্যক্রমে নিয়মিত অংশ নিয়ে থাকে। উদাহরণ হিসেবে রয়েছে বিতর্ক ও ক্রীড়া সহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ,[৬][৭] বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উৎসব সহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন[৮][৯] ইত্যাদি।
সারা বছর কলেজটিতে বিভিন্ন ক্লাব পরিচালিত হয়। ক্লাবগুলো হলো:
এছাড়াও খেলাধুলার মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীদের নৈতিক মনোবল দৃঢ় করার উদ্দেশ্যে কলেজ কর্তৃক প্রতিবছর বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।[১০]
উইকিমিডিয়া কমন্সে আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজ সম্পর্কিত মিডিয়া দেখুন।
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.