শীর্ষ প্রশ্ন
সময়রেখা
চ্যাট
প্রসঙ্গ

আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালত

স্থায়ী আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ

আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালত
Remove ads

'আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত ২০০২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এই আদালত সাধারণত গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ ইত্যাদি অপরাধের জন্য দায়ীদের অভিযুক্ত করে থাকে।[]

দ্রুত তথ্য আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতCour pénale internationale (ফরাসি), Seat ...
Thumb
The main ICC building in The Hague.

১৯৯৭ সালের ১৭ জুলাই রোম নীতিমালা গৃহীত হয়। রোম নীতিমালা হল আন্তর্জাতিক ফৌজদারী আদালতের মূল ভিত্তি।এ নীতিমালা অনুযায়ী আন্তর্জাতিক আদালত গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।একটি অব্যর্থ প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ১৯৯৮ সালের ১৫ জুন থেকে ১৭ জুলাই পর্যন্ত ইতালির রোম নগরে সমগ্র বিশ্বের ১২০টি দেশের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি কুটনীতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় এবং ১২০-৭ ভোটের বিপূল ব্যবধানে আন্তর্জাতিক ফৌজদারী আদালত সংবিধি বা রোম সংবিধি গৃহীত হওয়ার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত প্রতিষ্ঠিত হয় তবে রোম নীতিমালা কার্যক্রম করতে ১২০টি দেশের স্বীকৃতির প্রয়োজন ছিল। ১২০ দেশের স্বীকৃতির পর ২০০২ সালে ১ জুলাই থেকে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত তার কার্যক্রম শুরু করে। নেদারল্যান্ডের হেগ শহর থকে এ আদালতের কার্যক্রম পরিচালিত হয়।আন্তর্জাতিক ফৌজদারী আদালত সংবিধি বা রোম সংবিধিতে মোট ১৩ টি অধ্যায় এবং ১২৮ টি অনুচ্ছেদ রয়েছে। মোট আঠারো জন বিচারক বিচার কার্য পরিচালনা করেন।

২০০৪ সালে আইসিসি প্রথমবারের মতো অপরাধের অভিযোগের তদন্তে নামে। ওই বছর গণপ্রজাতন্ত্রী কঙ্গোতে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের তদন্ত শুরু করে সংস্থাটি। একই বছর মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা সংস্থাটিতে হস্তান্তর করা হয়। ২০০৭ সালে এর তদন্ত শুরু করা হয়। ২০০৫ সালে সুদান ও উগান্ডায় যুদ্ধাপরাধের তদন্ত শুরু করে আইসিসি।

২০১০ সালে কেনিয়ায় মানবতাবিরোধী অপরাধ ও ২০১১ সালে আইভরি কোস্টে যুদ্ধাপরাধের তদন্ত শুরু করে আইসিসি। ২০১১ সালেই লিবিয়ায় যুদ্ধপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের তদন্ত শুরু করে সংস্থাটি। এ ছাড়া আফগানিস্তান, কলম্বিয়া, জর্জিয়া, গিনি, হন্ডুরাস, ইরাক, নাইজেরিয়া, ফিলিস্তিন ও ইউক্রেনে সম্ভাব্য যুদ্ধাপরাধের বিষয়টি প্রাথমিকভাবে খতিয়ে দেখছেন সংস্থাটির প্রসিকিউটররা। আইসিসি এ পর্যন্ত ৩৬ জনকে বিভিন্ন অপরাধে অভিযুক্ত করেছে। এদের মধ্যে রয়েছে উগান্ডার বিদ্রোহী নেতা জোশেফ কোনি, সুদানের প্রেসিডেন্ট ওমর আল-বশির, কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট উহুরু কেনিয়াত্তা, লিবিয়ার প্রয়াত নেতা মুয়াম্মার আল-গাদ্দাফি ও আইভরি কোস্টের প্রেসিডেন্ট লরেন্ট জিবাগবো।

এ আদালতে বিচারের মাধ্যমে যে কোনো ব্যক্তি বা সংগঠনকে দোষী সাব্যস্ত করতে পারে। এমনকি গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি করতে পারে সংস্থাটি। তবে এর নিজস্ব কোনো বাহিনী না থাকায় অভিযুক্তদের ধরতে বা দণ্ড কার্যকর করতে পারে না। এ জন্য তারা সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্র ও অপরাপর অন্যান্য রাষ্ট্রকে অভিযুক্তকে গ্রেফতারের আহ্বান জানায়।

রাশিয়া, চীন, ভারত ছাড়াও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এ আদালতকে স্বীকৃতি দেয়নি। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিন্টন রোম নীতিমালায় স্বাক্ষর করলেও প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ তা প্রত্যাহার করে নেন। [] কারণ হিসেবে সাবেক এই যুদ্ধবাজ মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চেষ্টা করছে সারা বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে। এই আদালত মার্কিন কূটনৈতিক এবং সেনাদের হাজির করতে পারে এ যুক্তি দেখিয়ে বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জাতিসংঘের মাধ্যমে ভুল-ভ্রান্তি সমাধানের চেষ্টা করছে।

Remove ads

তথ্যসূত্র

Loading related searches...

Wikiwand - on

Seamless Wikipedia browsing. On steroids.

Remove ads